ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
এতে পবিত্রতা অর্জন হয়।
এতে আপনার গুনাহ হবেনা।
(০২)
কোনো অসুস্থ ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য শর্ত হলো,
شرط ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب الوقت كله-
শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০)
কোনো ব্যাক্তি মা'যুর প্রমানিত হয়ে যাওয়ার পর পরবর্তী ওয়াক্ত গুলোতে পুরো সময় উক্ত ওযর পাওয়া জরুরি নয়,বরং পরবর্তী প্রতি ওয়াক্তে এক বারও যদি উক্ত ওযর পাওয়া যায়,তাহলে সে মা'যুরই থাকবে।
,
সুতরাং যদি কোনো একটি নামাযের শুরু থেকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত তথা সম্পূর্ণ ওয়াক্ত আপনার এমনভাবে অতিবাহিত হয় যে,উক্ত সমস্যা বন্ধ না হয়,বরং চলতেই থাকে,এই উযরের কারণে অল্প সময়ে ছোট ছুরা দিয়ে হলেও ফরয নামায পড়া আপনার জন্য কোনোভাবেই সম্ভবপর না হয়,তাহলে আপনি মা'যুর।
আপনি প্রতি ওয়াক্তের জন্য অযু করবেন,এই অযু দিয়ে উক্ত ওয়াক্তের মধ্যে যত ইচ্ছা নামাজ আদায় করতে পারবেন।
(যদি অন্য কোনো অযু ভঙ্গকারী কিছু না পাওয়া যায়।)
,
পরবর্তী ওয়াক্তে আবার অযু করবেন
,
আর যদি আপনার ওযরটি এমন না হয়,তাহলে আপনি শরয়ী ভাবে মা'যুর প্রমাণিত হবেন না।
বিস্তারিত জানুনঃ
,
মা'যুরের বিধান ইস্তেহাজা ওয়ালা মহিলার ন্যায়।
আবু দাউদ শরীফের ১৮০ নং হাদীসে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَخْلَدٍ الطَّالْقَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ مَغْرَاءَ - حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، أَخْبَرَنَا أَصْحَابٌ، لَنَا عَنْ عُرْوَةَ الْمُزَنِيِّ، عَنْ عَائِشَةَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ لِرَجُلٍ احْكِ عَنِّي أَنَّ هَذَيْنِ - يَعْنِي حَدِيثَ الأَعْمَشِ هَذَا عَنْ حَبِيبٍ وَحَدِيثَهُ بِهَذَا الإِسْنَادِ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ أَنَّهَا تَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ
উরওয়াহ আল-মুযানী ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইয়াহ্ইয়াহ্ ইবনু সাঈদ আল-কাত্তান এক ব্যক্তিকে এ মর্মে আদেশ দেন, আমার সূত্রে ঐ হাদীস দু’টি বর্ণনা কর। অর্থাৎ আ‘মাশের হাদীস এবং একই সানাদে ইস্তিহাযা রোগিনী’’ সম্পর্কে বর্ণিত তার ঐ হাদীস যাতে রয়েছে, ‘ইস্তিহাযা রোগিনী প্রত্যেক সলাতের জন্যই অযু করবে।’
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি মা'যুর বলে গন্য হবেননা।
আপনি যেহেতু নামাজের পুরো ওয়াক্তের কোনো সময়ে ঠিক ভাবে নামাজ পড়তে পারছেন,আর আপনার স্রাব যেহেতু সব সময় বাহিরের দিকে আসেনা,ভিতরেই থাকে,সার্বিক দিক৷ বিবেচনা করে বলা যায় যে আপনি মা'যুর হবেননা।
★তবে কোনো নামাজের পুরো ওয়াক্ত জুড়েই যদি আপনার স্রাব বাহিরের দিকে আসতেই থাকে,পবিত্র হয়ে ছোট সূরা দিয়ে হলেও নামাজ আদায় সম্ভব না হয়,সেক্ষেত্রে আপনি মা'যুর বলে বিবেচিত হবেন।
(০৩)
না,প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি মা'যুর হবেননা।
আপনি যেহেতু নামাজের পুরো ওয়াক্তের কোনো সময়ে ঠিক ভাবে নামাজ পড়তে পারছেন,আর আপনার স্রাব যেহেতু সব সময় বাহিরের দিকে আসেনা,ভিতরেই থাকে,সার্বিক দিক৷ বিবেচনা করে বলা যায় যে আপনি মা'যুর হবেননা।
তবে কোনো নামাজের পুরো ওয়াক্ত জুড়েই যদি আপনার স্রাব বাহিরের দিকে আসতেই থাকে,পবিত্র হয়ে ছোট সূরা দিয়ে হলেও নামাজ আদায় সম্ভব না হয়,সেক্ষেত্রে আপনি মা'যুর বলে বিবেচিত হবেন।
(০৪)
এক্ষেত্রে অযু ভেঙ্গে যাবেনা।
তবে কাপড়ে নাপাকি লেগে থাকার দরুন দেখতে হবে যে এটি এক দিরহাম চেয়ে কম কিনা?
যদি এক দিরহাম চেয়ে কম হয়,তাহলে উক্ত নামাজ হয়ে যাবে।
আর যদি এক দিরহাম সমপরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি হয়,তাহলে নামাজে যেহেতু কাপড় থাকা শর্ত,তাই নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
(০৫)
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে "অবশ্য ৪রাকাত পড়ার পরেও কাপড়ে আর স্রাব লাগেনি,তবে ভিতরে আছে বুঝতে পারছিলাম""
সুতরাং আপনার উক্ত চার রাকাত নামাজ আদায় হয়ে গিয়েছে।
এতে আপনি নামাজের আগে পবিত্র হয়েছিলেন বলে গন্য করা হবে।
(০৬)
আপনি যেহেতু নামাজের পুরো ওয়াক্তের কোনো সময়ে ঠিক ভাবে নামাজ পড়তে পারছেন,আর আপনার স্রাব যেহেতু সব সময় বাহিরের দিকে আসেনা,ভিতরেই থাকে,সার্বিক দিক৷ বিবেচনা করে বলা যায় যে আপনি মা'যুর হবেননা।
তবে কোনো নামাজের পুরো ওয়াক্ত জুড়েই যদি আপনার স্রাব বাহিরের দিকে আসতেই থাকে,পবিত্র হয়ে ছোট সূরা দিয়ে হলেও নামাজ আদায় সম্ভব না হয়,সেক্ষেত্রে আপনি মা'যুর বলে বিবেচিত হবেন।
(০৭)
আপনি ভিতর থেকে বের করবেননা।
এমনিতেই যদি বাহিরে আসে,তাহলে সেই স্থান পাক করবেন,আর অযু ভেঙ্গে গিয়েছে বলে ধরবেন।
প্রত্যেক নামাজের পর চেক করবেন যে স্রাব বাহিরের দিকে বের হয়েছে কিনা,বের হলে কাপড় ও উক্ত স্থান পাক করে পুনরায় নামাজ আদায় করবেন।
আর বের না হলে তো কোনো সমস্যাই নেই।
আর মা'যুর হওয়ার শর্ত পাওয়া গেলে আপনি এভাবেই নামাজ আদায় করতে পারবেন।
চেক করতে হবেনা।
(০৮)
ঐ কাপড়ে নামাজ হয়ে যাবে।
তবে নামাজের মধ্যে বের হলে অযু ভেঙ্গে যাওয়ার দরুন নামাজ হবেনা।
কেননা অযু ছাড়া নামাজ হয়না।