আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
347 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
closed by
স্ত্রী দূরে জব করে।  একদিন বলছিলো পাহাড়ী ছেলেরা বাংগালী মেয়েদের পছন্দ করে। একটা ছেলে তার নামে ভালো বলসে, সে লম্বা সুন্দর, তার মত মেয়ে পাহাড়ী মেয়েরা হয়না, আমি কিছুটা রাগ দেখাই তামাশার ছলে বলি তার সাথে যাওগা, আর আমার বাসায় আসা লাগবে না। সে এটা শুনে হাসে এবং আমিও সাথে সাথে বলি তোওবা কি বলতেসি, সে রেখে দেয়।
closed

1 Answer

0 votes
by (58,500 points)
selected by
 
Best answer

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

যদি কেউ স্ত্রীকে কেনায়া তালাকের কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করেতবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। তবে যদি তালাকে মাজলিস হয় তখনও নিয়ত না থাকলেও তালাক হয়ে যাবে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া১/৩৭৫)

হেদায়া গ্রন্থে আছেঃ

وَالضَّرْبُ الثَّانِي: الْکِنَايَاتُ، وَلاَيَقَعُ بهَا الطلاَقُ إلاَّبِنِيَةٍ، اَوْ دَلالَةٍ حَالٍ. وَهِيَ عَلَی ضَرْبَيْنِ: مَنْها ثَلاَثَةُ اَلْفَاظٍ يَقَعُ بهَا الطّلاقُ الرَّجْعِيُّ،وَلاَيَقَعُ بهَا إِلا وَاحَدَةٌ، وَهِيَ قَوْلُهُ: اعْتَدِّي، وَاسْتَبْرِئِي رَحِمَکِ، وَاَنْتِ وَاحِدَةٌ، وَبَقِيَةُ الْکِنَايَاتِ إِذا نَوَی بهَا الطلاَقَ کَانَتْ وَاحِدَةً بَائِنَةً، وَإِنْ نَوَی بِهَا ثَلاَثاً کَانَتْ ثَلاَثاً، وَإِنْ نَوَی اثْنَتَيْنِ کَانَتْ وَاحِدَةً، وَهَذَا مِثْلُ قَوْلِهِ: اَنْتِ بَائِنٌ، وَبَتَّةٌ، وَبَتْلَةٌ، وَحَرَامٌ، وَحَبْلُکِ عَلَی غَارِبِکِ، وَالْحَقی بِاَهْلِک، وَخَلِيَةٌ، وَبَرِيّةٌ، وَوَهَبْتُکِ لاهْلِکِ، وَسَرَّحْتُکِ، وَاخْتَارِيْ، وَفارَقْتُکِ، وَاَنْتِ حُرَّةٌ، وَتَقَنَّعِي، وَتَخَمَّرِي، وَاسْتَتِرِيْ، وَاغْرُبِيْ، وَابْتَغِي الاَزْوَاجَ، فَإِنْ لَمْ يَکُنْ لَهُ نِيَةٌ لَمْ يَقَعْ بِهٰذِهِ الاَلْفَاظِ طَلاَقٌ؛ إِلا اَنْ يَکُوْنَا فِيْ مُذَاکَرَةِ الطّلاَقِ؛ فَيَقَعُ بِهَا الطّلاَقُ فِيْ الْقَضَاءِ، وَلاَيَقَعُ فِيْمَابَيْنَةُ وَبَيْنَ اﷲِ تَعَالَی إِلاَّ اَنْ يَنْوِيَهُ، وَإِنْ لَمْ يَکُوْنَا فِيْ مَذَاکَرَةِ الطّلاَقِ، وَکَانافِيْ غَضَبٍ اَوْ خُصُوْمَةٍ، وَقَعَ الطّلاَقُ بِکُلِّ لَفْظٍ لاَ يُقْصَدُ بِهِ السَّبُّ وَالشَّتِيْمَةُ، وَلَمْ يَقَعْ بِمَا يُقْصَدُبِهِ السَّبُّ وَالشَّتِيْمَةُ إِلاَّ اَنْ يَنْوِيَةُ.

