আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
231 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (68 points)

বেইমান ও শয়তান মুল শব্দের অর্থের বাইরে বিভিন্ন কারণে সমাজে ইউজ হয়। এই বিষয়টা নিয়ে একটু জানতে চাই্

১. যারা মিথ্যা কথা বলে বা কথা দিয়ে কথা রাখে না, তাদেরকে অনেকে বেইমান বলে সম্ভোদন করে থাকে। যেমন, অমুক তো মারাত্মক বেইমান, এইটা কাফের হিসাবে বলে না। এই গুলো বলা তো ঠিক নয় জানি। কিন্তু কাওকে এইগুলা বলার পরে সে যদি "হাসে" , বা কখনো নিজেকে এই পার্পাসে বলে "যে সে বেইমান ই ভালো " এতে কি তারা কাফের হবে?

২. দুষ্টুমি করার ক্ষেত্রে অনেকে শয়তান টার্ম টা ইউজ করে, বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বেশি ইউজ হয়। এইটা ইউজ করাও ঠিক না, কিছু দুষ্টু বা খারাপ এইটা বুঝানের ক্ষেত্রে কেও যদি মজা করে বলে যে "সে ও অনেক শয়তান" এতে কি কুফর হবে?

৩. যারা সাহাবিদের থেকে ২/১ জনকে কাফের বলে,যেমন আমীরে মুয়াবিয়া (রাঃ) তারা কি কাফের না কি আহলুস সুন্নত ওয়াল জামাআতের বাইরে কোনটা সঠিক?   ৷   কেও যদি তাদের কাফের বলে এটা কি তার ইমানে সমস্যা তৈরি করবে?

৪.আপন কাজিন অনেকেই বিদেশে থাকে দেশে থাকাকালীন আমি ছোট ছিলাম,  তাদের সাথে ওতো কানেকটিভিটি নাই তাদের সাথে মাঝেমধ্যে ফোনে যোগাযোগ রাখা কি প্রয়োজন?উনারা কল টল দেয় না, না কি তারা দেশে আসলে বা দেখা হলে কথা বার্তা বলাই আত্মীয় সম্পর্ক রক্ষার জন্য যথেষ্ট।  আর কোন কোন আত্মীয়দের সাথে সম্পর্ক রাখতেই হবে কোনো তালিকা আছে কি?

জাজাকাল্লাহ মুফতি সাহেব

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
যেহেতু এখানে বে-ঈমান দ্বারা কাফির উদ্দেশ্য নেয়া হচ্ছে না। বরং মিথ্যুক বা চারিত্রিক অধপতন বুঝানো হচ্ছে, তাই একথা যিনি বলছেন তিনি কাফির হবেন না।এবং যাকে বলা হচ্ছে,সে যদি হাসে" বা কখনো নিজেকে এই পার্পাসে বলে "যে সে বেইমান ই ভালো " এতে করে তার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।সে কাফের হবে না।


(২)
দুষ্টুমি করার ক্ষেত্রে শয়তান টার্ম টা ইউজ করা হয়, বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বেশি ইউজ হয়। এটা ইউজ করা ঠিক নয়। কিছু দুষ্টু বা খারাপ এইটা বুঝানের ক্ষেত্রে কেউ যদি মজা করে বলে যে, "সে অনেক শয়তান" এতে করে কুফরি হবে না। ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।


(৩)
সকল সাহাবায়ে কেরাম ক্ষমাপ্রাপ্ত। সুতরাং সাহাবাদের কাউকে কাফির ইত্যা বলা বা গালিগালাজ করা জায়েয হবে না। আমীরে মুয়াবিয়া (রাঃ)কে যে বা যারা কাফের আখ্যায়িত করবে। সে আহলুস সুন্নত ওয়াল জামাআতের বাইরে অবস্থান করবে। সে পথভ্রষ্ট ও গোমারাহ হিসেবে বিবেচিত হবে। হ্যা, তাকে কাফির বলা যাবে না।



(৪)
কাজিনরা বিদেশে অবস্থানরত হলে তাদের সাথেও সিলাহ রেহমি করতে হবে। মেসেজে মাঝেমাঝে কথা বললেই আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা হয়ে যাবে। তাদের কেউ বিপরীত লিঙ্গের হলে তখন যোগাযোগ করা জায়েয হবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1517


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by
সাহাবীদের যারা কাফের বলে, তাদের কাফের মনে করলে কি আমাদের ইমানে সমস্যা হবে?
আমি আগে জানতাম যে যারা যারা আমীরে মুয়াবিয়া (রাঃ) কে কাফের বলবে তারা কাফের। আমার এখন কি করনীয়?
by (597,330 points)
আপনি ইউজার নামে আপনার সঠিক পরিচয় দিবেন।
আপনি এই মনোভাবে র কারণে কাফির হবেন না।
by (68 points)
লগ ইন না করেই কমেন্ট করে ফেলেছিলাম। পরিচয় দিবো শায়েখ।
জাজাকাল্লাহ শায়েখ উত্তর দেওয়ার জন্য। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...