গুল সরাসরি তামাক থেকে তৈরী। আর তামাক বা তামাকজাত যে কোন নেশাদার দ্রব্য খাওয়া সর্বাবস্থায় নিষিদ্ধ।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كُلُّ مُسْكِرٍ خَمْرٌ وَكُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ وَمَنْ شَرِبَ الْخَمْرَ فِي الدُّنْيَا فَمَاتَ وَهُوَ يُدْمِنُهَا لَمْ يَتُبْ لَمْ يَشْرَبْهَا فِي الْآخِرَةِ» . رَوَاهُ مُسلم
ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নেশা উদ্রেককারী প্রত্যেক জিনিসই ‘মদ’ আর প্রত্যেক নেশা সৃষ্টিকারী জিনিসই হারাম। আর যে ব্যক্তি দুনিয়াতে মদ পান করেছে এবং অবিরত পান করতে থাকে এবং তা থেকে তওবা্ না করেই মৃত্যুবরণ করেছে, তাহলে সে পরকালে তা (জান্নাতী সুপেয় মদ) পান করতে পারবে না।
(সহীহ : মুসলিম ২০০৩, আবূ দাঊদ ৩৬৭৬, নাসায়ী ৫৬৭৩, তিরমিযী ১৮৬১, আহমাদ ৫৭৩০, সহীহ আল জামি‘ ৪৫৫৩, সহীহ আত্ তারগীব ২৩৬১।)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
গুল নেশা জাতীয় দ্রব্য,আর দাঁতের জন্য যেহেতু বৈধ, পদ্ধতিতে চিকিৎসা নেয়ার পদ্ধতি আছে,তাই গুল দ্বারা দাঁতের জন্য এভাবে চিকিৎসা নেয়া জায়েয নয়।
রাসূল (ছাঃ) বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা তার মধ্যে আরোগ্য রাখেননি, যা তিনি তোমাদের জন্য হারাম করেছেন (ছহীহ ইবনে হিববান হা/১৩৯১; সিলসিলা ছহীহাহ হা/১৬৩৩)।