আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
192 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (15 points)
edited by
১.

আস্সালামু আলাইকুম
নামাজের ওয়াক্ত পার হয়ে যাচ্ছে(বিশেষ করে মাগরিবের ওয়াক্ত), এদিকে বাচ্চা ক্ষুধায় প্রচন্ড কান্না করছে।দুধ না দিলে শান্ত হবেনা।

এরকম অবস্থায় আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে কি নির্দেশ?আগে নামাজ না বাচ্চার খাবার?

জানতে চাই

২. ছোট বাচ্চাকে আমি নামাজ পড়ার সময় সামলে রাখার কেউ নাই। এই অবস্থায় তাকে কোলে নিয়ে এক হাতে রুকু সিজদা করার কোন নিয়ম আছে?
৩. বাবুকে বুকে ধরে রাখার এক ধরনের বেল্ট আছে। ওই রকম বেল্টে কি বাবুকে বুকের সাথে হোল্ড করে এরপর ওই অবস্থায় নামাজ পড়া যাবে?
৪. বাবুকে নিয়ে নামাজ পড়ার সময় কি কি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে?

 5.জম জমের পানি মেশানো নরমাল পানি খেলে কি জম জমের ফজিলত পাওয়া যাবেনা?নাকি শুধু ডিরেক্ট পানি খেতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মারিবের নামাযের ওয়াক্ত মাহরিবের আযানের পর ১ ঘন্টা পর্যন্ত থাকে। সুতরাং আপনি মাগরিবের আজানের পর থেকে নিয়ে ১ঘন্টা পর্যন্ত সন্তান শান্ত করে নামায পড়ে নিবেন।

যদি কখনো এমন হয় যে, মাগরিবের আজানের পর বিভিন্ন কাজে ১ মধ্য থেকে ৫০/৫৫ মিনিট চলে গেছে, এবং ঘরে এমন কেউ নেই যে, সন্তানকে শান্ত করতে পারবে, তাহলে তখন আপনি সন্তানকে দুধ খাইয়ে শান্ত করে তবেই নামায পড়বেন। তখন সময় না থাকলে কাযা পড়ে নেবেন।এজন্য গোনাহ হবে না। কিন্তু যদি এমন কেউ থাকে, সম্ভাবনা রয়েছে, সে আপনার সন্তানকে শান্ত করতে পারবে, তাহলে তখন অতি সংক্ষেপে তিন রাকাত ফরয পড়ে নিবেন।


(২)
ছোট বাচ্চাকে নামাজ পড়ার সময় সামলে রাখার কেউ যদি না থাবে, তাহলে এই অবস্থায় তাকে কোলে নিয়ে এক হাতে রুকু সিজদা করতে পারবেন।অথবা চেয়ারে বসে ইশারায় ও নামায পড়তে পারবেন।পরবর্তীতে যখন সে ঘুমিয়ে পড়বে,তখন ঐ নামাযকে দোহড়িয়ে পড়ে নিবেন।

(৩)
বেল্টের সাথে বাধলে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই না বাধাই উত্তম। টলি বা শিশুদের গাড়িতে বেল্টে বেধে রেখে নামায পড়ে নিবেন।

(৪)
বাবুর কোনো ক্ষতি না হয়, সেদিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হবে।

(৫)
জম জমের পানি মেশানো নরমাল পানি খেলেও জম জমের ফজিলত পাওয়া যাবে,ইনশা'আল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...