বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
1183 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে, এ সম্পর্কে মূলনীতি হল, মানুষ জীবিত হোক বা মৃত হোক সর্বদা মানুষকে সম্মান করতে হবে,তাকে অপদস্থ না করা যাবে না।মূত্যু পরবর্তী জানাযা সম্পন্ন হওয়ার পর মানুষকে দাফন করাই আল্লাহর বিধান।এমনকি লাশের যে অংশকে পাওয়া যাবে তাকেও দাফন করা।আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻭَﻟَﻘَﺪْ ﻛَﺮَّﻣْﻨَﺎ ﺑَﻨِﻲ ﺁﺩَﻡَ
নিশ্চয় আমি আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি।(সূরা বনী ঈসরাঈল-৭০)
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা নিয়ম করে দিয়েছেন,মানুষ মৃত্যুর পর তার জানাযা শেষে তাকে দাফন করে দেয়া হবে।আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﺛُﻢَّ ﺃَﻣَﺎﺗَﻪُ ﻓَﺄَﻗْﺒَﺮَﻩُ
অতঃপর তার মৃত্যু ঘটান ও কবরস্থ করেন তাকে।(সূরা আবাসা-২১)
ﺃَﻟَﻢْ ﻧَﺠْﻌَﻞِ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽَ ﻛِﻔَﺎﺗًﺎ ﺃَﺣْﻴَﺎﺀ ﻭَﺃَﻣْﻮَﺍﺗًﺎ
আমি কি পৃথিবীকে সৃষ্টি করিনি ধারণকারিণীরূপে,
জীবিত ও মৃতদেরকে?(সূরা মুরসালাত-২৫-২৬)
ﻣِﻨْﻬَﺎ ﺧَﻠَﻘْﻨَﺎﻛُﻢْ ﻭَﻓِﻴﻬَﺎ ﻧُﻌِﻴﺪُﻛُﻢْ ﻭَﻣِﻨْﻬَﺎ ﻧُﺨْﺮِﺟُﻜُﻢْ ﺗَﺎﺭَﺓً ﺃُﺧْﺮَﻯ
এ মাটি থেকেই আমি তোমাদেরকে সৃজন করেছি, এতেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে দিব এবং পুনরায় এ থেকেই আমি তোমাদেরকে উত্থিত করব।(সূরা ত্বাহা-৫৫)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মানুষের সমস্ত অঙ্গ সম্মানি।মানুষের কোনো অঙ্গ বিচ্ছিন্ন হলে তাকে দাফন করতে হবে।যেমন আল্লাহ তা'আলা সুলা আবাসা এর ২১ নং আয়াত এবং সূরা মুরসালাত এর ২৫ ও ২৬ নং আয়াতে উল্লেখ করেন।সুতরাং চুলকে যথায় তথায় ফেলা যাবে না।চায় সামান্যই হোক না কেন।বরং চুলকে দাফন করতে হবে।সামান্য সামান্য চুল জানালা দিয়ে বাহিরে ফেললে একদিন তা বেশী হয়ে যাবে।সুতরাং কম হোক বা বেশী হোক চুলকে দাফন করতে হবে।নককে দাফন করতে হবে।যদি এক দুইটা চুলকে কেউ ফেলে দেয়,যদিও কাজটি উচিৎ হয়নি তথাপি নিতান্তই কম হওয়ার কারণে সেটা ক্ষমাযোগ্য বলে ধরে নেয়া হবে।