بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
১.
যদি আপনি শিউর হোন যে টিকটিকির পায়খানা আপনার শরীরে লেগেছে,
তারপরেও নামাজ হয়ে যাবে। কারনে,
সেটি ছিল শুকনো । বিধায় নামাজ হয়ে যাবে।আর ভেজা
থাকলেও সেটা পরিমাপের দিক থেকে এক দিরহামের চেয়ে কম হবে। আরো বিস্তারিত জানুন: https://ifatwa.info/30443/
২. শরীয়তের বিধান হলো বালেগ হওয়ার আগ পর্যন্ত ছেলে সন্তানের
ভরনপোষণ পিতার উপর ওয়াজিব। আর মেয়ে সন্তানকে বিবাহ দেওয়ার আগ পর্যন্ত তার ভরনপোষণ পিতার
উপর ওয়াজিব।
কিন্তু ছেলে সন্তান বালেগ হওয়ার পরেও যদি
কেহ অসুস্থতা,পাগল,
ইলমে দ্বীন শিক্ষায় লিপ্ত থাকা ইত্যাদি
কারনে যদি সম্পদ উপার্জন না করতে পারে,তাহলেও তার ভরনপোষণ দেওয়াও পিতার উপর ওয়াজিব বা জরুরি।
★এবং
যেই ছেলের ভরনপোষণ পিতার উপর ওয়াজিব, তার বিবাহের খরচাপাতিও পিতার উপর ওয়াজিব। আর যেই ছেলের ভরনপোষণ পিতার উপর ওয়াজিব নয়,
তার বিবাহের খরচাপাতিও পিতার উপর ওয়াজিব
নয়। (নাজমুল ফাতওয়া
৫/২১৫)
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী তে আছে,
لما فی الھندیۃ(۵۶۳/۱):طلبة
العلم إذا كانوا عاجزين عن الكسب لا يهتدون إليه لا تسقط نفقتهم عن آبائهم إذا
كانوا مشتغلين بالعلوم الشرعية لا بالخلافيات الركيكة وهذيان الفلاسفة ولهم رشد
وإلا لا تجب كذا في الوجيز للكردري ونفقة الإناث واجبة مطلقا على الآباء ما لم
يتزوجن إذا لم يكن لهن مال كذا في الخلاصة ولا يجب على الأب نفقة الذكور الكبار
إلا أن الولد يكون عاجزا عن الكسب لزمانة أو مرض ومن يقدر على العمل لكن لا يحسن
العمل فهو بمنزلة العاجز كذا في فتاوى قاضي خان
যার সারমর্ম হলো তালেবে ইলেম যখন শতীয়তের জ্ঞান অর্জনে লিপ্ত থাকে,সে যদি সম্পদ উপার্জন না করতে পারে,তাহলে তার ভরনপোষণ দেওয়া পিতার উপর ওয়াজিব।
,,, বালেগ সন্তানের ভরনপোষণ পিতার উপর ওয়াজিব নয়,
কিন্তু সে যদি অসুস্থতা,
কাজ করতে অক্ষম ইত্যাদি কারনে সম্পদ উপার্জন না করতে পারে,তাহলে তার ভরনপোষণ দেওয়া পিতার উপর জরুরী।
সুতরাং
বিচ্ছেদের আগে বা পরে সর্বাবস্তায় সন্তানের ভরনপোষণ পিতার উপর ওয়াজিব।
৩.
স্বামী যদি বিহিত কোনো কারণ ছাড়া স্ত্রী-সন্তানের তথা সাংসারিক জরুরি
খরচ না দেয়, তাহলে
স্ত্রী স্বামীর অনুমতি ছাড়াও স্বামীর সম্পদ থেকে প্রয়োজনমতো অপচয় না করে খরচ করতে পারবে।
হাদিস শরিফে এসেছে, ‘সাহাবিয়া হিন্দ বিনতে উতবা (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে বলেন,
হে আল্লাহর রাসুল! (আমার স্বামী) আবু সুফিয়ান
সংসারের খরচে সংকীর্ণতাকারী, সে আমার ও আমার সন্তানের প্রয়োজনীয় পরিমাণে খরচ দেয় না,
তবে আমি তার অগোচরে তার থেকে কিছু নিয়ে
থাকি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘হ্যাঁ, তুমি তোমার ও তোমার সন্তানের প্রয়োজন পরিমাণ তার অগোচরে তার
থেকে নিতে পারবে। ’ (বুখারি : হাদিস ৫২৬৪, বাদায়েউস সানায়ে
: ২/২৭)
তবে
স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মালিকানা ভিন্ন হওয়ায় অনুমতি ছাড়া একে অন্যের সম্পদ ব্যয় করা অবৈধ।
স্বামী যদি নিয়মমাফিক ভরণ-পোষণ ও স্বাভাবিক হাত খরচের প্রয়োজন পূরণ করে থাকে,
তাহলে তার কাছ থেকে তার অগোচরে টাকা-পয়সা
নিয়ে নেওয়া এবং তাকে না জানিয়ে বিভিন্ন খাতে ব্যয় করা বৈধ হবে না। (আলবাহরুর রায়েক
: ৪/১৭৭)
সুতরাং কোন যৌক্তিক কারণ ছাড়া বাবা কোন সন্তানের ভরণ পোষণ না দিলে প্রথমত তাকে বুঝানোর
চেষ্টা করতে হবে যে, এটি তার দায়িত্ব। যদি এরপরও সে না দেয় তাহলে সেক্ষেত্রে আইনী
সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে। এবং নিজের অধিকার বুঝে পাওয়ার জন্য কোন মিথ্যার আশ্রয়
না নিয়ে আইনী সহযোগিতা গ্রহণ করলে কোন গুনাহ হবে না।