মুফতি সাহেব, একটু জবাব গুলো দিলে ভালে হয়, অনেক দিন থেকেই জানতে চাচ্ছি, মেহেরবানি করে যদি এই ৮ টা প্রশ্নের জবাব দেন, এহসানমন্দ থাকবো। বিরক্ত করার জন্য ক্ষমা করবেন।
১. জেনেছি যে, " কেও যদি স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরা বা হাতে ধরার পর বউ যদি বলে আমাকে ছাড়ো, তখন স্বামী হাত বা জড়িয়ে ধরা থেকে ছেড়ে দিয়ে যদি বলে" নাও তোমায় ছেড়ে দিলাম"। এতে তালাক পতিত হবে না। যদিও "ছেড়ে দিলাম" কথা টি সরিহ তালাক হিসাবে বুঝায়, আমি জানতে চাই যে কোন জিনিসটার কারণে এই অবস্থায় তালাক পতিত হবে না। এই দুই ক্ষেত্রে কি তফাতের কারনে পৃথক হলো। এরকম সিচুয়েশনে এছাড়াও মানুষ তো বউ এর ছাড়ো এর জবাবে বিভিন্ন সময় ছেড়ে দিয়েছি বলতে পারেই, তাতে কি সমস্যা হবে? কোন ক্ষেত্রে ছেড়ে দাও কথাটি দ্বারা তালাক হবে?
২. স্বামী স্ত্রী একে অপরের গায়ে হাত দেওয়া অবস্থায় হঠাৎ দেখে ফেলবে এমন ভয়ের সময় বউ /জামাই যদি বলে ছাড়ো,তখন যদি সে হাত বা স্পর্শ ছেড়ে দেয়, এতে কি সমস্যা হবে?
৩. অধিকার প্রাপ্ত স্ত্রী যদি কথা বলা যে "তুমি যদি অমুক কাজ করো তবে আমি তোমার সাথে আর নাই"। জবাবে স্বামী যদি বলেন "ঠিক আছে। আমি আর এমন করব না" এতে কি স্ত্রীর তালাকের নিয়ত ছাড়াই বিচ্ছেদ হবে? না কি স্ত্রীর নিয়ত থাকা আবশ্যক।
৪. ম্যাসেজে কেও স্ত্রী যদি বলে ছেড়ে দাও, তখন স্বামী যদি বলে, আচ্ছা। এতে কি তালাক হবে?
৫. অনেক সময় একটা ম্যাসেজের জবাব আগে পিছে হয়ে যায়, মানে কেও প্রশ্ন করলো উত্তরের ম্যাসেজ দেওয়ার আগেই প্ররকের ভিন্ম ম্যাসেজ চলে আসে, পড়লে মনে হবে যেনো দ্বীতিয় ম্যাসেজের জবাব, এইরকন অবস্থায় যদি "ছেড়ে দাও" এর জবাব" আচ্ছা " ভূলক্রমে হয়ে যায় তবে কি তালাক হবে?
৬. আমার স্ত্রীয় সাথে এই ধরনের কথোপকথন হয়েছে বলে মনে হয় না তাও শুধু শুধু ভয় হয়, আতংক লাগে ছাড়া ছাড়ও এসব কথা দ্বারা আগে কিছু হয়েছে কি না। বউ ছাড়ার কথা বললে বলতাম ছাড়ার হলে বিয়ে করতাম না,বা ছাড়ার হলে আগেই ছাড়তাম, এইসব জবাব দিয়েছি। এর বাইরে ভিন্ন জবাব দিয়োছি বিশ্বাসে আসে না। সন্দেেহের দরুন আমি সব ম্যাসেজ ডিলেট দিয়ে দিয়েছি। বউ এর কাছে সব আছে, ওসওয়াসার কারণে এইগুলো আবার খোাজ করতে মন চায়, বউকে।বললে সে দেখায় ও না, ম্যাসেজ গুলো।ডিলেট ও।করে না। আমি কি।করবো?এইগুলো সার্চ করে খোজা কি দরকার?
৭. সূরা নূরের "দুশ্চরিত্রা নারী দুশ্চরিত্র পুরুষের জন্য" এই সংক্রান্ত , বর্ণিত আয়াত পড়ে কেও যদি ভাবে যে, ব্যাভিচারীর সাথে সব সময় আরেক ব্যাভিচারীর ই বিয়ে হয়, এতে কি তার ইমানে সমস্যা হবে? সঠিক ব্যাখা না জেনে...
৮. আমি ৮/৯ বছর থেকে মাগরিব নামাজ পরে কালিমা তৈয়িবা ১০ বার পড়ি। এটা অভ্যাাস আমার। পড়ার সময় হয়তো বাংলা অর্থ মাথায় আসে না, কলিমা পড়ছি এটা বুঝি, কোনো কোনো দিন আনমনে পড়ি, তবে সালাম ফিড়ানোর পরপর অন্তত ১০ বার পরি। এখন আমার পুরাতন কোনো ঘটনা যদি মনে পরে যা আল্লাহ না করুক আমর করা কুফরের পর্যায়ের কাজ বা কথা( যদিও করেছি বলে মনে হয় না, আল্লাহ হেফাজতে রেখেছেন)।তবে কি আমার সেই সময় থেকে নামাজ, বিবাহ বা অন্য বিষয়দি পুনরায় করতে হবে? না কি ওই কলিমা তৈয়িবা পড়ার ফলে অটোমেটিক নবায়ন হয়ে গেছে ধরা হবে।
৯.আমার করা প্রশ্নগুলোর জন্য ইমান/পরিবারে কোনো সমস্যা হবে কি?