আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
406 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (36 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

শায়েখ,

আমি জানি যে স্ত্রীর সাথে সহবাস করলে গোসল ফরজ হয়।

আর সহবাস হলো স্বামীর লজ্জাস্থানের অগ্রভাগ/সুপারি পরিমাণ  স্ত্রীর লজ্জাস্থানের ভিতরে প্রবেশ করানো।
এখন আমার প্রশ্ন হলোঃ।

১।স্ত্রীর লজ্জাস্থানের ভিতরে প্রবেশ করানো এর মানি কি স্ত্রীর যৌনির ছিদ্ররের ভিতরে প্রবেশ করানো?

২।স্বামী স্ত্রী পুরো উলঙ্গ হয়ে স্বামীর লজ্জাস্থান স্ত্রীর লজ্জাস্থানের ঠিক উপরে রেখে তারপর স্ত্রীর লজ্জাস্থানের ঠিক চারপাশে ঘর্ষন করে তাহলে কি গোসল ফরজ হবে? উল্লেখ্য স্বামীর লজ্জাস্থানের অগ্রভাগ/সুপারি পরিমাণ  যদি স্ত্রীর লজ্জাস্থানের ভিতরে প্রবেশ না করে তাহলে কি গোসল ফরজ হবে?

৩।স্বামী স্ত্রী পুরো উলঙ্গ হয়ে স্বামীর লজ্জাস্থান স্ত্রীর লজ্জাস্থানের ঠিক উপরে রেখে তারপর স্ত্রীর লজ্জাস্থানের ঠিক চারপাশে ঘর্ষন করে সেই সময় যদি স্বামীর লজ্জাস্থান স্ত্রীর লজ্জাস্থানের ভিতরে সামান্য পরিমান প্রবেশ করে উল্লেখ্য স্বামীর লজ্জাস্থানের অগ্রভাগ/সুপারি পরিমাণ পুরোপুরি প্রবেশ না করে শুধু স্বামীর লজ্জাস্থানের অগ্রভাগ/সুপারি পরিমাণের অর্ধেক বা তার চেয়ে কম প্রবেশ করে তাহলে কি গোসল ফরজ হবে?

৪।স্বামী স্ত্রী কাপড় পড়া অবস্থায় আর ওই কাপড়ের উপর দিয়েই যদি স্বামী তার নিজের লজ্জাস্থানের অগ্রভাগ/সুপারি পরিমাণ তার স্ত্রীর লজ্জাস্থানের ভিতরে প্রবেশ করায় তাহলে কি গোসল ফরজ হবে?

৫।স্বামী স্ত্রী কাপড় পড়া অবস্থায় আর ওই কাপড়ের উপর দিয়েই যদি স্বামী তার নিজের লজ্জাস্থানের তার স্ত্রীর লজ্জাস্থানের সাথে ঘর্ষন করে এবং স্বামীর লজ্জাস্থান তার স্ত্রীর লজ্জাস্থানের ভিতরে সামান্য পরিমাণ প্রবেশ করে তাহলে কি গোসল ফরজ হবে? উল্লেখ্য স্বামীর লজ্জাস্থানের অগ্রভাগ/সুপারি পরিমাণ পুরোপুরি প্রবেশ না করে শুধু স্বামীর লজ্জাস্থানের অগ্রভাগ/সুপারি পরিমাণের অর্ধেক বা তার চেয়ে কম প্রবেশ করে তাহলে কি গোসল ফরজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

মহান আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেনঃ

نِسَآؤُكُمْ حَرْثٌ لَّكُمْ فَأْتُواْ حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ وَقَدِّمُواْ لأَنفُسِكُمْ وَاتَّقُواْ اللّهَ وَاعْلَمُواْ أَنَّكُم مُّلاَقُوهُ وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِينَ

তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর। আর নিজেদের জন্য আগামী দিনের ব্যবস্থা কর এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাক। আর নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ যে, আল্লাহর সাথে তোমাদেরকে সাক্ষাত করতেই হবে। আর যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সুসংবাদ জানিয়ে দাও।(সূরা বাকারা-২২৩)

আল্লাহ অত্র আয়াতে স্ত্রীর সাথে সহবাস ও স্ত্রীর নিকট থেকে ফায়দা গ্রহণের মূলনীতি মূলক আলোচনা করছেন।সুতরাং পিছনের রাস্তা ব্যতীত স্ত্রীর কাছ থেকে যেকোনো পদ্ধতিতে ফায়দা গ্রহণ করা যাবে, এ অনুমতি রয়েছে।

সুতরাং স্ত্রীর শরীরের যেকোনো অঙ্গ দ্বারা ফায়দা গ্রহণ জায়েয।

আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/6080/

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

১. জ্বী স্ত্রীর সামনের রাস্তায় প্রবেশ করানো।

২. হাদীসে এভাবে পূর্ণ উলঙ্গ হতে অনুৎসাহিত করা হয়েছে,

عَنْ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِيَّاكُمْ وَالتَّعَرِّيَ فَإِنَّ مَعَكُمْ مَنْ لَا يُفَارِقُكُمْ إِلَّا عِنْدَ الغَائِطِ وَحِينَ يُفْضِي الرَّجُلُ إِلَى أَهْلِهِ، فَاسْتَحْيُوهُمْ وَأَكْرِمُوهُمْ»

ইবনু উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা নগ্নতা হতে বেঁচে থাক। কেননা তোমাদের এমন সঙ্গী আছেন (কিরামান-কাতিবীন) যারা পেশাব-পায়খানা ও স্বামী-স্ত্রীর সহবাসের সময় ছাড়া অন্য কোন সময় তোমাদের হতে আলাদা হন না। সুতরাং তাদের লজ্জা কর এবং সম্মান কর। [সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-২৮০০]

পুরুষের লজ্জাস্থান প্রবেশ না করে শুধু স্পর্শ করার দ্বারা গোসল ফরজ হবে না। তবে সহবাস ছাড়াই উত্তেজনার সাথে মনি বের হলে গোসল ফরজ হবে।

৩. সুপারী পরিমাণের থেকে কম প্রবেশ করলে গোসল ফরজ হবে না। তবে সতর্কতা স্বরুপ গোসল করে নেওয়াই উত্তম।

৪-৫. যদি কাপড়ের উপরের দিয়েই সহবাস করে এবং সুপারী পরিমান ভিতরে প্রবেশ করে ও কাপড়ের উপর দিয়েই উষ্ণতা ও উত্তেজনা অনুভব করেন তাহলে গোসল করতে হবে। আর যদি সুপারী পরিমানের চেয়ে কম প্রবেশ করে তাহলে গোসল করতে হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...