بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/5066/নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শরীয়তের
বিধান হলো ওয়াতনে আসলী (স্থায়ী নিবাস) তে এক দিনের জন্য গেলেও পুরো নামাজ পড়তে হবে।
ব্যক্তি নিজে স্থায়ী নিবাসে গেলে কখনো মুসাফির হয়না।
স্থায়ী নিবাস বলে এমন স্থানকে-“যেখানে ব্যক্তির বসবাসের জন্য স্থায়ী গৃহ থাকে, স্ত্রী সন্তান নিয়ে যেখানে সর্বদার জন্য
থাকার নিবাস হয়”।
শরীয়তের বিধান হলো কোন স্থানে গিয়ে সেখানে যদি কমপক্ষে
পনের দিন থাকার নিয়ত না করে, তাহলেও কসর পড়তে হবে। বেশি দিন থাকার নিয়ত করলে কসর করতে পারবে
না।
৭৮ কিলোমিটার হল সফরের দূরত্ব। এর কম নয়। সুতরাং কেউ
যদি ৭৮ কিলোমিটার দূরত্বের সফরের নিয়তে বের হয় কেবল সেই ব্যক্তি কসর পড়তে পার। এরচে’কম
দূরত্বের সফরের জন্য কসর পড়া জায়েজ নয়।
হাদীস শরীফে এসেছে
سنن أبى داود -صلاة السفر باب متى يقصر المسافر
(1 / 465)حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ
حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ يَحْيَى بْنِ يَزِيدَ الْهُنَائِىِّ قَالَ سَأَلْتُ
أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ عَنْ قَصْرِ الصَّلاَةِ فَقَالَ أَنَسٌ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ
-صلى الله عليه وسلم- إِذَا خَرَجَ مَسِيرَةَ ثَلاَثَةِ أَمْيَالٍ أَوْ ثَلاَثَةِ
فَرَاسِخَ – شُعْبَةُ شَكَّ – يُصَلِّى رَكْعَتَيْنِ.
যখন তিন ফারছাখ সফরের নিয়ত করে,তাহলে কসরের নামাজ পড়তে পারবে। যদি উপরোক্ত বোন তার শ্বশুরবাড়িকেই
ওয়াতলে আসলী তথা মূল বাড়ি হিসেবে গ্রহণ করে থাকেন। অর্থাৎ সেখানেই তিনি মূলত থাকেন
পরিবার নিয়ে,বা আপাতত
অন্যত্রে ভাড়া বাসায় থাকলেও মূলত তাদের স্বামীর বাড়ি (শশুর বাড়ি) তেই থাকার ইচ্ছা থাকে
।
নিজ বাবার বাসায় স্থায়ী ভাবে থাকার যদি কোনো নিয়ত না থাকে, তাহলে সে যদি বাবার বাসায় গিয়ে ১৫ দিনের
কম থাকার নিয়ত করে,তাহলে সে
মুসাফির। সেখানে কসরের নামাজ পড়বে।
যদি নিজ বাবার বাসা এবং শশুর বাড়িকেও ওয়াতনে আসলী (স্থায়ী
নিবাস) হিসেবে ঠিক না করে,বরং এখন
যেখানে ভাড়া আছে, সেখানেই
স্থায়ী ভাবে থাকার নিয়ত করে,তাহলে এমতাবস্থায় শশুর বাড়িতে ১৫ দিন থেকে কম থাকার নিয়ত করলে
তিনি মুসাফির হবেন,এবং কসরের নামাজই পড়বেন।
এবং এমতাবস্থায় পিতার বাড়িতে বেড়াতে এলে পনের দিনের কম
থাকার নিয়ত করলে তিনি মুসাফির হবেন। তাই তার কসরই পড়তে হবে। {ফাতাওয়া দারুল উলুম জাকারিয়া-২/৫১৪, ফাতাওয়া দারুল উলুম দেওবন্দ-৪/৪৮৩, আপকি মাসায়িল আওর উনকা হল-২/৩৮৩}
وَالْوَطَنُ الْأَصْلِيُّ هُوَ وَطَنُ
الْإِنْسَانِ فِي بَلْدَتِهِ أَوْ بَلْدَةٍ أُخْرَى اتَّخَذَهَا دَارًا
وَتَوَطَّنَ بِهَا مَعَ أَهْلِهِ وَوَلَدِهِ، وَلَيْسَ مِنْ قَصْدِهِ
الِارْتِحَالُ عَنْهَا بَلْ التَّعَيُّشُ بِهَا وَهَذَا الْوَطَنُ يَبْطُلُ
بِمِثْلِهِ لَا غَيْرُ، وَهُوَ أَنْ يَتَوَطَّنَ فِي بَلْدَةٍ أُخْرَى وَيَنْقُلَ
الْأَهْلَ إلَيْهَا فَيَخْرُجَ الْأَوَّلُ مِنْ أَنْ يَكُونَ وَطَنًا أَصْلِيًّا
حَتَّى لَوْ دَخَلَهُ مُسَافِرًا لَا يُتِمُّ (البحر الرائق، كتاب الصلاة، باب
المسافر-2/136، حاشية الطحطاوى على مراقى الفلاح، باب صلاة المسافر-429، شرح منية
المصلى-541)
فى رد المحتار- (الوطن الاصلى يبطل بمثله) (
قوله إذا لم يبق له بالأول أهل ) أي وإن بقي له فيه عقار قال في النهر : ولو نقل
أهله ومتاعه وله دور في البلد لا تبقى وطنا له وقيل تبقى كذا في المحيط وغيره (رد
المحتار-كتاب الصلاة، باب صلاة المسافر، مطلب في الوطن الأصلي ووطن الإقامة-2/614)
ওয়াতনে আসলিতে যদি স্থায়ী আর না থাকার নিয়ত করে,এবং
পরিবার সামানা যদি সেখানে আর না থাকে,তাহলে সেটা আর ওয়াতনে আসলি থাকবেনা। অন্যথায় সেটা ওয়াতনে
আসলি হিসেবেই থাকবে।
আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/4145/
★★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১. প্রিয় বোন! আপনি
যদি শ্বশুরবাড়িকেই ওয়াতলে আসলী তথা মূল বাড়ি হিসেবে গ্রহণ করে থাকেন
এবং বাবার বাড়ী থেকে আপনি রুখছতও নিয়ে নেন এবং বর্তমানে সেখান থেকে এসে পড়াশুনার
জন্য হোস্টেলে থাকেন তাহলে শ্বশুরবাড়িই আপনার ওয়াতনে আসলী। সেখানে
আপনার স্বামীর মত আপনিও মুকীম হবেন। আপনি ও আপনার স্বামী ঢাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে
সরাসরি আপনার বাবার বাড়ীতে গেলে আপনারা মুসাফির হিসেবে কসর করবেন। কিন্তু শর্ত হলো,
বাবার বাড়ী এবং শ্বশুরবাড়ির মাঝে সফরের দূরত্ব না থাকলেও যেন
এই পরিমাণ দূরত্ব থাকে যে, উভয় বাড়ি একই এলাকায় অবস্থিত না হয়। সাধারণত নিজ প্রয়োজন
পূরণের জন্য অন্যের এলাকায় যাওয়ার প্রয়োজন না পড়ে।
২. উনি চট্টগ্রাম থেকে তার বাড়িতে আসার পর আপনার বাবার বাড়িতে
আসলে মুকীম হবে। কিন্তু সরাসরি আপনার বাবার বাড়িতে আসলে উপরের শর্তানুরুপে মুসাফির
হবেন।