ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মারিবের নামাযের ওয়াক্ত মাহরিবের আযানের পর ১ ঘন্টা পর্যন্ত থাকে। সুতরাং আপনি মাগরিবের আজানের পর থেকে নিয়ে ১ঘন্টা পর্যন্ত সন্তান শান্ত করে নামায পড়ে নিবেন।
যদি কখনো এমন হয় যে, মাগরিবের আজানের পর বিভিন্ন কাজে ১ মধ্য থেকে ৫০/৫৫ মিনিট চলে গেছে, এবং ঘরে এমন কেউ নেই যে, সন্তানকে শান্ত করতে পারবে, তাহলে তখন আপনি সন্তানকে দুধ খাইয়ে শান্ত করে তবেই নামায পড়বেন। তখন সময় না থাকলে কাযা পড়ে নেবেন।এজন্য গোনাহ হবে না। কিন্তু যদি এমন কেউ থাকে, সম্ভাবনা রয়েছে, সে আপনার সন্তানকে শান্ত করতে পারবে, তাহলে তখন অতি সংক্ষেপে তিন রাকাত ফরয পড়ে নিবেন।
(২)
ছোট বাচ্চাকে নামাজ পড়ার সময় সামলে রাখার কেউ যদি না থাবে, তাহলে এই অবস্থায় তাকে কোলে নিয়ে এক হাতে রুকু সিজদা করতে পারবেন।অথবা চেয়ারে বসে ইশারায় ও নামায পড়তে পারবেন।পরবর্তীতে যখন সে ঘুমিয়ে পড়বে,তখন ঐ নামাযকে দোহড়িয়ে পড়ে নিবেন।
(৩)
বেল্টের সাথে বাধলে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই না বাধাই উত্তম। টলি বা শিশুদের গাড়িতে বেল্টে বেধে রেখে নামায পড়ে নিবেন।
(৪)
বাবুর কোনো ক্ষতি না হয়, সেদিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হবে।
(৫)
জম জমের পানি মেশানো নরমাল পানি খেলেও জম জমের ফজিলত পাওয়া যাবে,ইনশা'আল্লাহ।