বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
891 নং ফাতাওয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে,সবকিছুই আল্লাহ তা'আলা মানুষের উপকারের জন্য সৃষ্টি করেছেন।
এ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻫُﻮَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻖَ ﻟَﻜُﻢ ﻣَّﺎ ﻓِﻲ ﺍﻷَﺭْﺽِ ﺟَﻤِﻴﻌﺎً ﺛُﻢَّ ﺍﺳْﺘَﻮَﻯ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀ ﻓَﺴَﻮَّﺍﻫُﻦَّ ﺳَﺒْﻊَ ﺳَﻤَﺎﻭَﺍﺕٍ ﻭَﻫُﻮَ ﺑِﻜُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻋَﻠِﻴﻢٌ
তিনিই সে সত্ত্বা যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য যা কিছু জমীনে রয়েছে সে সমস্ত। তারপর তিনি মনোসংযোগ করেছেন আকাশের প্রতি। বস্তুতঃ তিনি তৈরী করেছেন সাত আসমান। আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে অবহিত।(সূরা বাক্বারা-২৯)
তবে আল্লাহ তা'আলার নিয়ামত সমূহের নাশুকরী করা যাবে না।এবং নিয়ামত সমূহের অপচয়ও করা যাবে না।
আল্লাহ তা'আলা বলেন-
ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﻤُﺒَﺬِّﺭِﻳﻦَ ﻛَﺎﻧُﻮﺍْ ﺇِﺧْﻮَﺍﻥَ ﺍﻟﺸَّﻴَﺎﻃِﻴﻦِ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﻟِﺮَﺑِّﻪِ ﻛَﻔُﻮﺭًﺍ
নিশ্চয় অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই। শয়তান স্বীয় পালনকর্তার প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ।(সূরা বনী ঈসরাঈল-২৭)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
যদি এই পানিকে কোনোভাবে ব্যবহার করা না যায়,তাহলে সেটাকে ফেলে দিতে পারবেন।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻻَ ﻳُﻜَﻠِّﻒُ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻧَﻔْﺴًﺎ ﺇِﻻَّ ﻭُﺳْﻌَﻬَﺎ
আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না।(সূরা বাকারা-২৮৬)
(১)পানির অপচয় ঠিক নয়।অপচয় নাজায়েয। সেজন্যই ফুকাহায়ে কেরাম বলেন,চার করে অজুতে অঙ্গকে ধৌত করা মাকরুহ।অজুতে এক মুদের বেশী পানি ব্যবহার নাজায়েয নয়।মোটকথা হল,অপচয় রোধ করে তৃপ্তি দায়ক অজু করতে যতটুকু পানির প্রয়োজন ততটুকুই ব্যবহার করা যাবে।ব্যক্তিবেধে কিছুটা তারতম্য হতে পারে।সুতরাং এক মুদের চেয়ে কমবেশ করা যাবে।
(২)একবার অজু করতে ২০/২৫ এটা অনেক বেশী সময়।এতে সময়ের অপচয়রে চিন্তাও করতে হবে।যদি কম পানি ব্যবহারে সময়ের অপচয় হয়,তাহলে সময়কে বাচাতে বেশী পানিও ব্যবহার করা যাবে।
আপনি স্বাভাবিক যা ব্যবহার করেন,তারচেয়ে কিছুটা বেশী ব্যবহার করে সময়ের অপচয়কে রোধ করবেন।