ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
আপনি যদি টাকাটা ঋন হিসাবে না দিয়ে দান সদকাহ বা হাদিয়া হিসেবে দেন,তাহলে এর মানে হলো টাকাটা আপনার রিযিকে ছিলোনা।
মানুষ যাহা কামাই করবে,সবই সে খেতে পারবে,বিষয়টি এমন নহে।
এসবই তাকদীরে লিপিবদ্ধ বিষয়।
এই রিযিক আল্লাহই দেন,বান্দা নয়।
(০২)
অন্যায়ভাবে সম্পত্তি নিলে সে তার ভাইয়ের রিযিক ভোগ করছে।
তবে বিষয়টি তাকদিরেই ছিলো।
(০৩)
যেসব মানুষেরা ব্যাভিচার করে, তাদের ঈমান চলে যায়না ঠিক,তবে যেনার সময় তাদের পূর্ণ ঈমান থাকেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لاَ يَزْنِي الزَّانِي حِينَ يَزْنِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلاَ يَشْرَبُ الْخَمْرَ حِينَ يَشْرَبُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلاَ يَسْرِقُ حِينَ يَسْرِقُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلاَ يَنْتَهِبُ نُهْبَةً يَرْفَعُ النَّاسُ إِلَيْهِ فِيهَا أَبْصَارَهُمْ حِينَ يَنْتَهِبُهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ
وَعَنْ سَعِيدٍ وَأَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ إِلاَّ النُّهْبَةَ
তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন ব্যভিচারী মু’মিন অবস্থায় ব্যভিচার করে না এবং কোন মদ্যপায়ী মু’মিন অবস্থায় মদ পান করে না। কোন চোর মু’মিন অবস্থায় চুরি করে না। কোন লুটতরাজকারী মু’মিন অবস্থায় এরূপ লুটতরাজ করে না যে, যখন সে লুটতরাজ করে তখন তার প্রতি লোকজন চোখ তুলে তাকিয়ে থাকে।সা‘ঈদ ও আবূ সালামাহ (রাঃ) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ বর্ণিত, তবে তাতে লুটতরাজের উল্লেখ নেই। ফিরাবরী (রহ.) বলেন, আমি আবূ জা‘ফর (রহ.)-এর লেখা পান্ডুলিপিতে পেয়েছি যে, আবূ ‘আবদুল্লাহ (ইমাম বুখারী) (রহ.) বলেন, এ হাদীসের ব্যাখ্যায় ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, এর অর্থ হল, তার হতে ঈমানের নূর ছিনিয়ে নেয়া হয়।সহীহ বোখারী- শামেলা-২৪৭৫ (৫৫৭৮, ৬৭৭২, ৬৮১০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৯৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩১৩)
উক্ত হাদীসের অনেক ব্যখ্যা হতে পারে।মোল্লা আলী ক্বারী রাহ. বলেন,
«وَأَصْحَابُنَا أَوَّلُوهُ بِأَنَّ الْمُرَادَ الْمُؤْمِنُ الْكَامِلُ فِي إِيمَانِهِ، أَوْ ذُو أَمْنٍ مِنْ عَذَابِ اللَّهِ تَعَالَى، أَوِ الْمُرَادُ الْمُؤْمِنُ الْمُطِيعُ لِلَّهِ، يُقَالُ: أَمِنَ لَهُ، إِذَا انْقَادَ وَأَطَاعَ، أَوْ مَعْنَاهُ الزَّجْرُ وَالْوَعِيدُ، أَوِ الْإِنْذَارُ لِمُرْتَكِبِ هَذِهِ الْكَبَائِرِ بِسُوءِ الْعَاقِبَةِ، إِذْ مُرْتَكِبُهَا لَا يُؤْمَنُ عَلَيْهِ أَنْ يَقَعَ فِي الْكُفْرِ الَّذِي هُوَ ضِدُّ الْإِيمَانِ، أَوْ أَنَّ الْإِيمَانَ إِذَا زَنَى الرَّجُلُ خَرَجَ مِنْهُ، وَكَانَ فَوْقَ رَأْسِهِ مِثْلَ الظُّلَّةِ، فَإِذَا انْقَلَعَ رَجَعَ إِلَيْهِ، وَسَيَأْتِي تَقْرِيرُهُ. وَقِيلَ: مَعْنَى مُؤْمِنٍ مُسْتَحٍ مِنَ اللَّهِ تَعَالَى؛ لِأَنَّ الْحَيَاءَ شُعْبَةٌ مِنَ الْإِيمَانِ، فَلَوِ اسْتَحَى مِنْهُ وَاعْتَقَدَ أَنَّهُ نَاظِرٌ لَمْ يَرْتَكِبْ هَذَا الْفِعْلَ الشَّنِيعَ، وَفِيهِ بَحْثٌ،» - «مرقاة المفاتيح شرح مشكاة المصابيح» (1/ 124)
সর্বোত্তম ব্যখ্যা হল, যিনার সময় মানুষের কামিল ঈমান থাকে না। বা যিনার সময় ঈমান বের হয়ে যায়, এবং মাথার উপর ছায়ার মত থাকে, যখন যিনা শেষ হয়, তখন আবার ঈমান চলে আসে।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৪)
ফাসিকদের ঈমান থাকে,তবে মুরতাদদের ঈমান থাকেনা।
(০৫)
হ্যাঁ, ঐ নির্দিষ্ট খাবার, পোশাক, বাড়ি-গাড়ি তার রিজিকে ছিল।
তবে বিষয়টি সেই সময়ে বলা যাবে,যখন সে সেই খাবার খাবে,সেই পোশাক পরিধান করবে,বাড়ি গাড়ি সে ব্যবহার করবে।
(০৬)
যদি আপনি তাদেরকে সতর্ক না করেন বা তাদের ভুলের কথা না বলেন, তাহলে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।
(০৭)
তাহলে গুনাহ হবেনা।
(০৮)
হ্যাঁ।