بسم الله الرحمن الرحيم
জাবাব,
বিতরের নামাজ ওয়াজিব।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الطَّالْقَانِيُّ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ الْعَتَكِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الْوِتْرُ حَقٌّ فَمَنْ لَمْ يُوتِرْ فَلَيْسَ مِنَّا، الْوِتْرُ حَقٌّ فَمَنْ لَمْ يُوتِرْ فَلَيْسَ مِنَّا، الْوِتْرُ حَقٌّ فَمَنْ لَمْ يُوتِرْ فَلَيْسَ مِنَّا "
হযরত বুরাইদা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূল (সা.) বলেন, ‘বিতর নামাজ অপরিহার্য। যে বিতর পড়বে না সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। বিতর নামাজ অপরিহার্য। যে বিতর পড়বে না সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। বিতর নামাজ অপরিহার্য। যে বিতর পড়বে না সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।’ [আবু দাউদ, হাদিস:১৪১৯]
বিতরের নামাজ ওয়াজিব,সুন্নাত নয়। (আলবাহরুর রায়েক ২/৬৬; বাদায়েউস সানায়ে ২/২২২)
তবে ইমাম শাফেয়ী রহঃ সহ কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে বিতর নামাজ ওয়াজিব নয়,সুতরাং তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারেন।
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী বিতির নামাজ ৩ রাকাত পড়া ওয়াজিব।
৩য় রাকাতে রুকুর আগে দোয়ায়ে কুনুত পড়তে হবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতরের নামায তিন রাকাত পড়তেন।
যেসব রেওয়ায়েতে তিন রাকাতের অধিক, যথা পাঁচ, সাত বা নয় রাকাত পড়ার কথা বলা হয়েছে সেখানেও মূল বিতর তিন রাকাত। বর্ণনাকারী পূর্বের বা পরের রাকাতসমূহ মিলিয়ে সমষ্টিকে ‘বিতর’ বলে বর্ণনা করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতর নামায তিন রাকাত পড়তেন তা নীচের হাদীসসমূহ দ্বারা প্রমাণিত।
عن أبي سلمة بن عبد الرحمن أنه سأل عائشة رضي الله عنها كيف كان صلاة رسول الله صلى الله عليه وسلم في رمضان؟ قالت ما كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يزيد في رمضان ولا في غيره على إحدى عشرة ركعة، يصلي أربعا فلا تسأل عن حسنهن وطولهن، ثم يصلي أربعا فلا تسأل عن حسنهن وطولهن ثم يصلي ثلاثا.
আবু সালামা ইবনে আবদুর রহমান উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. কে জিজ্ঞাসা করেন, ‘রমযানুল মুবারকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নামায কীরূপ হত?’ উম্মুল মুমিনীন বলেন, ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানে ও রমযানের বাইরে এগারো রাকাতের বেশি পড়তেন না। প্রথমে চার রাকাত পড়তেন-এত সুন্দর ও দীর্ঘ সে নামায, যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। অতঃপর চার রাকাত পড়তেন-এরও দীর্ঘতা ও সৌন্দর্য সম্পর্কে জানতে চেয়ো না। এরপর তিন রাকাত পড়তেন।’
(সহীহ বুখারী ১/১৫৪; সহীহ মুসলিম ১/২৫৪; সুনানে নাসায়ী ১/২৪৮; সুনানে আবু দাউদ ১/১৮৯; মুসনাদে আহমদ ৬/৩৬)
عن سعد بن هشام أن عائشة حدثته أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان لا يسلم في ركعتي الوتر.
সা’দ ইবনে হিশাম বলেন, (উম্মুল মুমিনীন) আয়েশা রা. বলেছেন, ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতরের দুই রাকাতে সালাম ফেরাতেন না।’ (সুনানে নাসায়ী ১/২৪৮; মুয়াত্তা ইমাম মুহাম্মাদ পৃ. ১৫১)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. বেতরের নামাজ পড়া যেহেতু ওয়াজিব। তাই তা না পড়লে গোনাহ হবে। সুতরাং একান্ত কোনো দিন পড়তে না পারলে পরে তা কাযা করে নিতে হবে।
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আগে জোহরের নামাজ পড়বেন। আর বেতরের নামাজ পরবর্তীতে কাযা করে নিবেন।
২. যদি আপনার স্বামীর একাধিক বিয়ের প্রয়োজন হয় এবং তিনি বিয়ের পর সকল স্ত্রীর হক আদায় করতেও সক্ষম হোন, কারো উপর তার মাধ্যমে জুলুম না হয় তাহলে এমতাবস্থায় আপনার জন্য উক্ত দোয়া করা জায়েয হবে না। কারণ, এটি তার জন্য আল্লাহ তায়ালার দেওয়া অধিকার। আপনি আপনার স্বামীকে এতো বেশী ভালোবাসা দিন এবং খেদমত করুন যেন তিনি দ্বিতীয় বিয়ের ফিকির করার অবকাশ না পান।