আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
165 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

১/ইস্তিহাযা হলে, আমি যদি ফজরের জন্য ওযু করে ফজর আদায় করি তাহলে কি সেই ওযু দিয়ে ইশরাক ও কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে? কিংবা রাতের সালাতের জন্য ওযু করার পর পুনরায় কি ফজরের সালাতের জন্য ওযু করার প্রয়োজন পড়বে?

২/ কোন আত্মীয়ের আর্থিক আয় যদি এমন হয় যে, সেখানে হালাল ও হারাম ইনকামের মিক্স আছে। তবে সেক্ষেত্রে দাওয়াত দিলে বা তাদের বাসায় গেলে কি করণীয়? তাদের দেয়া খাবার, পোশাক এগুলো কি ইউজ করা যাবে?

৩/ কেউ যদি দোকানে পণ্য তোলার ক্ষেত্রে সুদের টাকা ব্যবহার করে তাহলে সেই দোকান থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ কি হালাল হবে?
দ্রুত রিপ্লাই পেলে কৃতজ্ঞ থাকবো ইনশাআল্লাহ। আমি কনফিউজড অনেক।

জাযাকুমুল্লাহু খইর।

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://www.ifatwa.info/7474 নং ফাতাওয়ায় এমন এক প্রশ্নের জবাবে আমরা বলেছি যে, হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬) তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত। আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/78

اذا عاودها الدم في العشرة بطل الحكم بطهارتها مبتدأة كانت او معتادة و كأنها لم تطهر اصلا

হায়েয বন্ধ হওয়ার পর দশ দিনের ভিতর আবার যদি হায়েয চলে আসে,তাহলে পূর্বের পবিত্রতার বিধান খতম হয়ে যাবে। চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক। যেমন ঐ মহিলা পূর্বে পবিত্রই হয়নি। (ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/৪৮৫, যাকারিয়া)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,

فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً

মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে। চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)

হাদীস শরীফে এসেছে, 

أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام

রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা। (কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

আরো জানুনঃ  https://ifatwa.info/38291/

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

১. উক্ত অজু দিয়ে আপনি ফজরের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত কুরআন তিলাওয়াত করতে পারবেন। কিন্তু ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর ইশরাকের জন্য পুনরায় অজু করতে হবে। কারণ, মুস্তাহাযা বা মাজুর ব্যক্তির ক্ষেত্রে ওয়াক্ত শেষ হওয়ার দ্বারা তার অজুও বাতিল হয়ে যাবে। বিধায় পুনরায় অজু করে পরবর্তী ইবাদত করতে হবে। 

২. প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাদের অধিকাংশ ইনকামই যদি হারাম হয়, সেক্ষেত্রে সেই আত্মীয়দের বাসায় দাওয়াত খাবেননা বা তার দেওয়া গিফট গ্রহণ করবেন না। খেয়ে থাকলে সেই পরিমান টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনদের মাঝে সদকাহ করে দিতে হবে এবং সেই গিফটের বস্তুও সদকা করে দিতে হবে। আর যদি তাদের অধিকাংশ ইনকাম হালাল হয়, সেক্ষেত্রে তাদের বাসায় দাওয়াত খাওয়া যাবে ও হাদিয়াও নেওয়া যাবে

 আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/22304/

৩. হারাম মূলধন দ্বারা যদি কেউ হালাল উপায়ে কিছু উপার্জন করে, যে উপার্জনে তার শ্রমও থাকবে, ফুকাহায়ে কেরামের মতে এখানে মূলধন হারাম থাকার কারণে ঐ ব্যক্তির উপার্জন হারাম হবে না। বরং হালালই থাকবে। কেননা এখানে তার হালাল শ্রম রয়েছে। এবং পদ্ধতিও হালাল ছিল। হ্যা, তার উপর ওয়াজিব,সে ঐ হারাম মূলধনকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দিবে বা সওয়াবের নিয়ত ব্যতীত সদকাহ করে দিবে। কারো সামর্থ্য থাকাবস্থায় হারাম মূলধন দ্বারা ব্যবসা করা কখনো জায়েয হবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/53560


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...