জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো,যেই ফরজ নামাজের পর সুন্নাত নামাজ আছে,সেই ফরজ নামাজের সালাম ফিরানোর পর দেড়ি করা ছাড়াই সুন্নাত আদায় করা মাসনুন।
অবশ্য
«اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ وَمِنْكَ السَّلَام تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجلَال وَالْإِكْرَام»
বা এই জাতীয় দোয়া পড়ার সুযোগ রয়েছে।
এর থেকে বেশি দেড়ি করা মাকরুহে তানযিহি।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا سَلَّمَ لَمْ يَقْعُدْ إِلَّا مِقْدَارَ مَا يَقُولُ: «اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ وَمِنْكَ السَّلَامُ تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجلَال وَالْإِكْرَام» . رَوَاهُ مُسلم
উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (ফরজ) সালাতের সালাম ফিরাবার পর বসতেননা তবে শুধু এ দু‘আটি শেষ করার পরিমাণ সময় অপেক্ষা করতেন, ‘‘আল্ল-হুম্মা আন্তাস সালা-ম, ওয়া মিনকাস্ সালা-ম, তাবা-রকতা ইয়া- যালজালা-লি ওয়াল ইকর-ম’’ (অর্থা- হে আল্লাহ! তুমিই শান্তির আঁধার। তোমার পক্ষ থেকেই শান্তি। তুমি বারাকাতময় হে মহামহিম ও মহা সম্মানিত)।
( সহীহ : মুসলিম ৫৯২, মিশকাত৷ ৯৬০)
یکرہ أخیر السنة إلا بقدر اللہم أنت السلام الخ قال الشامي: لأن السنة من لواحق الفریضة واتوابعہا ومکمّلاتہا فلم تکن أجنبیة عنہا․ (الدر المختار: ۱/ ۲۴۶، ط: زکریا دیوبند)
সারমর্মঃ-
সুন্নাত আদায় দেড়ি করা মাকরুহ,তবে আল্ল-হুম্মা আন্তাস সালা-ম, (শেষ পর্যন্ত) পড়া সমপরিমাণ সময় দেড়ি করা যাবে।
কেননা সুন্নাত ফরজ নামাজের তাবে'।
বিস্তারিত জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যোহর বা মাগরিব বা ইশার সালাতের সময় ফরজ সালাত পড়ে তারপর আয়াতুল কুরসি না পড়ে এরপর সুন্নত সালাতের পড়ে আয়াতুল কুরসি পড়লে হবে।
যেসব ফরজ নামাজের পর সুন্নাত আছে,সেসব নামাজের পর মাসনুন দোয়া ইত্যাদি পড়ার এটিই মূলত নিয়ম।
সুন্নাত আদায়ের পরে মাসনুন দোয়া পড়তে হবে।
(০২)
ফরজ নামাজের যেসব সুন্নাত রয়েছে,সেসব সুন্নাতের ক্রম যেভাবে আছে।
সেভাবেই আদায় করতে হবে।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
শরীয়তের বিধান মতে সুন্নাতের কাজা নেই।
তবে শুধু ঐদিনের ফজরের সুন্নাতের কাজা দ্বীপ্রহরের আগে আদায় করা যায়।
আর জোহরের আগের সুন্নাত মিস গেলে জোহরের পর দুই রাকাত সুন্নাত নামাজ আদায় করে সেটি আদায় করতে হয়।
যদি ফরজ নামাজ কাজা হয়ে যায়,তাহলে কোনো সুন্নাত আদায় করতে হবেনা।
তবে ঐ দিনের ফরজ নামাজ কাজা হলে সেদিন দ্বীপ্রহরের আগে কাজা আদায় করতে চাইলে সুন্নাতের কাজা আদায় করে তারপর ফজরের সুন্নাতের কাজা আদায় করবেন।
(০৩)
যদি বেহুশ অবস্থায় কারো পাঁচ ওয়াক্ত নামায বা তার চেয়ে বেশি নামায কা'যা হয়ে যায়,তাহলে উনি আর শরীয়তের মুকাল্লাফ থাকবেন না।তবে যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পূর্বেই হুশ চলে আসে,তাহলে উনি শরীয়তের মুকাল্লাফ থাকবেন। যথাসম্ভব নামায আদায়ের চেষ্টা করবেন,নতুবা কাফফারা আদায়ের অসিয়ত করে যাবেন।নিজ জীবদ্দশায় নামাযের কাফ্ফারা আদায় করা সমুচিত নয়।(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৫/৫১১)
বিস্তারিত জানুনঃ-
★প্রশ্নে উল্লেখিত বৃদ্ধা যদি ডিমেনশিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার দরুন পাঁচ ওয়াক্ত নামায বা তার চেয়ে বেশি নামায বেহুশ অবস্থায় থাকেন,তাহলে তার নামাজের কাজা আদায় করতে হবেনা।
কোনো গুনাহ হবেনা।
তবে পাঁচ ওয়াক্ত নামায এর চেয়ে কম হলে সুস্থ হওয়ার পর সেসব নামাজের কাজা আদায় করতে হবে।
গুনাহ হবেনা।
হ্যাঁ যদি সে অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও বেহুশ হয়ে না যায়,সেক্ষেত্রে শুয়ে শুয়ে ইশারা করে নামাজ আদায়ের সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও নামাজ কাজা করলে তার গুনাহ হবে।
কাজা আদায় আবশ্যক হবে।
(০৪)
তাকে নিয়ে কুচিন্তা করলে অন্তরের যেনা হবে।
নতুবা নয়।