আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
241 views
in পবিত্রতা (Purity) by (3 points)
মাদুরে ছোট বাচ্চা প্রস্রাব করেছিলো। সেটা আগে একবার ধুয়া হয়েছিলো এবং শুকানোর অনেক দিন পর আবারও ভালো করে ধুয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কি মাদুর টি পাক হয়েছে?
নাকি মাদুর ও তোশকের মতো তিনবারই ধুতে হবে? মাদুর তো একবার খুব ভালো করে ধুলেই সব প্রস্রাব চলে যায়।
by
edited
১। এই বিষয়ে অন্যান্য মাযহাবের কি মত? সেগুলো সম্পর্কে কি জানাতে পারবেন?
২। আর আমি হানাফি মাযহাবের ই এক ফতোয়া তে পড়েছি যে তিনবার ধুয়ার বদলে নাপাকি দূর করতে যে পরিমাণ পানি প্রয়োজন তার তিনগুণ পানি দিয়ে একবার ধুলেও সেটি পাক হবে। এভাবে করলে পাক হবে না?
৩। যদি প্রবাহিত পানিতে যেমন ট্যাপের নিচে ধুয়া হয় সেক্ষেত্রে বিধান কি? যেহেতু বড় মাদুর পুরোটা ট্যাপের নিচে জায়গা নিবে না সেক্ষেত্রে আমি যদি মাদুরের একটা অংশ ট্যাপের নিচে রেখে দিই এবং পানি প্রবাহিত হয়ে মাদুরের অন্য পাশ দিয়েও যায় সেক্ষেত্রে কি মাদুরটি পাক হবে না? 




1 Answer

0 votes
by (566,790 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদিস শরিফে এসেছে,আসমা রাযি. থেকে বর্ণিত,

 أَنَّ النَّبِيَّ  ﷺ قَالَ -فِي دَمِ الْحَيْضِ يُصِيبُ الثَّوْبَ-: «تَحُتُّهُ، ثُمَّ تَقْرُصُهُ بِالْمَاءِ، ثُمَّ تَنْضَحُهُ، ثُمَّ تُصَلِّي فِيهِ

হায়িযের রক্ত কাপড়ে লেগে যাওয়া প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘পানি দিয়ে ঘষা দিবে তারপর পানি দ্বারা ভালোভাবে ধৌত করবে। অতঃপর সলাত আদায় করবে।’ (বুখারী ২২৭,৩০৭)

শরীয়তের বিধান হলো কাপড়ে/ চাদরে নাপাকি লাগলে তিনবার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং প্রত্যেকবার ভালো করে চাপ দিয়ে নিংড়াতে হবে। ভালো করে নিংড়িয়ে ধোয়ার পরও যদি দুর্গন্ধ থেকে যায় কিংবা দাগ থাকে তাতে কোনো দোষ নেই। এতেই চাদর কিংবা কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে।  (হাশিয়ায়ে তাহতাবী আলাল মারাকী, পৃষ্ঠা নং ১৬১, বেহেশতি জিওর ২/৭৭ )

কাপড়ে অদৃশ্যমান নাজাসত লাগলে, কাপড়কে তিনবার ধৌত করে তিনবারই নিংড়াতে হতে।এবং শেষ বার একটু শক্তভাবে নিংড়ানো হবে যাতে করে পরবর্তীতে আর কোনো পানি বাহির না হয়।(ফাতাওয়ায়ে হাক্কানিয়া;২/৫৭৪,জা'মেউল ফাতাওয়া;৫/১৬৭) 

আরো জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/118

وغير المرئية بغسلهاثلاثا والعصر كل مرة
অদৃশ্যমান নাপাক বস্তু তিন বার ধৌত করতে হবে।এবং প্রত্যেকবার নিংড়াতে হবে।
(নুরুল ইযাহ ৫৬)

উল্লেখ্য, তিনবারের কথা বলা হয়, যাতে সন্দেহ না থাকে। অন্যথায় যদি প্রবাহমান পানি যেমন, নদী, পুকুরে বা টেপের পানিতে এত বেশি করে ধোয়া হয়, যাতে নাপাকি দূর হওয়ার ব্যাপারে প্রবল ধারণা হয়ে যায় তাহলে তা পাক হয়ে যায়। এক্ষেত্রে তিনবার নিংড়িয়ে ধোয়া জরুরি নয়। (রদ্দুল মুহতার ১/৩৩৩ আলবাহরুর রায়েক ১/২৩৭ শরহুল মুনইয়া ১৮৩) 
,
আরো জানুনঃ 

★নাপাকি যদি এমন জিনিসে লাগে যা নিংড়ানো যায় না (যেমন মাদুর, খাট, পালং, পাটি, চাটাই, মাটির পাত্র, কলস, বাসন, চীনা মাটির বরতন, পেয়ালা, বোতল ইত্যাদি) তবে তা পবিত্র করার নিয়ম হলো, একবার ধুয়ে এমনভাবে রাখতে হবে যেন সমস্ত পানি ঝরে যায়। পানি ঝরা বন্ধ হলে আবার ধুবে। এরূপ তিনবার ধুয়ে নিলে পবিত্র হয়ে যাবে। [বেহেশতি জিওর, উর্দূ, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা-৭৭]

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

মাদুর পাক করার নিয়ম হলো, একবার ধুয়ে এমনভাবে রাখতে হবে যেন সমস্ত পানি ঝরে যায়। পানি ঝরা বন্ধ হলে আবার ধুবে। এরূপ তিনবার ধুয়ে নিলে পাক হয়ে যাবে।
★সুতরাং প্রশ্নের বিবরণ মতে উক্ত মাদুর পাক হয়নি।
সেটি আরো একবার ধৌত করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
১।এই বিষয়ে অন্যান্য মাযহাবের কি মত? সেগুলো সম্পর্কে কি জানাতে পারবেন?
২। আর আমি হানাফি মাযহাবের ই এক ফতোয়া তে পড়েছি যে কার্পেটে প্রস্রাব লাগলে তিনবার ধুয়ার বদলে নাপাকি দূর করতে যে পরিমাণ পানি প্রয়োজন তার তিনগুণ পানি দিয়ে একবার ধুলেও সেটি পাক হবে। এভাবে করলে পাক হবে না? কার্পেট, তোশক, মাদুর এসব পাক করার বিধান তো একই। 
৩। যদি প্রবাহিত পানিতে যেমন ট্যাপের নিচে ধুয়া হয় সেক্ষেত্রে বিধান কি? যেহেতু বড় মাদুর পুরোটা ট্যাপের নিচে জায়গা নিবে না সেক্ষেত্রে আমি যদি মাদুরের একটা অংশ ট্যাপের নিচে রেখে দিই এবং পানি প্রবাহিত হয়ে মাদুরের অন্য পাশ দিয়েও যায় সেক্ষেত্রে কি মাদুরটি পাক হবে না? 


by (566,790 points)
প্রবাহিত পানিতে তথা ট্যাপের পানিতে এভাবে ধোয়া হলে মাদুর পাক হয়ে যাবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...