আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
130 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
জি একজন আলেমের কাছ থেকে শুনলাম যে হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী (ফাতহুল বারির লেখক)নাকি লুকিয়ে মেয়ের বাবা মা আর উনার মা বাবাকে না জানিয়ে বিয়ে করেছিলেন।এটা কি সত্যি?আর আসরের সালাত এর পরে কি ন ফল সালাত বা কাযা আদায় করা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (589,230 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
তার আসল নাম হলো শাহাবুদ্দিন আবুল ফাদ্বল আহমদ বিন আলী বিন মুহাম্মদ বীন মুহাম্মাদ বীন আলী বীন মাহমুদ বীন আহমাদ বীন আহমাদ আল কিনানী আল আসক্বালানী আল মিসরী আশ শাফিয়ী। আবুল ফজল হলো তার উপনাম। শিহাবুদ্দীন হলো তার উপাধি। এছাড়া তিনি হাফেজ উপাধিতেও ভূষিত হয়েছেন। তার পরিবার মূলত তিউনিসিয়ার অন্তর্গত কাবেস এলাকার অধিবাসী ছিল। পরবর্তীতে তারা ফিলিস্তিনের অন্তর্গত আসক্বালান নামক এলাকায় বসতি গড়ে। তার পরিবার আসক্বালানের অধিবাসী ছিল বলে তাকে আসক্বালানী (আসক্বালান সংশ্লিষ্ট)বলা হয়, যদিও তার জন্ম মিশরে।


ইমাম ইবনে হাজার আসকালানি রাহ শাফেয়ী মাযহাবের অনুসারী ছিলেন। বনে হাজার আসকালানির শুধু মেয়ে সন্তান জন্ম নিত।তাই উনার ইচ্ছা ছিল, একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়ার। উনার স্ত্রীর একটি বাদী ছিল। সেই বাদীকে বিয়ে/ক্রয় করার ইচ্ছা করলে স্ত্রী সেই বাদীকে বিক্রয় করার জন্য বাজারে প্রেরণ করেন।ইবনে হাজার অন্য একজনের মাধ্যমে সেই বাদীকে ক্রয় করে নেন এবং প্রথম স্ত্রীর অদূরে ভিন্ন একটি বাড়ীতে রাখেন। তারপর সেই বাদীর গর্ভে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। তখন আকিকার সময় প্রথম স্ত্রী জানতে পারেন। এটা প্রচলিত গোপন বিয়ে নয়, বরং এত স্ত্রী থেকে দূরে অন্য স্ত্রী / বাদীকে রাখা।
(সাখাবী কর্তৃক লিখিত আল-জাওয়াহির ওয়াদ-দুরার)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...