বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ
(১)
নামাজ ফাসিদ হওয়া বলতে নামায বাতিল হওয়া বুঝায়। এই নামাযকে পূনরায় পড়তে হবে।
(২)
ওয়াজিব বাদ পরার পর সাহু সিজদা না দিলে নামায ফাসিদ হয়ে যায়।
(৩)
নামাযের বাহিরে বা ভিতরের ফরয ছুলে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যায়,তখন সাহু সিজদা দিলেও আর কাজ হবে না। কিংবা ওয়াজিব ছুটে যাওয়ার পর সাহু সিজদা না দিলেও নামায ফাসিদ হয়ে যায়।
(৪)(৫)
নামায ফাসিদ হলে পূনরায় উক্ত নামাযকে পড়তে হবে।
(৬)
নামাজ ফাসিদ হওয়ার পর অনেক দিন অতিবাহিত হয়ে গেলে, ঐ ফাসিদ হয়ে যাওয়া নামাযকে এখন পড়ছি, এই নিয়তে নামাযকে পড়তে হবে।
(৭)
ফাসিদ হয়ে যাওয়া নামাজ পুনরায় আদায় করার নিয়তে পরতে হবে।হ্যা, যেহেতু ঐ নামায হয়নি, তাই কাযার নিয়তেও পড়া যাবে।
(৮)
নফল বা সুন্নত নামাজ ফাসিদ হলে সেটাকেও দোহড়িয়ে নেওয়া ওয়াজিব।
(৯)
ইমামের নামাজ যদি ফাসিদ হয় তাহলে মুক্তাদিদের নামাজকেো দোহড়িয়ে নেওয়া ওয়াজিব হবে।
(১০)
জুমার নামাজে ওয়াজিব তরক হলে সাহু সেজদা ওয়াজিব হয় না। জুমার নামাজে ওয়াজিব ছুটে যাওয়ার পরও বিশেষ কারণবশত নামাজ হয়ে যায়।
(১১)
সাহু সেজদা ওয়াজিব হওয়ার পর ভুল বসত বা ওয়াজিব ছুটে গেছে কি না? না জানার কারনে সাহু সেজদাহ না করা হলে নামাজ ফাসিদ হবে না।
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
إِنَّ اللَّهَ قَدْ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ، وَالنِّسْيَانَ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের অজ্ঞতা ও ভূলভাল কে ক্ষমা করে দিবেন।এবং অপারগতা বশত কৃত গোনাহকেও ক্ষমা করে দিবেন।(সুনানে ইবনে মা'জা,-২০৪৩)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4560