আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
96 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (21 points)
আসসালামু 'আলাইকুম।
১) এক বোনের বাবা-মার মধ্যে কলহের জন্য দিনের পর দিন সে মানসিকভাবে অনেক বিপর্যস্ত হয়ে যাচ্ছে৷ ঈমান, আমল, ইলম সব দিক দিয়ে উনি পিছিয়ে যাচ্ছেন পারিবারিক এমন অশান্তির জন্য। সে ছোট বিধায় তার বাবা সবসময় তার উপর সব চাপিয়ে দেয় অন্যায়ভবে৷ তার বাবা মেয়েদের কোনো সম্মান দেয় না এজন্য অই বোনের মতামতের কোনো গুরুত্ব নেই তার কাছে৷ সে যেন একটু সুস্থ হতে পারে এজন্য তার ভাবী,ভাতিজার কাছে থাকতে চায় কয়েক মাস। তার ভাই দেশের বাইরে থাকেন। তার ভাবি,  ভাতিজা ঢাকায় থাকেন। এই বোনের বাবা সুস্থ মস্তিষ্কের না৷ সে শুধু আধিপত্য খাটাতে চান, কিন্তু পরিবারের দায়িত্ব কখনোই ঠিকমতো পালন করে নি। অন্যদিকে তার মা সারাক্ষণ তার কানের কাছে এসব বাবার চারিত্রিক সমস্যাগুলো নিয়ে বলে। এই বোন ঢাকা আসতে চান শুনে তার বাবা-মা বলছেন বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে গেলে উনি কখনো ভালো কিছু করতে পারবেন না। উনি ঢাকায় আসতে চান মূলত চিকিৎসা,  দ্বীনি ইলম হাসিল, দুনিয়াবি পড়াশোনা সবকিছুর জন্যই। তার বাবার জেদ তাকে আসতে দিবেন না। অই বোন ও অভিশাপের ভয় পাচ্ছে। এখন তার করণীয় কি? সে বাবার -মায়ের অমতে ভাবির কাছে আসলে কি তার অসুবিধা হবে??
২) আমার মার দুধ যদি আমার ফুপাতো ভাই ৪বছর বয়সে খায় তাহলে কি সে আমার দুধ ভাই এবং মাহরাম হিসেবে গণ্য হবে?
৩)  উমরাহ করতে মাহরাম সাথে থাকা কি ফরজ??

1 Answer

0 votes
by (715,720 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
তাপিতার আদেশকে মান্য করা মূলত তিনটি মূলনীতির আলোকে হয়ে থাকে।
(১) তাদের আদেশ কোনো মুবাহ বিষয়ে হতে হবে।কোনো ওয়াজিব তরকের ব্যাপারে হতে পারবে না।এবং কোন হারাম কাজের জড়িত হওয়ার জন্যও হতে পারবে না।
(২)যে কাজের আদেশ তারা দিবেন,এতে তাদের ফায়দা থাকতে হবে,বা শরীয়তের পছন্দসই কাজ হতে হবে।
(৩)যে কাজের আদেশ দিচ্ছেন,তা তাদের সন্তানদের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারবে না।

সুতরাং যদি সন্তানের কষ্ট লাগবের জন্য তারা আদেশ দিয়ে থাকেন,তাহলে এক্ষেত্রে মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা ওয়াজিব।

ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ লিখেন,
ويلزم الإنسان طاعة والديه في غير المعصية وإن كانا فاسقين ، وهو ظاهر إطلاق أحمد ، وهذا فيما فيه منفعة لهما ولا ضرر ، فإن شق عليه ولم يضره : وجب ، وإلا فلا
গোনাহের কাজ ব্যতীত মুবাহ কাজে,মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা ওয়াজিব।যদি তার ফাসিকও হয়।এটা তখন যখন তাতে মাতাপিতার ফায়দা থাকবে,এবং সন্তানের জন্য ক্ষতিকারক হবে না।যদি সন্তানের উপর কষ্টদায়ক হয় তবে ক্ষতিকারক না হয়, তাহলে তখন মাতাপিতার আদেশ মান্য করা ওয়াজিব।(আল-ফাতাওয়াল কুবরা-৫/৩৮১)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1707

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাতাপিতার খেদমত প্রয়োজন সেজন্য যদি তারা আপনাকে ঢাকায় যেতে বারণ করে, তাহলে এক্ষেত্রে আপনারা জন্য ঢাকায় যাওয়া জায়েয হবে না। তবে যদি তারা এমনি এমনি আপনাকে বারণ করে, তাহলেও মাহরাম ব্যতিত এভাবে ঢাকায় যাওয়া ও তাতে অবস্থান করা উচিৎ হবে না। হ্যা, যদি পর্দার পরিপূর্ণ ব্যবস্থা থাকে, এবং মাতাপিতার খেদমতে  কোনো প্রয়োজনিয়তা না থাকে, তাহলে তখন আপনি মাতাপিতার অনুমোদন ব্যতিতও যেতে পারবেন।কারণ আপনার অন্যতম একটি উদ্দেশ্য হল, দ্বীন শিখা।

(২) আপনা মায়ের দুধ যদি আমার ফুপাতো ভাই ৪ বছর বয়সে পান করে,  তাহলে সে আপনার দুধ ভাই, এবং মাহরাম হিসেবে গণ্য হবে।

৩)  উমরাহ করতে মাহরাম সাথে থাকা ফরজ।মাহরাম ব্যতিত কোনো প্রকার সফর করা জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (715,720 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...