বেইমান ও শয়তান মুল শব্দের অর্থের বাইরে বিভিন্ন কারণে সমাজে ইউজ হয়। এই বিষয়টা নিয়ে একটু জানতে চাই্
১. যারা মিথ্যা কথা বলে বা কথা দিয়ে কথা রাখে না, তাদেরকে অনেকে বেইমান বলে সম্ভোদন করে থাকে। যেমন, অমুক তো মারাত্মক বেইমান, এইটা কাফের হিসাবে বলে না। এই গুলো বলা তো ঠিক নয় জানি। কিন্তু কাওকে এইগুলা বলার পরে সে যদি "হাসে" , বা কখনো নিজেকে এই পার্পাসে বলে "যে সে বেইমান ই ভালো " এতে কি তারা কাফের হবে?
২. দুষ্টুমি করার ক্ষেত্রে অনেকে শয়তান টার্ম টা ইউজ করে, বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বেশি ইউজ হয়। এইটা ইউজ করাও ঠিক না, কিছু দুষ্টু বা খারাপ এইটা বুঝানের ক্ষেত্রে কেও যদি মজা করে বলে যে "সে ও অনেক শয়তান" এতে কি কুফর হবে?
৩. যারা সাহাবিদের থেকে ২/১ জনকে কাফের বলে,যেমন আমীরে মুয়াবিয়া (রাঃ) তারা কি কাফের না কি আহলুস সুন্নত ওয়াল জামাআতের বাইরে কোনটা সঠিক? ৷ কেও যদি তাদের কাফের বলে এটা কি তার ইমানে সমস্যা তৈরি করবে?
৪.আপন কাজিন অনেকেই বিদেশে থাকে দেশে থাকাকালীন আমি ছোট ছিলাম, তাদের সাথে ওতো কানেকটিভিটি নাই তাদের সাথে মাঝেমধ্যে ফোনে যোগাযোগ রাখা কি প্রয়োজন?উনারা কল টল দেয় না, না কি তারা দেশে আসলে বা দেখা হলে কথা বার্তা বলাই আত্মীয় সম্পর্ক রক্ষার জন্য যথেষ্ট। আর কোন কোন আত্মীয়দের সাথে সম্পর্ক রাখতেই হবে কোনো তালিকা আছে কি?
জাজাকাল্লাহ মুফতি সাহেব