احمد بن محمد البغدادي المعروف بالقدوري، مختصر القدوري363. 364، موسسة الريان للطباعة والنشر والتوزيع، بيروت
برهان الدين علي المرغيناني، الهداية شرح البداية، 1: 241، المکتبة الاسلامية

সারমর্মঃ কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে যে তোমাকে আমি ছেড়ে  দিলামযা খুশি তাই করো,তুমি মুক্ততুমি স্বাধীনতুমি স্বামী খুজো,বা স্বামী তালাশ করো,তাহলে এটিও কেনায়া তালাক।
কেনায়া তালাক হলো ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা যেটা হয়।
কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয়

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,

وفي حالة الغضب يصدق في جميع ذلك لاحتمال الرد والسب إلا فيما يصلح للطلاق ولا يصلح للرد والشتم كقوله اعتدي واختاري وأمرك بيدك فإنه لا يصدق فيها كذا في الهداية...............  وفي الينابيع ألحق أبو يوسف - رحمه الله تعالى - بالخمسة ستة أخرى وهي الأربعة المتقدمة وزاد خالعتك والحقي بأهلك هكذا في غاية السروجي.

রাগের অবস্থাঃ- রাগের অবস্থায় স্বামী তালাকের নিয়তকে অস্বীকার করলে স্বামীর উক্ত বক্তব্য-কে সত্যায়ন করা হবে। কেননা সেই শব্দ সমূহে গালিগালাজ ও স্ত্রীর তালাকের আবেদন-কে  ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।

তবে যেই সমস্ত শব্দাবলীতে শুধুমাত্র তালাকের অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।গালিগালাজ বা (স্ত্রীর তালাকের আবেদন) ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান না থাকে,তাহলে সেই সমস্ত শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকার-কে সত্যায়ন করা হবে না। বরং তালাক পতিত হবে।

যেমন- তুমি ইদ্দত গণনা করো,তুমি পছন্দ করো,তোমার বিষয় তোমার হাতেইত্যাদি।সুতরাং এমন শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকারকে সত্যায়ন করা যাবে না,বরং তালাক পতিত হবে। (হেদায়া) ইমাম আবু ইউসুফ রাহ পূর্ববর্তী পাঁচের সাথে আরো দুইটি শব্দ সংযোগ করেন,তখন সর্বমোট ছয়টি শব্দ হয়। সেই দুইটি হল,আমি তোমার সাথে খোলা করলাম,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে মিলিত হয়ে যাও। (গায়াতুস-সুরুজী)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫

কেনায়া বাক্যের উদাহরণ অনেক রয়েছেঃ
তোমাকে আমি ছেড়ে দিলাম।
যা খুশি তাই করো।
তুমি মুক্ত।
তুমি খালি।
তুমি স্বাধীন।
তুমি ইদ্দত গণনা করো।
তুমি পছন্দ করো।
তোমার বিষয় তোমার হাতে।
তুমি স্বামী খুজো।
তুমি স্বামী তালাশ করো।
তোমার রশি তোমার ঘাড়ে।
তুমি তোমার পরিবারের সাথে যুক্ত হও।
আমি তোমার পরিবারের কাছে তোমাকে দিয়ে দিলাম।
আমি তোমাকে বিচ্ছিন্ন করে দিলাম।
তুমি আমার সামনে পর্দা করো।
তুমি আমার সামনে খিমার পরিধান করো, চেহারা ঢাকো ইত্যাদি ইত্যাদি।  

আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/7162/
https://ifatwa.info/7406/

 

 সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!

 

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে  “তার সাথে যাওগা, আর আমার বাসায় আসা লাগবে না” বাক্যটি কেনায়া তালাকের অন্তর্ভূক্ত। তাই উক্ত কথাটি বলার সময় আপনি তালাকের নিয়ত করে থাকলে এক তালাকে বায়েন হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে থাকেন তাহলে কোনো তালাক পতিত হবে না।  তবে ভবিষ্যতে এ জাতীয় কথা বলা থেকে বিরত থাকবেন।

উল্লেখ্য যে, মহিলাদের জন্য বাইরে চাকরী করা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/5338/  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
জাযাকাল্লাহ খইরান
১. নিয়ত মানে কি মনের দৃঢ় ইচ্চা বুঝায় নাকি ইংগিত বুঝায়?
২. আমি উপোরক্ত উক্তি করার সময় কথার টোন এরকম ছিল যে তুমি ইচ্ছে করলে চলে যেতে পারো, তাইলে আর আ।মার বাসায় আসতে হবেনা৷ কিন্তু সে তাতে কোন সম্মতি দেয় নাই, বরং হেসে রেখে দেয়। 
by (58,500 points)
তালাক দেওয়া উদ্দেশ্য ছিল কি না আপনার।

by (3 points)
reshown by
না ঠাট্টা করা উদ্দেশ্য, ইতোপূর্বে ৪ মাস আগে আমি আমার বউকে ভুলে ১ তালাক দিয়েছিলাম,  আমি অনেক অনুশোচনায় ভুগেছি, আরেকবার তালাক দেয়ার চিন্তা মনেও আনতে পারিনা, আমি বউয়ের উপর সন্তুষ্ট 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...