ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বিয়ের ক্ষেত্রে কু'ফু সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে,
" وأما الموالي فمن كان له أبوان في الإسلام فصاعدا فهو من الأكفاء " يعني لمن له آباء فيه " ومن أسلم بنفسه أو له أب واحد في الإسلام لا يكون كفؤا لمن له أبوان في الإسلام " لأن تمام النسب بالأب والجد وأبو يوسف ألحق الواحد بالمثنى كما هو مذهبه في التعريف " ومن أسلم بنفسه لا يكون كفؤا لمن له أب واحد في الإسلام " لأن التفاخر فيما بين الموالي بالإسلام والكفاءة في الحرية نظيرها في الإسلام في جميع ما ذكرنا لأن الرق أثر الكفر وفيه معنى الذل فيعتبر في حكم الكفاءة.
আর অনারবীদের মধ্যে যাদের দুজন বাবা তথা বাপ-দাদা বা এরচেয়ে অধিক বাবাগণ মুসলাম,সে ঐ ব্যক্তির কু'ফু হবে যার অনেক অনেক বাবগণ মুসলমান।আর যে ব্যক্তি নিজে মুসলমান, অথবা যার এক বাপ মুসলমান,সে ঐ ব্যক্তির কু'ফু হবে না যার বাপ-দাদা মুসলমান।কেননা নসব /বংশ পূর্ণ হয় বাবা এবং দাদার মাধ্যমে।কিন্তু ইমাম আবু ইউসুফ রাহ একের ভিতর দু-কে শামিল রাখেন বা রাখতে চান।অর্থাৎ তিনি শুধু বাবার ইসলামকেই যথেষ্ট মনে করেন।
যেমন কারো পরিচয়ের ক্ষেত্রে তিনি শুধু বাবার নাম উল্লেখকে যথেষ্ট মনে করেন।আর যে ব্যক্তি শুধু নিজে মুসলমান সে ঐ ব্যক্তির কু'ফু হবে না,যার বাবা মুসলমান।কেননা অনারবদের মধ্যে ইসলাম নিয়ে গর্ববোধ থাকে।আযাদ বা স্বাধীন হওয়ার বিষয়টা ও ঠিক মুসলমান হওয়ার মত।কেননা গোলামী হচ্ছে কুফুরীর আলামত।এবং তাতে অপমান ও অপদস্থতার অর্থও বিদ্যমান থাকে।সুতরাং গোলামীকে কু'ফু র অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/780
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নও মুসলিমের জন্যও তো একজন পাত্রীর প্রয়োজনিয়তা রয়েছে। তাই নওমুসলিমের নিকট বিয়ে দিতে মেয়ের বাবা মা রাজী হয়ে গেলে সেই বিবাহ অবশ্যই বিশুদ্ধ হবে। এতে কোনো সমস্যা নেই। নও মুসলিমকে সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করা মুসলিম সমাজের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য। যদি কারো মা বাবা রাজী না হয়, তাহলে উক্ত বিয়ে বিশুদ্ধ হবে না।আপনার ব্যাপারে এতটুকু বলতে পারি যে, আপনি আপনার মা বাবাকে বলে দেখতে পারেন,তারা সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে যদি সম্মত হন, তাহলে তো ভালো। নতুবা এ বিষয়কে এখানেই সমাপ্ত করে দিন।