আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
139 views
in সালাত(Prayer) by (13 points)
সালাতুল আওয়াবিন পড়া কি বেদাত? জয়ীফ হাদিস তো আমলযোগ্য তাহলে কি তা বেদাত হবে,
আওয়াবিন অর্থ আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী এবং সালাতুল আওয়াবিন অর্থ আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তনকারীদের সালাত। সালাতুত দোহা বা চাশতের নামাজই সালাতুল আওয়াবীন।


মুসলিম, মিশকাত হা/১৩১২; মিরআত ৪/৩৫১।


মাগরিবের পর ছয়, বিশ বা যে কোন পরিমাণ নফল সালাতকে সালাতুল আওয়াবীন বলার হাদিস গুলো যঈফ।


তিরমিযী, মিশকাত ১১৭৩-৭৪, সিলসিলা যঈফাহ হা/৪৬৯, ৪৬৭, ৪৬১৭।


এইটাও ঠিক যে কোনো সহিহ হাদীস নেই এই ব্যাপারে??


একটু জানাবেন

1 Answer

+1 vote
by (62,670 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/5345/?show=5347#a5347 নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

অধিকাংশ রেওয়ায়েত দ্বারা প্রমানীত যে আওয়াবীনের নামাযের রা'কাত সংখ্যা  ছয় রাকাত। যদিও কমবেশি (২.৪,২০ রাকাত) পড়ার রেওয়ায়েতও উল্লেখ আছে।

তবে উত্তম হলো মাগরীবের দুই রাকাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা আদায়ের পর আলাদা ভাবে ৬ রাকাত আওয়াবীনের নামাজ পড়বে।

 

অবশ্য বিভিন্ন কাজের চাপে চার রাকাত পড়াও যথেষ্ট হবে।

তখন ঐ দুই রাকাত (সুন্নাত) কে আওয়াবীনের মধ্যে গণনা করা হবে। (নাজমুল ফাতওয়া ২/২৬৭)

,

হাদীস শরীফে এসেছেঃঃ

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، - يَعْنِي مُحَمَّدَ بْنَ الْعَلاَءِ الْهَمْدَانِيَّ حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ أَبِي خَثْعَمٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ صَلَّى بَعْدَ الْمَغْرِبِ سِتَّ رَكَعَاتٍ لَمْ يَتَكَلَّمْ فِيمَا بَيْنَهُنَّ بِسُوءٍ عُدِلْنَ لَهُ بِعِبَادَةِ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ سَنَةً " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ صَلَّى بَعْدَ الْمَغْرِبِ عِشْرِينَ رَكْعَةً بَنَى اللَّهُ لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ "

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি মাগরিবের পর ছয় রাকাআত নামায আদায় করলে এবং তার মাঝখানে কোন অশালীন কথা না বললে তাকে এর বিনিময়ে বার বছরের ইবাদাতের সমান সাওয়াব দেয়া হবে। {ইবনে মাজাহ (১১৬৭)}

 

আবূ ঈসা বলেনঃ আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মাগরিবের পর বিশ রাক'আত নামায আদায় করে আল্লাহ্ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরী করেন। (তিরমিজি শরীফ ৪৩৫)

 

لما فی کنزالعمال(۳۸۶/۷):۱۹۴۲۱۔من صلی بعد المغرب رکعتین قبل أن یتکلم کتبتا فی علیین۔

যে ব্যাক্তি মাগরিবের নামাজের পর কথা বলার পূর্বেই   দুই রাকাত নফল নামাজ পড়বে,তার নাম ইল্লিয়্যিনে লেখা হবে

 

وفیہ ایضاً(۷/۳۹۲): ۱۹۴۵۱۔ من صلی أربع رکعات بعد المغرب کان کمن عقب غزوۃ بعد غزوۃ فی سبیل اﷲ عزوجل (أبو الشیخ عن ابن عمر)۔

কেহ যদি মাগরীবের নামাজের পর ৪ রাকাত নফল নামাজ পড়বে, সে যেনো আল্লাহর রাস্তায় এক জিহাদের পর আরেক জিহাদে (পরপর ২ জিহাদে) অংশগ্রহণ করলো।

ویستحب ست بعد المغرب لیکتب من الأوابین۔ (شامي ۲؍۴۵۲ زکریا)

মাগরীব নামাজের পর ৬ রাকাত (আওয়াবীন) নামাজ পড়া মুস্তাহাব।

 

وفی الشامیۃ(۱۴/۲): (قولہ وھل تحسب المؤکدۃ) أی فی الأربع بعد الظھر وبعد العشاء والست بعد المغرب بحر (قولہ إختارالکمال) نعم ذکر الکمال فی فتح القدیر أنہ وقع إختلاف بین أھل عصرہ فی أن الأربع المستحبۃ ھل ھی أربع مستقلۃ غیر رکعتی الراتبۃ أو أربع بھما؟ وعلی الثانی ھل تؤدی معھما بتسلیمۃ واحدۃ أو لا، فقال جماعۃ لا، واختار ھو أنہ إذا صلی أربعا بتسلیمۃ أو تسلیمتین وقع عن السنۃ والمندوب، وحقق ذلک بمالا مزید علیہ وأقرہ فی شرح المنیۃ والبحر والنھر۔

যার সারমর্ম হলো সুন্নাতে মুয়াক্কাদাকেও কেহ কেহ উক্ত আওয়াবীনের নামাজের মধ্যে গননা করাকে সমর্থন করেছেন।

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

সালাতুল আওয়াবীন অনেক হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। তাই এটাকে বিদআত বলার কোনো সুযোগ নেই। আর আওয়াবীন নামাজ হলো যা মাগরীবের নামাজের পরে পড়া হয়। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 117 views
...