আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)

আসসালামু আলাইকুম শায়েখ 

০৮-০৪-২০২২

আজ যখন সেহরি শেষে ঘুমালাম ( আমার রোজা নেই, ঘুম ভেঙ্গে ছিল,উঠে আবার ঘুমিয়ে যাই). সপ্ন দেখলাম আমি আমার প্রিয় নবী(সাঃ) এর রওজা মোবারকে.  তবে সপ্নে যা দেখেছি তা আদৌ রওজা মোবারক কিনা জানি না,আমার রব জানেন।  জানি না কেন এতো অদ্ভুত সপ্ন দেখি। 

আচ্ছা সপ্নের কথা বর্ণনা করিঃমসজিদে নববীর ভিতের অথবা বাহিরে অথবা মক্কাতে গেটটা, জায়গাটা পরিচিত তবে অনেকগুলো জায়গার সংমিশ্রণ মনে হলো। আমার সাথে একজন লোক ছিল সে আমার মাহরাম না চেহারা বলতে পারবো না তবে তাকে চেনা চেনা লাগছে( বর্তমানে সে মদিনায় আছে এবং কয়েকদিন পর সে আমার মাহরাম হবে সপ্নেই এরকম মনে হলো বাস্তবে আমি কিছুই জানি না সে কে) [গত ১১-০৩-২০২২ একজন আমাকে দেখে যায় এবং বলেছে সে সিদ্ধান্ত জানাতে পারছে না কারণ তার মা বোন দেখবে,, আর সে ডুবাইতে যাবে এরপর সৌদিতে ঈদের পর ছাড়া দেখা করা সম্ভব না,সপ্নে মনে হয়েছে সে তবে আদৌ সে কিনা জানি না যেহেতু চেহারা বলতে পারি না] যেহেতু সে আমার মাহরাম না এজন্য আমরা খুব দুরত্ব বজায় রেখে চলছিলাম।  মসজীদে নববীতে ঢুকবো আবেগে কান্না চলে আসছে, হাজীরা যাচ্ছে সবাই, আমিও তাদের সাথে গেট দিয়ে ঢুকবো বাট লোকটা আমাকে অন্য গেট দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ( পাশের গেট দিয়ে হাজীরা যাচ্ছে)  সেখানে ছোট ছোট বাচ্চারা ছিল,সামনে ছেলেরা, ভিতরে মেয়েরা,, লোকটাকে কি জানি মেয়ে বাচ্চাগুলো বললো,, মাথা নাড়ানো দেখে বুজলান এই গেট দিয়ে যাওয়া যাবে না,,তাই আমি হাজীদের সাথে পাশের গেট দিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম,, ওমনি লোকটা আমাকে ডাকলো তাকিয়ে দেখি সে ভিতরে,, আমিও গেলাম।  আবেগে আপ্লুত নবী (সাঃ) রওজা মোবারক যিয়ারত করবো, খুশি আর ধরে না ভয়ও হচ্ছে।  লোকটাকে জিগ্যেস করলাম রওজা মোবারক কোথায়?  ( স্পষ্ট মনে হচ্ছে রওজা মোবারক আমার সামনে, হাজীদের ঠেলে আমি সামনে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়বো বাট মুহুর্তেই রওজা মোবারক আমার থেকে দূরে চলে গেল) হাত দিয়ে দেখালো মনে হলো খুব কাছে।  এর মধ্যেই দৃশ্যপট পাল্টালো, উঁচু ঢিবি,অনেক লোক সমাগম, পর্দা -বেপর্দা ব্যাপারটা মনে পড়ছে না, কেমন রঙ্গিন দৃশ্য ভাসছে। আমার ওতোদিকে নজর দেওয়ার সময় কই! আমি তো প্রিয় নবীর (সাঃ)কাছে যাওয়ার জন্য ব্যকুল!  দূর থেকে রওজা মোবারক আমরা ছবি বা ভিডিও দিখে সেরকম,বাদভাঙ্গা কান্নার প্রস্তুতি নিচ্ছি,বাট একটা গেট পার হওয়ার পর ঠিক রওজা মোবারক দেখলাম।  আস্তে আস্তে দৃশ্যপট পরিবর্তন হলো, রওজা মোবারক সংকুচিত হয়ে কবরে পরিণত হলো,দৃশ্যটা মনে হলো আমার বাড়ির কাছে কোথায়াও,,আমাদের বাড়ির পাশে মীর বাড়ির অনেককে দেখলাম, রাণীসারের লোকও ছিল অবেককে কথা হলো তাদের সাথে ( মনে মনে ভাবছি তারাও সৌদি চলে এলো নাকি এখানেই তারা থাকে) আস্তে আস্তে কবরের পাশে খাল হলো,, ভেসাল,ফেনী পাতা,মানুষ মাছ ধরছে, খালে পানি কম, পাশেই ফেনি দিয়ে মাছ আটকানো, মরুভূমির বালি পরিণত হলো শক্ত কাঁদা মাটিতে, নামে তখনোও আমি মদিনাতে, মানুষ জনকে বলতে ছিলাম বহু যুগ হওয়াতে মরুভূমির বালি কাঁদা মাটি হয়ে গেছে( সপ্নেই ভাবতেছিলাম নবীর(সাঃ) রওজা মোবারক কি এটা? আর আরবে খাল কোথা থেকে আসবে?  অনেক প্রশ্ন ছিল এটা নিয়ে) কেউ আমার কথায় কর্ণপাত করলো না।আমি ওই কবরের পাশে যেতে ভয় পাচ্ছিলাম, যদিও আমি অনেকটাই কাছে ছিলাম।  ( খালের মাঝে কবরটা ছিল,শুরুতে ছিল রওজা মোবারক, আস্তে আস্তে পরিবর্তন হতে লাগলো অবাক হয়েছিলাম, পাশেই ফেনী পাতা, বাচ্চারা মাছ ধরছে।  যতটুকু মনে হলো ওই কবর আমি ছারা কেউ দেখছেনা,সবাই ওখানে মাছ দেখতে আসছে। আর ঠিক খালের মাঝেই কবর পানি কম, শীতকালে খালগুলো যেটকম থাকে। ভাবতেছি পানি হলে কি হতো,ভয় পাচ্ছিলাম প্রচুর আবার তখন ভাবতেছি তারা হয়তো এখানে থাকতে থাকতে কবরটাকে ভয় পায় না) এর মধ্যেই লোকটা আমাকে ডাকলো, আশ্চর্য লোকটাকে আমার এলাকার কেউ চিনে না, চিনবেই বা কি করে আমি ছারা তো কেউ কখনো দেখেনি আর তার বাড়িও এখানে না মানে আমার বাড়ির কাছে ( সপ্নে মনে হলো তার বাড়ি সখিপুর,শরীয়তপুর আর আমার বাড়িতো ডামুড্যাতে) যাইহোক যে গেট দিয়ে ঢুকেছি সে গেট দিয়ে বের হচ্ছিলাম মনে হাজারো প্রশ্ন,কেনো আমি ননমাহরামের সাথে আসলাম? কিভাবে আসলাম?  হজ্বে তো মহিলারা মাহরাম ছাড়া আসতে পারে না, তাহলে কি আমার গুনাহ হবে এখন? উনি কেন বিয়ের পর নিয়ে আসলো না আমাকে? আর রওজা মোবারক এমন কেন দেখলাম? মদিনার জায়গাটাও এমন কেন? এসব ভাবতে ভানবেই ঘুম ভেঙ্গে যায়।

