আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
189 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
edited by
১. আমার বাসায় ওয়াইফাই লাইন আছে। আমার পাশের বাসার একজন আমার এ ওয়াইফাই চালায়, তার বিনিময়ে সে আমাকে কিছু অর্থ দিয়ে থাকে। কিন্তু কিছু মাস পর আমি আমার ওয়াইফাই লাইন এর স্পিড কিছুটা কমিয়ে নিই ইন্টারনেট প্রোভাইডারের থেকে। এর ফলে তখন থেকে আমাকে কিছু টাকা কম প্রদান করতে হয় ইন্টারনেট প্রোভাইডারকে। কিন্তু এ বিষয়ে পাশের বাসার লোককে কিছু জানায় না। যেহেতু উক্ত ওয়াইফাই আমার মালিকানাধীন।

এখন আমার প্রশ্ন হলো আমি যে আমার পাশের বাসার লোককে না বলে ইন্টারনেট স্পিড কমিয়েছি এবং তার থেকে আগে যে পরিমাণ অর্থ নিতাম এখনও সেটাই নিচ্ছি, এটা কি তাকে আমার বলা জরুরি কি না। বা এতে হক নষ্ট হয়েছে কি না?

যদি হক নষ্ট হয়ে থাকে, তাহলে তাকে বলার পরও যদি সে এ বিষয়ে আপত্তি প্রকাশ না করে বা কোনো মন্তব্য না করে তাহলে কি হক নষ্ট করা থেকে মুক্ত হওয়া যাবে?

২. ইন্টারনেটের মাধ্যমে খারাপ ওয়েবসাইট যাতে কেউ ব্রাউজ করতে না পারে, এর জন্য পরিবারের অন্য সদস্যদের ফোনে না বলে কি সেটিংস পরিবর্তন করে দেয়া যাবে? এবং আমার পরিচিত কেউ যদি এসে তার পরিবারের সদস্য দের ফোনে এই ধরনের সেটিংস পরিবর্তন করে দিতে বলে তাহলে করা যাবে কি না?

৩. নামাজের মধ্যে সূরা ফাতিহার পর অন্য কোনো সূরা পড়ার সময় ভুল হচ্ছে দেখে সেটার পরিবর্তে অন্য সূরা পড়লে কি নামাজের সমস্যা হবে?

৪. ইমামের পিছনে নামাজ পড়ার সময় ২য় রাকাতের সিজদার সময় ইমামকে অনুসরণ করতে পারলাম। কিন্তু সানা পড়লাম ৩য় রাকাতে গিয়ে এতে কি নামাজের সমস্যা হবে এবং ওই ২য় রাকাতের কি সমস্যা হবে?
এবং অনেক সময় যদি নামাজের মাঝখানে এমন মনে হয় যে আমি হয়তো সানা পড়িনি। তাহলে যখন মনে হলো তখন পরে নিলে হবে কি না?

৫. পুরাতন বইয়ে এমনিতেই বিভিন্ন দাগ, ভাঁজ, হালকা ছেড়া ইত্যাদি থাকে। কিন্তু মূল পড়াতে তেমন কোনো সমস্যা হয় না। ক্রেতা এসব বই কেনার সময় নিজ থেকেই উল্টে পাল্টে বইটি দেখে নেয়। এসব বইয়ের উক্ত ছোট খাটো ত্রুটি ক্রেতাকে বলা হয় না। কারণ এটা পুরাতন বই জেনেই সে কিনছে। এক্ষেত্রে ক্রেতাকে উক্ত ত্রুটি গুলোর কথা না বললে কি ধোঁকা দেয়া হবে কি না?

1 Answer

0 votes
by (559,530 points)
edited by
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
আপনার পাশের বাসার যে লোক আপনার ওয়াইফাই চালায়, আপনি যদি তার সাথে টাকার চুক্তি করার সময় স্পীড কত? সেটি উল্লেখ করেই টাকার চুক্তি করেন,তাহলে স্পীড কমার বিষয়টি তাকে জানাতে হবে।

আর যদি তার সাথে টাকার চুক্তি করার সময় স্পীড কত? সেটি উল্লেখ না করেই টাকার চুক্তি করেন,তাহলে স্পীড কমার বিষয়টি তাকে জানাতে হবেনা।

তবে স্পীড কমানোর কারনে  বর্তমান যদি আপনার ওয়াইফাই খুন স্লো হয়,উক্ত ব্যাক্তি যদি স্বাভাবিক ভাবে চালাইতে না পারে,তাহলে সেক্ষেত্রে তাকে জানাতে হবে।

(০২)
হ্যাঁ, অন্যায় প্রতিরোধ করতে আপনি সক্ষম হলে সেটিংস পরিবর্তন করতে পারবেন।

(০৩)
না,এতে নামাজের সমস্যা হবেনা। 

(০৪)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 
وَ اِذَا قُرِیٴَ الۡقُرۡاٰنُ فَاسۡتَمِعُوۡا لَہٗ وَ اَنۡصِتُوۡا لَعَلَّکُمۡ تُرۡحَمُوۡنَ ﴿۲۰۴﴾ 

আর যখন কুরআন পাঠ করা হয় তখন তোমরা মনোযোগের সাথে তা শুন এবং নিশ্চুপ হয়ে থাক যাতে তোমাদের প্রতি দয়া করা হয়।
(সুরা আল আ'রাফ ২০৪)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَإِذَا قَرَأَ فَأَنْصِتُوا وَإِذَا قَالَ (غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ) فَقُولُوا آمِينَ وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ . فَقُولُوا اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ وَإِذَا سَجَدَ فَاسْجُدُوا وَإِذَا صَلَّى جَالِسًا فَصَلُّوا جُلُوسًا أَجْمَعِينَ " .

