আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
225 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (48 points)
১। যদি আমি আর আমার এক ভাই কোন ব্যক্তির কোন খারাপ দিক সম্পর্কে অবগত থাকি, তাহলে কি ওই ব্যাক্তির অনুপস্থিতিতে তার এই খারাপ দিকটি নিয়ে আমরা নিজেদের মাঝে কথা বলতে পারব?
যেমন, একটি সমাগমে সবার মাঝেই এক ব্যাক্তি কিছু কটু কথা বলল। আম আর আমার ভাই ও সেখানে ছিলাম। আমরা কি আলাদা হওয়ার পর এ নিয়ে কথা বলতে পারব যে, " উনার এধরনের কথা বলার দরকার ছিল না! "?
২। আমার বড় ভাইয়ার রুমে ওয়াশরুম। সেখানে আমার যেতে হয় প্রয়োজনে। আমি রুমে যাওয়ার সময় ভাইয়া থেকে অনুমতি নেই না ( এতে ভাইয়ার ও কোনো আপত্তি নেই, আমার বাসা থেকেও তাই শেখানো হয়েছে। ) আমি গুনাহ করছি?

৩। মার রুমে খালামনি থাকেন। আমি রুমে যাওয়ার সময় অনুমতি নেই না ( খালার কোন আপত্তজ নেই, এবং বাসা থেকে আমাকে তাই শেখানো হয়েছে ) আমি কি গুনাহ করছি?

৪। বাবা মার রুমে কেও না থাকলেও কি রুমে ঢুকতে অনুমতি নেয়া প্রয়োজন?

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ   
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «أَتَدْرُونَ مَا الْغِيبَةُ؟» قَالُوا: اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ: «ذِكْرُكَ أَخَاكَ بِمَا يَكْرَهُ» قِيلَ أَفَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ فِي أَخِي مَا أَقُولُ؟ قَالَ: «إِنْ كَانَ فِيهِ مَا تَقُولُ، فَقَدِ اغْتَبْتَهُ، وَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِيهِ فَقَدْ بَهَتَّهُ»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লম বলেছেনঃ তোমরা কি জান, গীবত কি? তাঁরা বললেনঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেনঃ গীবত হল তোমার ভাইয়ের সম্পর্কে এমন কিছু আলোচনা করা, যা সে অপছন্দ করে। প্রশ্ন করা হলঃ আমি যা বলেছি তা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে থেকে থাকে, তাহলে আপনি কি বলেন? তিনি বললেনঃ তুমি তার সম্পর্কে যা বলেছ তা যদি তার মধ্যে থাকে, তাহলেই তুমি তার গীবত করলে। আর যদি তা তার মধ্যে না থাকে, তাহলে তো তুমি তার প্রতি অপবাদ আরোপ করলে। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৫৮৯, ৭০, সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-১১৪৫৪, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৭৫৮, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৬২৯৩, মুজামে ইবনে আসাকীর, হাদীস নং-১৪১৭, সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-২১১৬৩}

গীবত সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ  

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত গীবতের অন্তর্ভুক্ত।     

যাদের গীবত করা জায়েজ,, 
গীবত সম্পর্কে আরো জানুন 

(২.৩)
আতা ইবনে আবী রাবাহ থেকে বর্ণিত, আমি ইবনে আব্বাস রা.-কে জিজ্ঞাসা করলাম,  বোনের কাছে গেলে কি আমি অনুমতি নিব? বললেন, হাঁ। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আবার জিজ্ঞাসা করলাম, আমার প্রতিপালনে দুটি বোন আছে, আমি তাদের দেখাশোনা করি এবং তাদের জন্য খরচ করি, তাদের কাছে গেলেও কি আমার অনুমতি নিতে হবে? বললেন, হাঁ। তোমার কি তাদেরকে বিবস্ত্র দেখা পছন্দ হবে? এরপর তিনি সূরা নূরের ৫৮ ও  ৫৯ নং আয়াত পাঠ করে বলেন, সকলের জন্য অনুমতি নেওয়া জরুরি। (-আল আদাবুল মুফরাদ, বর্ণনা ১০৬৩)

বাবা মা,ভাই,বোনের কক্ষে যাওয়ার জন্য অনুমতি প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানুনঃ

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ভাইয়ের ঘরে যদিও ওয়াশ রুমে থাকুক,তার 
পরেও সেই রুমে যদি কেহ থাকে,এবং আপনার মার রুমে খালা থাকুক বা মা থাকুক,কেহ থাকলেই সেই ঘরে প্রবেশ করতে হলে সালাম বা গলা আওয়াজ করে হলেও একটু জানান দিতে হবে।

উত্তম হল অকস্মাৎ ঢুকে না পড়া, বরং গলা খাঁকারি, পায়ের আওয়াজ অথবা অন্য কোনো উপায়ে অবগত করে প্রবেশ করা।

যয়নব সাকাফী রা. (আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা.-এর স্ত্রী) বলেন, আবদুল্লাহ যখন কোনো প্রয়োজন সেরে দরজায় এসে পৌঁছতেন তখন গলা খাঁকারি দিতেন এবং থুথু ফেলতেন। যাতে অকস্মাৎ আমাদেরকে এমন কোনো অবস্থায় দেখে না ফেলেন যা তার খারাপ লাগবে। -তাফসীরে তাবারী ১৭/২৪৫; তাফসীরে ইবনে কাসীর ৬/৪১-৪২
,
(০৪)
যদি আপনার বাবা মার রুমে কেহ না থাকে,আর বাবা মার পক্ষ থেকে যদি বিনা অনুমতিতে সেই রুমে প্রবেশের অনুমতি থাকে,তাহলে সেই রুমে ঢুকতে কোনো অনুমতির প্রয়োজন নেই।    

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
لَیْسَ عَلَیْكُمْ جُنَاحٌ اَنْ تَدْخُلُوْا بُیُوْتًا غَیْرَ مَسْكُوْنَةٍ فِیْهَا مَتَاعٌ لَّكُمْ  وَ اللهُ یَعْلَمُ مَا تُبْدُوْنَ وَ مَا تَكْتُمُوْنَ.
যে ঘরে কেউ বাস করে না এবং তা দ্বারা তোমাদের উপকার গ্রহণের অধিকার আছে, তাতে তোমাদের প্রবেশে কোনো গোনাহ নেই। তোমরা যা প্রকাশ্যে কর এবং যা গোপনে কর আল্লাহ তা জানেন। -সূরা নূর (২৪) : ২৯


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...