আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
150 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (18 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম,
১ নাম্বার প্রশ্ন)ওয়াসওয়াসায় আমার জীবন অতিষ্ঠ । দিন দিন পাগলের মত হয়ে যাচ্ছি । আমার কাছে মনে হয় দূর থেকে আমাকে কেউ দেখলে ভাবতে পারি আমি পাগল।কারন মনে মনে দোয়া পড়ি আমার ওয়াসাওয়াসার জন্য মাথা ঝাকিয়ে নিয়ত করি। দূর থেকে কেউ দেখলে ভাবে আমি একা একা কথা বলি । আমার প্রত্যেক কথায় কথায়ওয়াসওয়াসার সন্দেহে নিয়ত করা লাগে। যেমন- আমি ভাত খাবো( মনে মনে বলি আমার কোন নিয়ত নাই), তুমি এখানে আসো( মনে মনে বলি নিয়ত নাই), এই কাজটা কে করেছে( মনে মনে বলি আমার নিয়ত নাই) , দোয়া পরি আর মনে মনে বলি আমার নিয়ত নাই ।এগুলো তো শুধু কথা আমি পানি খাওয়ার সময় ,ঢোক গিলার সময়, মাথা নাড়ালে, বা নামাজে সূরা পড়ার সময় পর্যন্ত মনে মনে নিয়ত করি। আমি যদি নিয়ত না করি আমার সন্দেহ হয় কথা বলার পর পরই তা**** বাজে চিন্তা মাথায় এসে পড়বে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে , যার জন্যে আমি নিয়ত করে নিরাপদ থাকতে চাই। এই প্রশ্ন টা লিখার সময় যে কতবার নিয়ত করলাম আল্লাহ ভালো জানে।

আমার প্রত্যেক কথায় নিয়ত করে আমি কি ওয়াসওয়াসা কে প্রশ্রয় দিচ্ছি? আমার করনিয় কি ? ভয়ে আমি স্ত্রীর সাথে কথা কম বলি দোকানে সবার সাথে কম বলি । আমার কথা কম বলার কারনে আর প্রত্যেক কথায় নিয়ত করার কারনে কি ওয়াসওয়াসা প্রশ্র‍য় পাচ্ছে?

২ নাম্বার প্রশ্ন) প্রত্যেক কথায়  কেনায়া সন্দেহ। গত কাল আসরের ওয়াক্ত থেকে এই পর্যন্ত কি পরিমান সন্দেহের মধ্যে ছিলাম শুধু  তাই লিখবো ,তারপর বলবেন আমি কি সুস্থ মানুষ নাকি অসুস্থ।

* নামাজ শেষে সূরা ফালাক পড়ার সময় ,মিন শাররি মা খলাক পরলাম । সন্দেহ হয় আমি খলাক বললাম নাকি অন্য কিছু বললাম। আবার সিউর হওয়ার জন্য পড়লাম হাত নাড়িয়ে এইবার সেম সন্দেহ হয়। আমি সিউর খলাক শব্দই পড়েছি এবং এর দারা কোন সমস্যাও হবে না। এই কথার শেষে আবার নিয়ত করি। সূরা পড়েও কি নিয়ত করা লাগবে আমার?

* আল্লাহর কাছে দোয়া করছি নামাজ পড়ে, আল্লাহ আপনার কাছে শয়তান বা দুষ্ট জীনের থেকে পানাহ চাই। মনে মনে অই চিন্তা চলে আসে। আমি তো শুধু শয়তান বা দুষ্ট জীন থেকে পানাহ চাই এই কথাটা বললাম । এই কথার সাথে অইটা মনে হওয়ার কি সম্পর্ক সেটাই বুঝতে পারলাম না।নিজেই নিজেকে উত্তর দিচ্ছি এগুলো ওয়াসওয়াসা ,এগুলো পাত্তা দিবোনা।

* আলহামদুলিল্লাহ পড়তেছি মনে মনে । মনে হচ্ছে অই নিয়তে আলহামদুলিল্লাহ পড়তেছি।কিন্তু আমি খুশি হয়ে আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায় করতে আলহামদুলিল্লাহ পড়ছিলাম।

*কাস্টমারে জন্য মেমো বা বিল বানাচ্ছিলাম ,৩২০ পরে সন্দেহ হল আমি ৩২০ তা**** এর কথা লিখলাম নাকি তাই ৩২০ লিখে সাথে টাকা লিখেছি যাতে সন্দেহ না হয়।

* উপরে যে প্রশ্ম নাম্বার ১ প্রশ্ম নাম্বার দুই লিখেছি তার কারন হচ্ছে শুধু ১ মনের মধ্যে শুধু অইটা চিন্তা হয় যার কারনে সাথে প্রশ্ন নাম্বার ১ প্রশ্ন নাম্বার ২ লিখেছি

