بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
https://www.ifatwa.info/7474 নং ফাতাওয়ায়
এমন এক প্রশ্নের জবাবে আমরা বলেছি যে, হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের
ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই
পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী
জেওর-১/২০৬) তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত। আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/78
اذا عاودها الدم في العشرة بطل الحكم بطهارتها
مبتدأة كانت او معتادة و كأنها لم تطهر اصلا
হায়েয বন্ধ হওয়ার পর দশ দিনের ভিতর আবার যদি হায়েয চলে
আসে,তাহলে পূর্বের পবিত্রতার বিধান
খতম হয়ে যাবে। চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত
থাকুক। যেমন ঐ মহিলা পূর্বে পবিত্রই হয়নি। (ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/৪৮৫, যাকারিয়া)
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ
وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য
হবে। চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।(ফাতাওয়ায়ে
হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)
হাদীস শরীফে এসেছে,
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
রাসুল সাঃ বলেন
মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।
হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। উক্ত
সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা। (কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)
আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/38291/
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. উক্ত অজু দিয়ে আপনি ফজরের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত কুরআন তিলাওয়াত করতে পারবেন। কিন্তু ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর ইশরাকের
জন্য পুনরায় অজু করতে হবে। কারণ, মুস্তাহাযা বা মাজুর ব্যক্তির ক্ষেত্রে ওয়াক্ত শেষ
হওয়ার দ্বারা তার অজুও বাতিল হয়ে যাবে। বিধায় পুনরায় অজু করে পরবর্তী ইবাদত করতে হবে।
২. প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাদের অধিকাংশ
ইনকামই যদি হারাম হয়, সেক্ষেত্রে সেই আত্মীয়দের বাসায় দাওয়াত
খাবেননা বা তার দেওয়া গিফট গ্রহণ করবেন না। খেয়ে থাকলে সেই পরিমান
টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনদের মাঝে সদকাহ করে দিতে হবে এবং সেই
গিফটের বস্তুও সদকা করে দিতে হবে। আর যদি তাদের অধিকাংশ ইনকাম হালাল
হয়, সেক্ষেত্রে তাদের বাসায় দাওয়াত খাওয়া যাবে ও হাদিয়াও
নেওয়া যাবে।
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/22304/
৩. হারাম মূলধন দ্বারা যদি
কেউ হালাল উপায়ে কিছু উপার্জন করে, যে উপার্জনে তার শ্রমও থাকবে, ফুকাহায়ে কেরামের মতে এখানে মূলধন হারাম
থাকার কারণে ঐ ব্যক্তির উপার্জন হারাম হবে না। বরং হালালই থাকবে। কেননা এখানে তার হালাল
শ্রম রয়েছে। এবং পদ্ধতিও হালাল ছিল। হ্যা, তার উপর ওয়াজিব,সে ঐ হারাম মূলধনকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে
দিবে বা সওয়াবের নিয়ত ব্যতীত সদকাহ করে দিবে। কারো সামর্থ্য থাকাবস্থায় হারাম মূলধন
দ্বারা ব্যবসা করা কখনো জায়েয হবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/53560