আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
175 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (51 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহৃমাতুল্লাহ।

১।কোন স্ত্রী যদি মেসেজে তালাক চায় স্বামী যদি বলে দিব বা ধরেন কিছুই বলে নি।এরপর  মানে পরপর আর কি স্ত্রী যদি বলে বেশি ভুল করেছি মা বাবার অমতে বিয়ে করে।স্বামী যদি বলে আমার সাথে বেশি অসুখী তাই না তুমি? শুধু শুধু তুমি কস্ট পাচ্ছ আমাকে বিয়ে করে মানে স্বামী ধরেন বলতেছে আর কি।এরপর স্বামী যদি বলে চলে যাও বা যদি বলে থাকিও না আমার সাথে বা অন্য কোন কেনায়া শব্দ নিয়ত ছাড়া বলে অভিমান করে বা রাগ করে তাহলে কি তালাক হয়?

২।
ifatwa.info/36989/

ifatwa.info/37033/

শায়খ এখানে উত্তরে কি বুঝাতে চেয়েছেন যে মানে সবার সামনে একজন  অপরজনকে বউ আর জামাই ডাকলে বিয়ে হয়ে যায় না এটা? মানে ধরেন সবার সামনে মানে অনেক পুরষ আর মহিলার সামনে   একটা ছেলে বউ ডাকল আর মেয়েটা জামাই ডাকছে।মানে এখানে ইজাব আর কবুল হয় নি এটাই তহ?তাই বিয়ে হবে না এই তহ?

 ৩।একটা মেয়েকে ধরেন স্বামী মুখে আর কাগজে পাওয়ার দিয়েছে।কোন মেয়ে বিয়ে করেছে ধরেন মা বাবার অমতে।পরে মা বাবা মানতেছে না।।মেয়েকে ধরেন বলতেছে স্বামীকে ছেড়ে দিতে, ধরেন পাশে বসে বলতেছে আর কি মেয়ের ।স্ত্রী যদি বলে আপনারা যা বলবেন তা করব। অথবা যদি অন্য কোন কেনায়া শব্দ বলে নিয়ত ছাড়া।মানে এরপরেও  নিয়ত ছাড়া কথাগুলো বলার পর ও দরেন মেয়েটার তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে না না করে।আর পরেরদিন মা বাবাকে বলে যে আমি আমার স্বামীর সাথেই থাকতে চায়।তাহলে কি আগের কথা গুলো নিয়ত ছাড়া বললে তালাক হবে? সে দিলেও পরে দিবে ধরেন এমনটা নিয়ত ছিল।আর কেনায়া শব্দ বললেও ধরেন তখন তালাকের নিয়ত ছাড়া বলেছে।তার মোটেও নিজেকে তালাক দেওয়ার নিয়ত ছিল না ধরেন।তাহলে কি তালাক হবে? আসলে সে ভেন্গে পড়েছিল এসব বিষয় নিয়ে ধরেন মানে মা বাবা মানতেছে না এসব বিষয় নিয়ে আর সবসময় কেনায়া তালাকের সন্দেহ নিয়ে তখন খুব ভেন্গে পড়েছল  মনে করেন।

৪।৩ নং টা হুবুহু আমার প্রশ্ম না।কিছু বাড়তি যোগ আছে যেমন মা বাবা যে কথাটা বলেছে সেটা।আমার স্বামী আমাকে পাওয়ার দিছে।আমি অন্য জনের দিকে ইন্গিত করে  প্রশ্নটা করেছি মাসআলা জানার জন্য।এতে কি আমার বেৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
স্বামী যেহেতু তালাকের নিয়ত ছাড়া বলেছে,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাক হবেনা। 

(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ইজাব আর কবুল হয় নি,তাই বিয়ে হবে না। 

বিস্তারিতঃ-
ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-

বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 

বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

قال في "كشاف القناع" (5/ 37) : "ولا ينعقد النكاح إلا بالإيجاب والقبول ، والإيجاب هو اللفظ الصادر من قِبَل الولي أو من يقوم مقامه كوكيل.

সারমর্মঃ
ইজাব কবুল ব্যাতিত বিবাহ হবেনা।
ইজাব হলো যে শব্দটি অভিভাবক অথবা তার স্থলাভিষিক্ত এর থেকে বের হয়,যেমন উকিল।    

বাহরুর রায়েক গ্রন্থে আছেঃ-

وَتَمَامُهُ فِي الْفَصْلِ السَّابِعَ عَشَرَ فِي النِّكَاحِ بِالْكِتَابَةِ مِنْ الْخُلَاصَةِ، وَقَيَّدَ بِالْإِيجَابِ وَالْقَبُولِ؛ لِأَنَّهُ لَا يَنْعَقِدُ بِالْإِقْرَارِ فَلَوْ قَالَ بِحَضْرَةِ الشُّهُودِ: هِيَ امْرَأَتِي، وَأَنَا زَوْجُهَا، وَقَالَتْ: هُوَ زَوْجِي، وَأَنَا امْرَأَتُهُ لَمْ يَنْعَقِدْ النِّكَاحُ؛ لِأَنَّ الْإِقْرَارَ إظْهَارٌ لِمَا هُوَ ثَابِتٌ، وَلَيْسَ بِإِنْشَاءٍ 
সারমর্মঃ
ইজাব কবুলের সাথে বিবাহকে মুকায়্যাদ করা হয়েছে।কেননা ইজাব কবুল ব্যাতিত বিবাহ শুদ্ধ হয়না।
সুতরাং কেহ যদি সাক্ষীদের সামনে বলে যে সে আমার স্ত্রী আর আমি তার স্বামী,আর মহিলাটিও বলে যে সে আমার স্বামী আর আমি তার স্ত্রী,তাহলে বিবাহ শুদ্ধ হবেনা।
কেননা স্বীকারোক্তি বলা হয় যাহা আগে থেকে প্রমানিত, সেটি প্রকাশ করা,নতুন ভাবে কোনো কিছু হওয়া নয়।
(বাহরুর রায়েক-৩/৯০)