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অনুসরণ করার জন্যই তো ইমাম নিযুক্ত করা হয়। সুতরাং ইমাম যখন তাকবীর বলেন, তোমরাও তাকবীর বলো। যখন তিনি কিরাআত পড়েন তখন তোমরা নীরব থাকো। যখন তিনি গাইরিল মাগযূবি আলাইহিম ওয়ালায-যুআলীন বলেন, তখন তোমরা আমীন বলো। যখন তিনি রুকূ করেন, তখন তোমরাও রুকূ করো। আর যখন তিনি সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলেন, তখন তোমরা আল্লাহুম্মা রাববানা ওয়ালাকাল হামদ বলো। যখন তিনি সাজদাহ করেন, তখন তোমরাও সাজদাহ করো। তিনি বসা অবস্থায় সালাত পড়লে তোমরাও সকলে বসা অবস্থায় সালাত পড়ো।
(বুখারী ৭২২, ৭৩৪; মুসলিম ৪১৪-১৭, নাসায়ী ৯২১-২২, আবূ দাঊদ ৬০৩, আহমাদ ৭১০৪, ৮২৯৭, ৮৬৭২, ৯০৭৪, ৯১৫১, ২৭২০৯, ২৭২১৫, ২৭২৭৩, ২৭৩৮৩; দারিমী ১৩১১, মাজাহ ৯৬০, ১২৩৯।)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,  
আপনি যেহেতু মাসবুক,তাই এক্ষেত্রে নিয়ম হলো আপনি ইমামের সালাম ফিরানোর পর আপনার ছুটে যাওয়া নামাজ আদায়ের জন্য উঠার পর সানা পড়বেন।

তবে আপনি যদি প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ৩য় রাকাতে উঠে সানা পড়েন,তাহলে নামাজ হয়ে যাবে। 

তবে এটি নিয়ম বহির্ভুত কাজ।

পরবর্তীতে আপনি মাসবুক হলে ইমামের সালাম ফিরানোর পর আপনার ছুটে যাওয়া নামাজ আদায়ের জন্য উঠার পর সানা পড়বেন।

আরো জানুনঃ- 

(০৫)
ক্রেতা যেহেতু জানেই যে এধরণের বইয়ে এধরনের ত্রুটি থাকেই,আর ক্রেতা এসব বই ক্রয়ের সময় নিজ থেকেই উল্টে পাল্টে বইটি দেখে নেয়।
,
সুতরাং এক্ষেত্রে ক্রেতাকে উক্ত ত্রুটি গুলোর কথা না বললে ধোঁকা দেয়া হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (20 points)
১ নং এর ক্ষেত্রে:

উক্ত লোক আমার সাথে এখন আর ওয়াইফাই চালাচ্ছে না। কিন্তু যখন চালাতো তখন স্পিড কমানো হয়েছিল।

প্রথম তার সাথে যখন আমার স্পিড নিয়ে চুক্তি হয়েছিল তখন 5mbps এর চুক্তিতে দেয়া হয়েছিল। যার মাসিক বিল ছিল ৬৫০ টাকা। এবং ওই লোক আমাকে দিত ১৫০ টাকা। কিন্তু ইন্টারনেট প্রোভাইডার থেকে পরবর্তীতে ৬৫০ টাকার লাইনকে 7mbps করে দেয়া হয়। 7mbps কিছু মাস চলতে থাকে (ওই লোককে তখন বলা হয়েছিল যে সে 7mbps চালাচ্ছে)। তারপর আমি কিছু মাস পর এসে আবার স্পিড কমিয়ে 5mbps করি (এটা তাকে বলা হয়েছিল না)। যার বিল তখন ৫০০ টাকা ছিল। কিন্তু ওই লোকের থেকে ১৫০ টাকাই নেয়া হতো। 

মূলত প্রথমে স্পিড নিয়ে যে চুক্তি হয়েছিল, বাহ্যিক দৃষ্টিতে সে চুক্তির নিচে যায়নি। শুধু মূল্য গত দিক থেকে ৬৫০ থেকে ৫০০ টাকা হয়ে যায়। যা আমি তাকে সে সময় বলিনি। 

এক্ষেত্রে কি হক নষ্ট হয়েছে?
by (559,530 points)
এক্ষেত্রে হক নষ্ট হয়নি।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...