আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
249 views
in পবিত্রতা (Purity) by (1 point)
1.ঘুমের মধ্যে স্বপ্নদোষ হলে ঘুম থেকে দেখি যে কাঁথা বা কম্বলে বীর্য লেগেছে, এমতাবস্থায় কি তা না ধুয়ে শুকনা অবস্থায় কি গায়ে দেওয়া যাবে? এতে কি শরীর পরবর্তীতে নাপাক হবে। শীতে বিশেষ করে ১/২ সাপ্তাহ পর পর স্বপ্ন দোষ হয়, এখন বারবার তো কাঁথা কম্বল ধোয়া সম্ভব না। প্লিজ উত্তর টা একটু দ্রুত জানাবেন?

2.প্রস্রাব করার পর ও অনেক সময় মনে হয় প্রস্রাব ক্লিয়ার হয়নি, তাই ৭/৮ মিনিট ওয়েট করি।কিন্তু তারপর ও অনেকসময় প্রস্রাব সামন্য বের হয় অনুভব করি।এমতাবস্থায় করণীয় কি? আমার অন্য কোনো সময় প্রস্রাব ঝরেনা। শুধুমাত্র ইস্তিন্জা করার পর এই সমস্যা দেখা দেয়।যার জন্য পবিত্রতা নিয়ে খুব চিন্তায় আছি।এমতাবস্থায় কি কাপড় পরিবর্তন করে নামাজ পড়া যাবে? নাকি অযু করে লজ্জাস্থান বরাবর পানি ছিটিয়ে দিলে কাপড় পবিত্র হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,230 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
( ১)
অপবিত্রতা তিন প্রকারের হতে পারে।
যথা-
(১)পবিত্র জিনিষ হয়তো নাজাসতের অংশকে চুষে নিবে না, যেমন পাথর বা তামার পাত্র কিংবা চিনির পাত্র। 
(২) অথবা নাজাসতের অংশকে সামান্য আকারে চুষে নিবে, যেমন, শরীর ইত্যাদি। 
(৩) অথবা বেশী পরিমাণে নাজাসতের অংশকে চুষে নিবে। 

(প্রথম প্রকারের হুকুম) 
প্রথম অবস্থায় দৃশ্যমান নাজাসতের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র নাজাসতকে দূর করে নিলেই তা পবিত্র হয়ে যাবে। আর অদৃশ্যমান নাজাসতের ক্ষেত্রে তিনবার ধৌত করে নিলেই তা পবিত্র হবে।

(দ্বিতীয় প্রকারের হুকুম)  
দ্বিতীয় প্রকারের হুকুমও প্রথম প্রকারের মত। 

(তৃতীয় প্রকারের হুকুম) 
যদি নিংড়ানো সম্ভব হয়, তাহলে নিংড়াতে হবে।যেমন কাপড়কে নিংড়িয়ে ধৌত করা হয়ে থাকে। সুতরাং এ প্রকারের নাজাসতকে দূর করার দ্বারা পবিত্র হবে, অথবা তিনবার ধৌত করার দ্বারা তা পবিত্র হয়ে যাবে। আর যদি নিংড়ানো সম্ভব না হয়, যেমন চাটাই ইত্যাদি, যদি জানা যায় যে, তাতে নাজাসত চুষে যায়নি, তাহলে বাহ্যিক নাজাসতকে দূর করার দ্বারাই তা পবিত্র হয়ে যাবে। অথবা নিংড়ানো ব্যতিত তিন বার ধৌত করার দ্বারাই তা পবিত্র হয়ে যাবে। আর যদি জানা যায় যে, তা নাজাসতকে চুষে নিয়েছে, তাহলে ইমাম মুহাম্মদ রাহ এর মতে উক্ত জিনিষ কখনো পবিত্র হবে না। এবং ইমাম আবু-ইউসুফ রাহ এর মতে তিনবার পানি দ্বারা ধৌত করা হবে, এবং প্রত্যেকবার শুকানো হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/19955

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
বিছানায় নাকি লাগলে বিছানাকে ধৌত করতে হবে।বেট তোষককেও ধৌত করতে হবে।ধৌত করা ব্যতিত পবিত্র হবে না।

(২)

পেশাবের পর ফোটাফোটা আসছে কি না?
সেটা পেশাবের কিছুক্ষণ পর গোপনাঙ্গে টিসু রেখে পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে।
যদি কোনো ফোটা না আসে তাহলে তো আপনি স্বাভাবিক ভাবেই পবিত্র হয়ে গেছেন।হাটাহাটি র অদ্য কোনো প্রয়োজন এক্ষেত্রে নেই।

তাই বলব হাটাহাটি করাটা একটি জরুরত পর্যায়ের বিষয়।পবিত্রিতা অর্জন করার একটি সুক্ষ্ম পদ্ধতি।
যা ওয়াজিব বা জরুরী কিছু নয়।তবে ভালভাবে পবিত্রতা অর্জন করা কিন্তু ওয়াজিব।তা যেভাবেই হোক না কেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/5917

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রস্রাব করার পর লিঙ্গকে ধরে আগ পিছ করে নিবেন।তারপর লিঙ্গে পানি ছিটিয়ে দিবেন। তারপর যদি প্রস্রাব নির্গত হওয়া নিয়ে আপনার পূর্ণ ইয়াকিন বিশ্বাস হয়, তাহলে আপনি কাপড় পাল্টাবেন বা কাপড়ের ঐ স্থানকে ধৌত করে নিবেন। নতুবা কাপড়ের ঐ স্থানকে ধৌত করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,230 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by
reshown
বিছানা চাদর তো ধোয়া সহজ কিন্তু ১ সপ্তাহ পরপর কাঁথা/ কম্বল ধোয়া কঠিন। অনেকে বলেন যে বীর্য নাকি পাক।এটা কতটুকু সত্য। তাই শায়েখ এ বিষয়ে কী করতে পারি শীতকালে কাঁথা কম্বল গায়ে দিতে ও ভয় লাগে, যদি নাপাক হয়ে যায়। এ বিষয় নিয়ে মানসিক যন্ত্রণায় আছি








by
টিস্যু ধরে রাখার পর তখন আর প্রসাব বের হবে বলে মনে হয়না কিন্তু পানি ব্যবহার করে, টয়লেটের বাহিরে আসার পর প্রসাবের ফোঁটা বের হওয়ার অনুভূতি হয়। কিন্তু সবসময় হয়না।একবার এরকম বের হয়েছে মনে হবার পর পরবর্তী ইস্তিন্জা করার আগে এসমস্যা আর লাগেনা। এখন কি করতে পারি।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 194 views
...