আসসালামু আলাইকুম,
১ নাম্বার প্রশ্ন)ওয়াসওয়াসায় আমার জীবন অতিষ্ঠ । দিন দিন পাগলের মত হয়ে যাচ্ছি । আমার কাছে মনে হয় দূর থেকে আমাকে কেউ দেখলে ভাবতে পারি আমি পাগল।কারন মনে মনে দোয়া পড়ি আমার ওয়াসাওয়াসার জন্য মাথা ঝাকিয়ে নিয়ত করি। দূর থেকে কেউ দেখলে ভাবে আমি একা একা কথা বলি । আমার প্রত্যেক কথায় কথায়ওয়াসওয়াসার সন্দেহে নিয়ত করা লাগে। যেমন- আমি ভাত খাবো( মনে মনে বলি আমার কোন নিয়ত নাই), তুমি এখানে আসো( মনে মনে বলি নিয়ত নাই), এই কাজটা কে করেছে( মনে মনে বলি আমার নিয়ত নাই) , দোয়া পরি আর মনে মনে বলি আমার নিয়ত নাই ।এগুলো তো শুধু কথা আমি পানি খাওয়ার সময় ,ঢোক গিলার সময়, মাথা নাড়ালে, বা নামাজে সূরা পড়ার সময় পর্যন্ত মনে মনে নিয়ত করি। আমি যদি নিয়ত না করি আমার সন্দেহ হয় কথা বলার পর পরই তা**** বাজে চিন্তা মাথায় এসে পড়বে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে , যার জন্যে আমি নিয়ত করে নিরাপদ থাকতে চাই। এই প্রশ্ন টা লিখার সময় যে কতবার নিয়ত করলাম আল্লাহ ভালো জানে।
আমার প্রত্যেক কথায় নিয়ত করে আমি কি ওয়াসওয়াসা কে প্রশ্রয় দিচ্ছি? আমার করনিয় কি ? ভয়ে আমি স্ত্রীর সাথে কথা কম বলি দোকানে সবার সাথে কম বলি । আমার কথা কম বলার কারনে আর প্রত্যেক কথায় নিয়ত করার কারনে কি ওয়াসওয়াসা প্রশ্র‍য় পাচ্ছে?
২ নাম্বার প্রশ্ন) প্রত্যেক কথায় কেনায়া সন্দেহ। গত কাল আসরের ওয়াক্ত থেকে এই পর্যন্ত কি পরিমান সন্দেহের মধ্যে ছিলাম শুধু তাই লিখবো ,তারপর বলবেন আমি কি সুস্থ মানুষ নাকি অসুস্থ।
* নামাজ শেষে সূরা ফালাক পড়ার সময় ,মিন শাররি মা খলাক পরলাম । সন্দেহ হয় আমি খলাক বললাম নাকি অন্য কিছু বললাম। আবার সিউর হওয়ার জন্য পড়লাম হাত নাড়িয়ে এইবার সেম সন্দেহ হয়। আমি সিউর খলাক শব্দই পড়েছি এবং এর দারা কোন সমস্যাও হবে না। এই কথার শেষে আবার নিয়ত করি। সূরা পড়েও কি নিয়ত করা লাগবে আমার?
* আল্লাহর কাছে দোয়া করছি নামাজ পড়ে, আল্লাহ আপনার কাছে শয়তান বা দুষ্ট জীনের থেকে পানাহ চাই। মনে মনে অই চিন্তা চলে আসে। আমি তো শুধু শয়তান বা দুষ্ট জীন থেকে পানাহ চাই এই কথাটা বললাম । এই কথার সাথে অইটা মনে হওয়ার কি সম্পর্ক সেটাই বুঝতে পারলাম না।নিজেই নিজেকে উত্তর দিচ্ছি এগুলো ওয়াসওয়াসা ,এগুলো পাত্তা দিবোনা।
* আলহামদুলিল্লাহ পড়তেছি মনে মনে । মনে হচ্ছে অই নিয়তে আলহামদুলিল্লাহ পড়তেছি।কিন্তু আমি খুশি হয়ে আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায় করতে আলহামদুলিল্লাহ পড়ছিলাম।
*কাস্টমারে জন্য মেমো বা বিল বানাচ্ছিলাম ,৩২০ পরে সন্দেহ হল আমি ৩২০ তা**** এর কথা লিখলাম নাকি তাই ৩২০ লিখে সাথে টাকা লিখেছি যাতে সন্দেহ না হয়।
* উপরে যে প্রশ্ম নাম্বার ১ প্রশ্ম নাম্বার দুই লিখেছি তার কারন হচ্ছে শুধু ১ মনের মধ্যে শুধু অইটা চিন্তা হয় যার কারনে সাথে প্রশ্ন নাম্বার ১ প্রশ্ন নাম্বার ২ লিখেছি
* গতকাল খাওয়ার সময় মুখ নড়ছিলো । মনে মনে নিয়ত করলাম যে আমার কোন নিয়ত নাই।
* কাস্টমারকে বলছি, আটটা বাজে শেষ হবে । কাজের কথা বুঝাইছি তারপর সন্দেহ হয় শেষ কি কেনায়া বাক্য? পরে আবার চিন্তা করি এগুলো ওয়াসাওয়াসা আর তাছাড়া আমিতো শেষ হবে বলেছি তারপর কাস্টমার কে উদ্দেশ্য করে বলেছি এগুলো তে কিচ্ছু হবে না। তারপর আমার ভেতরে ভেতরে চিন্তা হয়, তুমি তো মুফতি সাহেব নিজের ফতুয়া নিজেই দেও, যাও ,আগে কোন মুফতি কে জিজ্ঞেস কর।( যাও , আগে কোন মুফতি কে জিজ্ঞেস কর এটা বলার পর নিয়ত করেছি যে আমার কোন নিয়ত নাই)
*কাস্টমারকে বলছি, তুই দিয়েছিস । মানে কাজের মাপ দেওয়ার কথা বলেছি। পরে সন্দেহ হলে আবার চিন্তা করলাম যে ,আমি কাষ্টমারকে বলেছি তুই দিয়েছিস তাও আবার মাপের কথা বললাম।যদি কাস্টমার কে বলি তুই দিয়েছিস , তার মানে কাস্টমার আমাকে দিয়েছে, একেতো কাস্টমার আমাকে অইটা কেনো দিবে তারমধ্যে মেয়ে মানুষ দিতে পারবেনা।এই চিন্তা করি পরে নিজে নিজে হাসি আর চিন্তা করি আমি সিউর পাগল হয়ে গেছি মনে হয়।
আমাকে একটু বলবেন এগুলো সবই কি ওয়াসওয়াসা? আমি এগুলো পাত্তা দিবো? কতদিন পাত্তা দিবোনা আমাকে শুধু এতটুকু বলেন তাহলে আমি ঠিক ততদিন আর এগুলোকে পাত্তা দিবোনা। আমাকে এক্টু বলেন যে আমি কতদিন নিয়ত করবোনা আমি কথা দিচ্ছি ঠিক ততদিন নিয়ত করবোনা। আমি একটু সুস্থ থাকতে চাই। সমস্যাগুলো তখনই হয় যখন একটা সমস্যার সমাধান হয় বা যখন কোন প্রবল সন্দেহ থেকে নিজেকে মুক্ত করি তখন
https://ifatwa.info/55711/ আমার আগের প্রশ্নোত্তর যদি প্রয়োজন হয়