ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
এশার নামাযের ফরয পড়ার পর যদি সুন্নত বিতির পড়ে নেয়া হয়, তারপর মনে হয় যে এশার নামায হয়নি বা ফাসিদ হয়েছে, তাহলে শুধুমাত্র সুন্তকেই দোহড়াতে হবে। বিতিরকে আর দোহড়ানোর কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।
الهداية شرح البداية - (1 / 74):
"و على هذا إذا صلى العشاء ثم توضأوصلى السنة والوتر ثم تبين أنه صلى العشاء بغير طهارة فعنده يعيد العشاء والسنة دون الوتر لأن الوتر فرض على حدة عنده."
بدائع الصنائع في ترتيب الشرائع - (3 / 70):
"و على هذا الاختلاف إذا صلى الوتر على ظن أنه صلى العشاء ثم تبين أنه لم يصل العشاء يصلي العشاء بالإجماع و لايعيد الوتر عنده."
مجمع الأنهر في شرح ملتقى الأبحر - (1 / 216):
"و لو صلى العشاء بلا وضوء حال كونه ناسيًا ثم صلى السنة و الوتر به أي بالوضوء يعيد السنة لإعادة العشاء إذ لم يصح أداء السنة قبل الفرض مع أنها أديت بالوضوء لأنها تبع الفرض."
(২)
ইমামের ক্বেরাত অশুদ্ধ হলে কি সবার নামাজ অশুদ্ধ হবে।বরং শুধুমাত্র যারা ভুল ধরতে বা বুঝতে পারে তাদের নামাজই ফাসিদ হবে।
(৩)
"নামাজ হয়নি", এটা সবাইকে জানিয়ে দেওয়া আপনার জন্য জরুরী বা ওয়াজিব নয়।
(৪)
ইমামকে ভুল ধরিয়ে দেওয়ার পর অথবা বার বার লোকমা দেওয়ার পরও যদি ভুল থেকে যায়, তাহলে মুক্তাদিদের উচিৎ। ফিতনা না করে ইমাম সাহেবকে বিদায় দেয়া, আর ফিতনার আশংকা থাকলে নিজে একটু কষ্ট করে অন্য মসজিদে নামায আদায় করে নেয়া।