* গতকাল খাওয়ার সময় মুখ নড়ছিলো । মনে মনে নিয়ত করলাম যে আমার কোন নিয়ত নাই।

* কাস্টমারকে বলছি, আটটা বাজে শেষ হবে । কাজের কথা বুঝাইছি তারপর সন্দেহ হয় শেষ কি কেনায়া বাক্য? পরে আবার চিন্তা করি এগুলো ওয়াসাওয়াসা আর তাছাড়া আমিতো শেষ হবে বলেছি তারপর কাস্টমার কে উদ্দেশ্য করে বলেছি এগুলো তে কিচ্ছু হবে না। তারপর আমার ভেতরে ভেতরে চিন্তা হয়, তুমি তো মুফতি সাহেব নিজের ফতুয়া নিজেই দেও, যাও ,আগে কোন মুফতি কে জিজ্ঞেস কর।( যাও , আগে কোন মুফতি কে জিজ্ঞেস কর এটা বলার পর নিয়ত করেছি যে আমার কোন নিয়ত নাই)

*কাস্টমারকে বলছি, তুই দিয়েছিস । মানে কাজের মাপ দেওয়ার কথা বলেছি। পরে সন্দেহ হলে আবার চিন্তা করলাম যে ,আমি কাষ্টমারকে বলেছি তুই দিয়েছিস তাও আবার মাপের কথা বললাম।যদি কাস্টমার  কে বলি তুই দিয়েছিস , তার মানে কাস্টমার আমাকে দিয়েছে, একেতো কাস্টমার আমাকে অইটা কেনো দিবে তারমধ্যে মেয়ে মানুষ দিতে পারবেনা।এই চিন্তা করি পরে নিজে নিজে হাসি আর চিন্তা করি আমি সিউর পাগল হয়ে গেছি মনে হয়।

আমাকে একটু বলবেন এগুলো সবই কি ওয়াসওয়াসা? আমি এগুলো পাত্তা দিবো? কতদিন পাত্তা দিবোনা আমাকে শুধু এতটুকু  বলেন তাহলে আমি ঠিক ততদিন আর এগুলোকে পাত্তা দিবোনা। আমাকে এক্টু বলেন যে আমি কতদিন নিয়ত করবোনা আমি কথা দিচ্ছি ঠিক ততদিন নিয়ত করবোনা। আমি একটু সুস্থ থাকতে চাই। সমস্যাগুলো তখনই হয় যখন একটা সমস্যার সমাধান হয় বা যখন কোন প্রবল সন্দেহ থেকে নিজেকে মুক্ত করি তখন

https://ifatwa.info/55711/ আমার আগের প্রশ্নোত্তর যদি প্রয়োজন হয়

1 Answer

0 votes
by (679,640 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ تَجَاوَزَ لأُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ وَحَدَّثَتْ بِهِ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ بِهِ

‘নিশ্চয় আল্লাহ্ তাআলা আমার উম্মতের ওয়াসওয়াসা, মনে মনে কথা বলা ক্ষমা করে দিয়েছেন; যতক্ষণ না সে কর্ম করে কিংবা কথা বলে।’ (সহিহ বুখারী ৬৬৬৪ সহিহ মুসলিম ১২৭)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
ফতোয়া অনুপাতে আপনি ওয়াসওয়াসার রুগী হওয়ায় প্রশ্নের বিবরণ মতে কোনো ছুরতেই আপনার তালাক পতিত হবেনা।
তাই আপনি নিশ্চিত থাকুন। 

তবে এ কথা গুলো এড়িয়ে চলা আপনার জন্য খুবই জরুরী। 

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এগুলো সবই ওয়াসওয়াসা।
এগুলোকে পাত্তা দিবেননা।
আপনার মন থেকে যেদিন এসব ওয়াসওয়াসা চলে যাবে,সেদিন আপনিই বিষয়টি বুঝতে পারবেন।

আপনি এগুলোকে পাত্তা না দিলেই দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন,ইনশাআল্লাহ। 

এখান থেকে নিজেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে আপনার জন্য কিছু পরামর্শঃ-

অহেতুক পেরেশানী করে নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত করবেন না। আপনি কিছুদিন বাহিরে থাকুন।
তাবলিগে গিয়ে ৪০ দিন সময় লাগান,চিল্লায় চলে যান, মনের তীব্র কনফিউশন থেকে নিজেকে মুক্ত করে নিন। 
,
★আপনি তালাক সংক্রান্ত কোন মাসআলা পড়বেন না। কাউকে জিজ্ঞাসা করতেও যাবেন না। কারো সাথে এ সংক্রান্ত আলাপ ও আলোচনাও করবেন না।
তালাক সংক্রান্ত প্রশ্ন করবেননা। 

মনের মাঝে এ বিষয়ক কোন কিছু আসতে দিবেন না। আসলেই অন্য বিষয় নিয়ে মগ্ন হয়ে যাবেন, প্রসঙ্গ পাল্টে ফেলবেন। ইবনে হাজার আল-হাইতামি রহ. বলেন,
له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان
‘ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)

★সকাল ও সন্ধ্যায় পড়ুন-

أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ

 (আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমার আশ্রয় প্রার্থনা করি তার অসম্ভষ্টি ও শাস্তি থেকে এবং তার বান্দার অনিষ্ট থেকে এবং শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে ও শয়তানের সংস্পর্শ থেকে।)

★ফজর ও মাগরিবের পর এবং ঘুমানোর আগে সূরা ফালাক ও নাস পড়ুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...