আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
358 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (12 points)
আমার গ্রামে কিছু মহিলা নিয়মিত যাতায়াত করছে এবং অন্যান্য মহিলাদের কে একত্রে নিয়ে কুরআন হাদিসের আলোচনা করছে। এছাড়াও তারা সবাইকে এমন দ্বীন প্রচারে উদবুদ্ধ করছে এবং বলছে যে নিজেদের কে এসব কাজের সাথে সম্পৃক্ত রাখতে না পারলে নামাজ রোযা পড়েও জান্নাতে যাওয়া যাবে না। তারা বোরখা পরিহিত থাকে এবং পুরুষের সংস্রব এড়িয়ে চলে কিন্তু দূর থেকে আসে।

এমতাবস্থায় আমি জানতে চাই যে একজন মেয়ে মানুষের দ্বীন প্রচারের সীমারেখা এবং বাধ্যবাধকতা কতটুকু? এ ধরনের কাজ ইসলামে কি জায়েজ বা প্রয়োজনীয়?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

রাসূলুল্লাহ সাঃ এর জামানায় মহিলাগণ জুমুআহ এবং ঈদের নামাযে শরীক হতেন।কিন্তু বর্তমান ফিতনার জমানায় ফিতনার আশংকা থাকায় মহিলাদের উপর জুমুআহ ও ঈদের নামায ওয়াজিব নয়।

আল্লামা সারখাসী রাহ লিখেন,

وليس على النساء خروج في العيدين وقد كان يرخص لهن في ذلك فأما اليوم فإني أكره ذلك يعني للشواب منهن فقد أمرن بالقرار في البيوت ونهين عن الخروج لما فيه من الفتنة

ঈদের নামাযে মহিলারা ঈদগাহে যেতে পারবে না।পূর্বে তাদের অনুমতি ছিলো,কিন্তু বর্তমান ফিতনার জামানায় মহিলাদের জন্য ঈদগাহে যেয়ে ঈদের নামায অপছন্দনীয়।এখন তাদেরকে ঘরে অবস্থানের আদেশ দেয়া হবে।ঘরের বাহিরে যেতে নিষেধ করা হবে।কেননা ঘরের বাহিরে ফিতনা রয়েছে।(মাবসুত-সারখাসী-২/৪১)

শুধুমাত্র মহিলারা কি জুমুআহ এর নামায পড়তে পারবে?উত্তরে বলা যায় যে,পুরুষ ব্যতীত শুধুমাত্র মহিলাগণ জুমু'আহ এবং ঈদের নামায পড়তে পারবে না।(আহসানুল ফাতাওয়া, ৪/১৫৩) (শেষ)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/5331


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

সাধারণত নারীদের জন্য ঘরের বাহিরে যাওয়া ও একত্রিত হওয়া মাকরুহে তাহরীমি। তবে যদি দ্বীন প্রচারের নিমিত্বে কোনো মহিলা পর্দার সম্পূর্ণ ইহতেমামের সাথে ঘর থেকে বাহির হয়, এবং রাস্তাও সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকে, এবং যেখানে জমায়েত হবে সেখানেও পর্দার সম্পূর্ণ ইহতেমাম থাকে, তাহলে এই কাছকাছি দূরত্বের কোথাও নারীদের জন্য যাওয়ার রুখসত কেউ কেউ দিলেও সর্বোত্তম হল, সেখানে না যাওয়া। 


فتاوی رحیمیہ میں ایک سوال کے جواب میں لکھا ہے:

"حامدا ومصلیا ومسلما!عورتوں کو جماعت میں لے جانا مطلوب اور پسندیدہ نہیں ہے، اور  وإثمهما أكبر من نفعهما  کا مصداق ہے، عورتیں غیر محتاط ہوتی ہیں۔"

(حقوق ومعاشرت،ج:۳،ص: ۲۵۴،ط:دار الاشاعت)

احسن الفتاوی میں ایک تفصیلی فتوے کے تحت لکھا ہے:

"حضرات فقہاء کرام رحمہم اللہ کے مطلقاً حرمت کے فیصلے میں ضرورت ِ شرعیہ سے کچھ گنجائش تلاش کرنے کی سعی کے باوجود خواتین کے لئے تبلیغی جماعت میں نکلنے کے جواز کی کوئی گنجائش نہیں نکل سکی۔"

(کتاب الحظر والاباحۃ،ج:8،ص:61،ط:سعید)

عورتوں کو جماعت میں لے جانا مطلوب اور پسندیدہ نہیں ہے، اور ”وَاِثْمُہُمَا اَکْبَرُ مِنْ نَّفْعِہِمَا“ (سورہٴ بقرہ، آیت: ۲۱۹) کا مصداق ہے، عورتیں غیر محتاط ہوتی ہیں۔ فقط واللہ تعالیٰ اعلم بالصواب (۱۰/۴۹۸) (فتاویٰ رحیمیہ کامل: ۲/۱۳۶-۱۳۷، باب الدعوة والتبلیغ) (فتاویٰ دارالعلوم دیوبند: ۱۶/۲۰۸-۲۱۰)

امداد الفتاح شرح نور الإيضاح و نجاة الأرواح (321) – دار قباء (و) كره: جماعة (النساء) بإمام منهن، لأن اجتماعهن قل ما يخلو عن فتنة، و في قيامهن مخالفة حال الإمام، وهذا في غير صلوة الجنازة


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
দ্বীন প্রচারের এই বিষয় টা মহিলাদের জন্য কতটুকু প্রয়োজনীয়? যেমনঃ আমার গ্রামে যারা যায় তারা বলে যে আপনি নামাজ, রোযা, কুরআন তিলাওয়াত, স্বামীর আনুগত্য সহ অন্যান্য ইবাদত  করলেও আপনি বেহেশতে যাবেন না যদি না আপনি দ্বীন প্রচারে শরিক হোন। তাদের মতে দ্বীনের প্রচার পুরুষের জন্য যতটুকু আবশ্যক, নারীর জন্যও ততটুকুই আবশ্যক। 
এটা নারীদেরকে কোনো ফিতনার মধ্যে ফেলে দিবে কি-না তাই এ ব্যাপারে জানতে চাই।  
by (590,550 points)
জ্বী, এটা নারীদের কে ফিতনার মধ্যে ফেলে দিবে। দ্বীন প্রচার পুরুষদের জন্য ফরযে কেফায়া। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...