শায়েখ আমি সপ্ন নিয়ে ভাবি না খুব একটা,, সবসময় আল্লাহর কাছে বলি সপ্নের উত্তম প্রতিদান দিক খারাপ দিক থেকে রক্ষা করুন। 

 

বাট এই সপ্নটা ভাবচ্ছে কেন এরকম দেখালম, শেষটা এতো কষ্টদায়ক কেন

 

প্রশ্নঃ রওজা মোবারক এরকম দেখার কারণ কি?

ননমাহরামের সাথেই বা কেন গেলাম, এটা কি কোন মিনিংলেস সপ্ন?

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


হাদীস শরীফে এসেছে 

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَبَّابٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ رُؤْيَا يُحِبُّهَا فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ اللَّهِ، فَلْيَحْمَدِ اللَّهَ عَلَيْهَا، وَلْيُحَدِّثْ بِهَا، وَإِذَا رَأَى غَيْرَ ذَلِكَ مِمَّا يَكْرَهُ، فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ الشَّيْطَانِ، فَلْيَسْتَعِذْ مِنْ شَرِّهَا، وَلاَ يَذْكُرْهَا لأَحَدٍ، فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّهُ ".

আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, যেখন তোমাদের কেউ এমন স্বপ্ন দেখে, যা সে পছন্দ করে, তাহলে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এ জন্য আল্লাহর প্রশংসা করে এবং অন্যের কাছে তা বর্ণনা করে। আর যদি এর বিপরীত অপছন্দনীয় কিছু দেখে, তাহলে তা শয়তানের পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এর ক্ষতি থেকে আল্লাহর আশ্রয় চায়। আর কারো কাছে যেন তা বর্ণনা না করে। তাহলে এ স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি করবে না। ( বুুুখারী ৬৯৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫১৪)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
স্বপ্নে নিজেকে নবী মুহাম্মদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রওজা মুবারক যিয়ারত করতে দেখা রওজা শরীফের প্রতি মুহাব্বতের আলামত।
উলামায়ে কেরামগন বলেছেন যে এরকম ব্যাক্তি সাধারণত রাসুল সাঃ এর রওজা শরীফ যিয়ারত করার,এবং হজ্জ, ওমরা করার সৌভাগ্য অর্জন করবে।

প্রশ্নে উল্লেখিত স্বপ্নের কারনে আপনি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন।  
আল্লাহ তায়ালা আপনাকে দ্রুত রাসুল সাঃ এর রওজা মোবারক যিয়ারত,  হজ্জ,ওমরা করার সৌভাগ্য অর্জন করার তওফিক দান করুন।
এবং বাইতুল্লাহ শরীফ,হারামাইন শরীফের বরকত লাভের তওফিক দান করুন।
আমিন।

(উল্লেখ্য যে স্বপ্নের শেষের দিকে যাহা কিছু দেখেছেন,সবই আপনার মনের ভাবনা মাত্র।
আর এখানে যে গায়রে মাহরামকে দেখেছেন,এর দরুন কোনো সমস্যা হবেনা। চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...