ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
দুর্রুল মুখতার গ্রন্থের উক্ত ইবারতের ব্যখ্যায় আল্লামা শামী রাহ, রদ্দুল মুহতার গ্রন্থে লিখেন,
(ﻗَﻮْﻟُﻪُ ﺃَﻣَّﺎ اﻟْﻌَﺠُﻮﺯُ ﺇﻟَﺦْ)
ﻭﻓﻲ ﺭﻭاﻳﺔ ﻳﺸﺘﺮﻁ ﺃﻥ ﻳﻜﻮﻥ اﻟﺮﺟﻞ ﺃﻳﻀﺎ ﻏﻴﺮ ﻣﺸﺘﻬﻰ اﻩـ ﻗﻬﺴﺘﺎﻧﻲ ﻋﻦ اﻟﻜﺮﻣﺎﻧﻲ،ﻗﺎﻝ ﻓﻲ اﻟﺬﺧﻴﺮﺓ: ﻭﺇﻥ ﻛﺎﻧﺖ ﻋﺠﻮﺯا ﻻ ﺗﺸﺘﻬﻲ، ﻓﻼ ﺑﺄﺱ ﺑﻤﺼﺎﻓﺤﺘﻬﺎ ﺃﻭ ﻣﺲ ﻳﺪﻫﺎ، ﻭﻛﺬﻟﻚ ﺇﺫا ﻛﺎﻥ ﺷﻴﺨﺎ ﻳﺄﻣﻦ ﻋﻠﻰ ﻧﻔﺴﻪ ﻭﻋﻠﻴﻬﺎ ﻓﻼ ﺑﺄﺱ ﺃﻥ ﻳﺼﺎﻓﺤﻬﺎ ﻭﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﻻ ﻳﺄﻣﻦ ﻋﻠﻰ ﻧﻔﺴﻪ ﺃﻭ ﻋﻠﻴﻬﺎ ﻓﻠﻴﺠﺘﻨﺐ،
ভাবার্থঃ মহিলা-ই শুধু এমন হলে চলবে না যে,যাকে দেখলে যৌনচাহিদা জাগ্রত হয় না।বরং স্পর্শকারী পুরুষকেও এমন হতে হবে যে, যাকে দেখে কোনো মহিলার যৌনচাহিদা জাগ্রত হয় না।(কুহুসতানী) 'যাখিরাহ' নামক কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, যদি বৃদ্ধা মহিলা এমন পর্যায়ের হন,যার যৌনচাহিদা আপাতত জাগ্রত হবে না,তাহলে তার সাথে মুসাফাহা করা বা তার হাত স্পর্শ করা যাবে,এতে কোনো সমস্যা নাই। তদ্রূপ বৃদ্ধ পুরুষও যদি এমন পর্যায়ের হন,যে তার নিজের উপর নিয়ন্ত্রন রয়েছে, এবং উক্ত মহিলার ও নিজের উপর নিয়ন্ত্রন রয়েছে বলে ধারণা করা যায় তাহলে তারা পরস্পর মুসাফাহা করতে পারবেন।এতে কোনো সমস্যা নাই। হ্যা যদি বৃদ্ধ বা বৃদ্ধা কেউ ই নিজের উপর নিয়ন্ত্রন রাখতে অক্ষম হন,তাহলে তারা যেন পরস্পর দূরে থাকেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মূল বিষয় হচ্ছে ফিতনার আশংকা না থাকা।যদি পাত্রর বাবা এই পরিমাণ বৃদ্ধ হন, যার ব্যাপারে ফিতনার আশংকা নাই বললেও চলে, তাহলে এমতাবস্থায় পাত্রর উক্ত বৃদ্ধ বাবার সামনে আপনি যেতে পারবেন।তবে নিজেকে যথাসম্ভব পর্দায় আবৃত করে রাখবেন।