হেদায়া গ্রন্থে আছেঃ

النكاح ينعقد بالإيجاب والقبول بلفظين يعبر بهما عن الماضي لأن الصيغة وإن كانت للإخبار وضعا فقد جعلت للإنشاء شرعا دفعا للحاجة وينعقد بلفظين يعبر بأحدهما عن الماضي وبالآخر عن المستقبل مثل أن يقول زوجني فيقول زوجتك لأن هذا توكيل بالنكاح والواحد يتولى طرفي النكاح الھدایۃ، ج:1، ص:185، ط:دار احياء التراث العربي - بيروت - لبنان
সারমর্মঃ
বিবাহ ইজাব কবুল দ্বারা সম্পন্ন হয়,দুটির একটি অতিতকাকাল সূচক বাক্য হবে,আরেকটি বর্তমান কাল বুঝায় এমন বাক্য হতে হবে।

হেদায়া গ্রন্থে আছেঃ 
وینعقد بلفظ النکاح والتزویج والہبة والتملیک والصدقة )
সারমর্মঃ  
বিবাহ,তাযয়িজ,হিবা,তামলিক,সদকাহ এই জাতীয় বাক্য গুলি দ্বারা বিবাহ সম্পন্ন হয়।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা। 

(০৪)
এতে আপনার বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (51 points)
edited by
১।আপনি উপরের ৩ নং প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন তালাক হবে না।তহ কথাগুলো মাকে বলার সময় মানে বিয়ে করেছে যে সেটা আগে জানত না মা।পরে মাকে বলার পর মা যখন উঠে যাচ্ছে তখন মায়ের হাত ধরে মাকে বসায় আর বলে আমার কথা গুলো শুনেন।মা বলে কি শুনতাম কি শুনার বাকি রাখছস? কি করতে চাস যে এখন।মেয়েটা যদি বলে আপনারা যেটা বলেন সেটা।মা যদি বলে  ছেড়ে দিয়ে চলে আয়।এরপর যদি মেয়েটা নিয়ত ছাড়া কেনায়া শব্দ বলত তাহলেও তালাক হত না এই তহ?৩ নং  প্রশ্নটা আবার একটু দেখে এই কমেন্টের উত্তরটা একটু দিয়েন দয়া করে।মেয়েটার ধরেন মোটেও নিজেকে তালাক দেওয়ার জন্য,কিছু বলে নি।এমনকি সেই চিন্তা আসলেও না না করত তখন।দিলেও পরে দিবে সেটা ভাবত।মায়ের সাথে কথাগুলো বলার পর তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে না না করত।মায়ের সাথে কথা বলার সময় ভাবত মা বাবার দিকে তাকিয়ে ছেড়ে দিবে মানে পরে।তখন না।এমনকি  অনেক ওয়াসওয়াসা আসলেও না না করত। মানে নিজেকে তালাক দিবে না সেটার জন্য না না করত।পরে দিবে দিলে সেটা ভাবত।তহ পরেরদিন বাবাকে বলে বাবা আমি স্বামীর সাথে থাকতে চায়।এহ এখন ওরা একসাথে সংসার করলে তহ কোন সমস্যা হবে না তাই না?

২। উপরের এই প্রশ্নটা হুবুহু  আমার না।বাড়তি কিছু যোগ আছে।এটা জানার জন্য করেছি।আমার স্বামী পাওয়ার দিলেও তহ এভাবে প্রশ্ন করার কারনে সমস্যা হবে না তাই না?

৩।স্ত্রী ধরেন এখনো বাবার বাড়িতে থাকে।ধরেন কোন মেয়ে মেসেজে তালাক চায়ছে স্বামী ধরেন কিছু বলে নি অথবা বলেছে তুমি দাও অথবা দিব বলেছে। এরপর স্ত্রী ধরেন আবার বলতেছে চলে যাব অনেক দূরে  যেদিকে চোখ যায়  তুমার কাছ থেকে দূরে যেখানে তুমার ছায়াও পড়বে না অথবা শুধু বলল ধরেন চলে যাব রাগ করে।স্বামী যদি এর উত্তরে যাওগা বলে নিয়ত ছাড়া তাহলে কি তালাক হবে? মানে নিজ থেকে চলে যাও না বলে স্ত্রী চলে যাব বলেছে সেটার জন্য যাওগা বললে? মানে মনে হয়ত এটা স্বামীর যাইলে যাগ্গা।যদি তালাকের নিয়তে  না বলে এমনিতে নিয়ত ছাড়া বলে তাহলে কি তালাক হবে?
by (565,890 points)
(০১)
এতে তালাক হবেনা।

(০২)
সমস্যা হবেনা।

(০৩)
তালাক হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...