আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
733 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (1 point)
বর্তমান যুগে আদালতের জাজ(বিচারক) হওয়া কি বৈধ যেখানে কোরআন সুন্নাহর পরিপন্থী বিচার করতে হয়?যেমন:চুরির দন্ড,রজম,হদ্দ ইত্যাদি বাদ দিয়ে বিকল্প মানবরচিত ইসলামপরিপন্থী  আইন দিয়ে বিচার করতে হয়৷

বর্তমান যুগে আদালতের জাজ(বিচারক) হওয়া কি বৈধ যেখানে জাজদের কোরআন সুন্নাহর পরিপন্থী বিচার করতে হয়?যেমন:চুরির দন্ড,রজম,হদ্দ ইত্যাদি বাদ দিয়ে এগুলোর বিকল্প মানবরচিত ইসলামপরিপন্থী  আইন দিয়ে একজন জাজকে বিচার করতে হয়৷

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
5805 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, বিচার হয়তো তিন প্রকারের হতে পারে।যথাঃ- 
কুরআন-সুন্নাহ সম্ভলিত যে সমস্ত বিধি-বিধান রয়েছে,সেগুলো দ্বারা বিচার করা জায়েয।আর কুরআন সুন্নাহ বিরোধী বিচার করা নাজায়েয ও হারাম।
যে সকল বিষয়ে কুরআন-সুন্নাহ থেকে কিছুই বর্ণিত হয়নি,সে সমস্ত বিষয়ের বিচার কিভাবে করা হবে? এসম্পর্কে উলামায়ে কেরাম থেকে বর্ণিত রয়েছে, যেমন  623 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
পাকিস্তান সরকারের গ্রান্ড মুফতী-
মুফতী শফী রহ সুরা নিসার ৫৯ নং আয়াতের তাফসীর করতে যেয়ে বলেনঃঐ সমস্ত হুকুম যা কোরআন-সুন্নাহে বর্ণিত নেই তাতে দু-রকম বিধি-বিধান রয়েছে (এক)যার সম্পর্ক  দ্বীন-ইসলামের সাথে তথা শরয়ী হুকুম-আহকামের সাথে।(দুই)যার সম্পর্ক সামাজিক নিয়ম শৃংখলার সাথে।
যেই সমস্ত বিধি-বিধানের সম্পর্ক সামাজিক নিয়ম-শৃংখলার সাথে তা বাস্তবায়ন করতে কোরঅান-সুন্নাহর আলোকে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই বরং যার যেটা ভালো লাগবে সে সে অনুযায়ী আমল করতে পারবে বা ফায়সালা করতে পারবে।সুতরাং এক্ষেত্রে আইনপ্রনেতা ও বিচারকগণ সম্পূর্ণ স্বাধীন, স্থান-কাল বিবেচনা করে তারা যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন।(তাফসীরে মা'রিফুল কোরআন (উর্দু ভার্সন)-২/৪৫১)

বিচার ও বিচারক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 623

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বাংলাদেশে মুসলমানরা আজ কেমন আছে? সেটা ব্যখ্যা করে বলার কোনো প্রয়োজন নাই।বিদেশীদের চাপে এবং দেশীয় দালালদের কুটচক্রে ইসলাম ও মুসলমানদের অবস্থায় আজ সুচনীয়।
এখন মুসলমানরা যদি সরকারী সকল ডিপার্টমেন্ট বিশেষকরে বিচার ব্যবস্থা থেকে নিজেকে হটিয়ে নেয়,তাহলে অবস্থা আরও বেগতিক হবে।তাই ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার্থে আমাদেরকে বাধ্য হয়ে বলতেই হচ্ছে,প্রচলিত বিচার ব্যবস্থায়ও মুসলমানদেরকে এ ডিপার্টমেন্টে এগিয়ে যাওয়া-ই উচিৎ।যাতেকরে ভবিষ্যতে একটি কুরআনি আইন দেশে প্রতিস্থাপন করা যায়।
সে হিসেবে আমরা বলব,
প্রচলিত বিচার ব্যবস্থায় মুসলমান বিশেষ করে দ্বীনদার শ্রেণীর লোকজনকে এগিয়ে আসা সময়ের বিশেষ দায়িত্ব ও কর্তব্য।তবে যথা সম্ভব কুরআন হাদীস বিরোধী আইন বাস্তবায়ন থেকে নিজেকে অনেক অনেক দূরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।এবং পাশাপাশি কুরআন সুন্নাহর আইন বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করতে হবে।তবে এচেষ্টা একা বিচারক বা উকিলের নয়,বরং সমস্ত মুসলমানের। সমস্ত মুসলমানের উপর এমন আন্দেলন ফরযে কেফায়ার অন্তর্ভুক্ত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
+1
সংযোজন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...