আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
170 views
in সালাত(Prayer) by (15 points)
closed by

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। 

আজকে একটা মসজিদে আমরা কয়েকজন বন্ধু ইশার নামাজ আদায় করি। নামাজে ইমামের ক্বেরাত এমন ভুল ছিল যে, যাতে নামাজ ভেঙে যায়। এটা আমরা কয়েকজন বুঝতে পারি। আমরা নামাজ শেষে বসে ছিলাম। পরে আমরা আবার জামাতবদ্ধ হয়ে ইশার নামাজ আদায় করি। তবে আমার কয়েকজন বন্ধু সুন্নাত বিতির পড়ে আগেি ফেলেছিলো।

এখন জানার বিষয় হলো-

১. আমার যে বন্ধুরা সুন্নাত বিতির পড়ে ফেলেছিলো, তাদের কি ফরজের পাশাপাশি সুন্নাত বিতিরও দোহরানো লাগবে??

২. ইমামের ক্বেরাত অশুদ্ধ হলে কি সবার নামাজ অশুদ্ধ হবে? নাকি শুধুমাত্র যারা ভুল ধরতে বা বুঝতে পারে তাদের নামাজ অশুদ্ধ হবে??

৩. "নামাজ হয়নি", এটা সবাইকে জানিয়ে দেওয়া কি আমাদের উপর ওয়াজিব হয়ে যাবে?

৪. কোনো ইমামকে ভুল ধরিয়ে দেওয়ার পর অথবা বার বার লোকমা দেওয়ার পরও যদি ভুল থেকে যায় তাহলে মুক্তাদিদের কী করণীয়??

closed

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
selected by
 
Best answer
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
 এশার নামাযের ফরয পড়ার পর যদি সুন্নত বিতির পড়ে নেয়া হয়, তারপর মনে হয় যে এশার নামায হয়নি বা ফাসিদ হয়েছে, তাহলে শুধুমাত্র সুন্তকেই দোহড়াতে হবে। বিতিরকে আর দোহড়ানোর কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।

الهداية شرح البداية - (1 / 74):
"و على هذا إذا صلى العشاء ثم توضأوصلى السنة والوتر ثم تبين أنه صلى العشاء بغير طهارة فعنده يعيد العشاء والسنة دون الوتر لأن الوتر فرض على حدة عنده."
بدائع الصنائع في ترتيب الشرائع - (3 / 70):
"و على هذا الاختلاف إذا صلى الوتر على ظن أنه صلى العشاء ثم تبين أنه لم يصل العشاء يصلي العشاء بالإجماع و لايعيد الوتر عنده."
مجمع الأنهر في شرح ملتقى الأبحر - (1 / 216):
 "و لو صلى العشاء بلا وضوء حال كونه ناسيًا ثم صلى السنة و الوتر به أي بالوضوء يعيد السنة لإعادة العشاء إذ لم يصح أداء السنة قبل الفرض مع أنها أديت بالوضوء لأنها تبع الفرض."


(২)
ইমামের ক্বেরাত অশুদ্ধ হলে কি সবার নামাজ অশুদ্ধ হবে।বরং শুধুমাত্র যারা ভুল ধরতে বা বুঝতে পারে তাদের নামাজই ফাসিদ হবে।

(৩)
 "নামাজ হয়নি", এটা সবাইকে জানিয়ে দেওয়া আপনার জন্য জরুরী বা ওয়াজিব নয়।

(৪)
ইমামকে ভুল ধরিয়ে দেওয়ার পর অথবা বার বার লোকমা দেওয়ার পরও যদি ভুল থেকে যায়, তাহলে মুক্তাদিদের উচিৎ। ফিতনা না করে ইমাম সাহেবকে বিদায় দেয়া, আর ফিতনার আশংকা থাকলে নিজে  একটু কষ্ট করে অন্য মসজিদে নামায আদায় করে নেয়া।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 114 views
...