ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
তাপিতার আদেশকে মান্য করা মূলত তিনটি মূলনীতির আলোকে হয়ে থাকে।
(১) তাদের আদেশ কোনো মুবাহ বিষয়ে হতে হবে।কোনো ওয়াজিব তরকের ব্যাপারে হতে পারবে না।এবং কোন হারাম কাজের জড়িত হওয়ার জন্যও হতে পারবে না।
(২)যে কাজের আদেশ তারা দিবেন,এতে তাদের ফায়দা থাকতে হবে,বা শরীয়তের পছন্দসই কাজ হতে হবে।
(৩)যে কাজের আদেশ দিচ্ছেন,তা তাদের সন্তানদের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারবে না।
সুতরাং যদি সন্তানের কষ্ট লাগবের জন্য তারা আদেশ দিয়ে থাকেন,তাহলে এক্ষেত্রে মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা ওয়াজিব।
ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ লিখেন,
ويلزم الإنسان طاعة والديه في غير المعصية وإن كانا فاسقين ، وهو ظاهر إطلاق أحمد ، وهذا فيما فيه منفعة لهما ولا ضرر ، فإن شق عليه ولم يضره : وجب ، وإلا فلا
গোনাহের কাজ ব্যতীত মুবাহ কাজে,মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা ওয়াজিব।যদি তার ফাসিকও হয়।এটা তখন যখন তাতে মাতাপিতার ফায়দা থাকবে,এবং সন্তানের জন্য ক্ষতিকারক হবে না।যদি সন্তানের উপর কষ্টদায়ক হয় তবে ক্ষতিকারক না হয়, তাহলে তখন মাতাপিতার আদেশ মান্য করা ওয়াজিব।(আল-ফাতাওয়াল কুবরা-৫/৩৮১)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1707
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাতাপিতার খেদমত প্রয়োজন সেজন্য যদি তারা আপনাকে ঢাকায় যেতে বারণ করে, তাহলে এক্ষেত্রে আপনারা জন্য ঢাকায় যাওয়া জায়েয হবে না। তবে যদি তারা এমনি এমনি আপনাকে বারণ করে, তাহলেও মাহরাম ব্যতিত এভাবে ঢাকায় যাওয়া ও তাতে অবস্থান করা উচিৎ হবে না। হ্যা, যদি পর্দার পরিপূর্ণ ব্যবস্থা থাকে, এবং মাতাপিতার খেদমতে কোনো প্রয়োজনিয়তা না থাকে, তাহলে তখন আপনি মাতাপিতার অনুমোদন ব্যতিতও যেতে পারবেন।কারণ আপনার অন্যতম একটি উদ্দেশ্য হল, দ্বীন শিখা।
(২) আপনা মায়ের দুধ যদি আমার ফুপাতো ভাই ৪ বছর বয়সে পান করে, তাহলে সে আপনার দুধ ভাই, এবং মাহরাম হিসেবে গণ্য হবে।
৩) উমরাহ করতে মাহরাম সাথে থাকা ফরজ।মাহরাম ব্যতিত কোনো প্রকার সফর করা জায়েয হবে না।