আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
220 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (41 points)
আসসালামু আলাইকুম । হুজুর আমি একটা বিষয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছিলাম যে , কোন অর্ধ পাগল ব্যাক্তির বা তার কাজের সমালোচনা করলে কি গীবত হবে। আমি অর্ধ পাগল বললাম কারণ তিনি আমাদের ইউনিভার্সিটিতে পড়ে । কিন্তু তাঁর কাজ দেখলে তাকে স্বাভাবিক বলতে কষ্ট হবে। যেমন আজ  ভার্সিটি তে সে কিছু মানুষের উপর প্লাস্টিকের বোতল ছুড়ে মারে । এবং পাথরও ছুড়ে মারে । তাকে বুঝায় বলসিল কিন্তু সে এটা গুরুত্ব দেয় না । আরেকদিন সে ভার্সিটি তে আজান দিচ্ছে  সিরির পাশে যদিও আজান মুয়াজ্জিন দেন।
তার কাজ গুলো দেখে মুটামুটি সবাই বলতেছিল যে ওর মাথায় সমস্যা আছে ।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে সে যে  পাগলের মত এসব কাজ করতেছে তার সমালোচনা করা এবং তার মাথায় সমস্যা আছে বলা এসব কি গীবত হবে ?  যদিও তার কাজ সবাই জানে ।
আর যদি গীবত হয় তাহলে তার থেকে ক্ষমা চাইতে পড়ব কিনা বুঝতেছিনা কারণ সে সাভাবিক না ।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে,
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَتَدْرُونَ مَا الْغِيبَةُ " . قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ " ذِكْرُكَ أَخَاكَ بِمَا يَكْرَهُ " . قِيلَ أَفَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ فِي أَخِي مَا أَقُولُ قَالَ " إِنْ كَانَ فِيهِ مَا تَقُولُ فَقَدِ اغْتَبْتَهُ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِيهِ فَقَدْ بَهَتَّهُ " .
 রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কি জান, গীবত কী জিনিস? তারা বললেন, আল্লাহ ও তার রসূলই অধিক জ্ঞাত। তিনি বললেন, (গীবাত হলো) তোমার ভাইয়ের সম্পর্কে এমন কিছু আলোচনা করা, যা সে অপছন্দ করে। প্রশ্ন করা হলো, আমি যা বলছি তা যদি আমার ভাই এর মধ্যে বাস্তবিকই থেকে থাকে তবে আপনি কি বলেন? তিনি বললেন, তুমি তার সম্পর্কে যা বলছ তা যদি তার মধ্যে প্রকৃতই থেকে থাকে তাহলেই তুমি তার গীবত করলে। আর যদি তা তার মধ্যে না থাকে তাহলে তো তুমি তার প্রতি অপবাদ আরোপ করলে। (সহীহ মুসলিম-৬৩৫৭)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যা শুনলে ভাই কষ্ট পাবে, সেটা গীবত,যদিও বাস্তবে তার মধ্যে থাকুন না কেন,সেটা গীবত হিসেবেই বিবেচিত হবে। সে পাগল, এই কথা যদি সে শুনতে পায়, তাহলে অবশ্যই সে তা অপছন্দ করবে। এবং এজন্য অবশ্যই আপনার গীবতের গোনাহ হবে। 


বিশেষ কোনো জরুরত ব্যতিত অন্যর কাছে এটা বলা যাবে না যে, ঐ ব্যক্তি পাগল, তার মাথায় সমস্যা রয়েছে। হ্যা, কোনো ক্ষেত্রে যেখানে তার ব্যাপারে পাগল ইত্যাদি বলাটা জরুরী হয়ে যায়, যেমন সে কোনো অপরাধ করেছে, অথবা তার বিয়ের আলোচনা চলছে, এবং পাত্রীপক্ষ আপনাকে জিজ্ঞেস করছে, তাহলে এমতাবস্থা তাকে পাগল বলা বা তার ব্যাপারে এটা বলা যে, তার মাথায় সমস্যা রয়েছে,এটা জায়েয। মোটকথা, তার প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ মূলক তাকে পাগল বলাটাও জায়েয হবে। অযথা তার ব্যাপারে পাগল বলা কখনো জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...