আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
285 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম
১. বিশ লক্ষ নেকীর দুয়াটা কি সহীহ সনদে এসেছে অথবা কোন হাদীসের কিতাবে দুর্বল বর্ণনা এসেছে?
২. বেগানা নারীর থেকে একবার দৃষ্টি হেফাজত করলে বহু বছর তাহাজ্জুদের সওয়াব পাওয়া যায় এরকম কোন হাদীস আছে?

1 Answer

0 votes
by (598,260 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
লক্ষ লক্ষ নেকী সম্পর্কে যে হাদীস সমূহ বর্ণিত রেয়েছে, সে সব হাদীসের অধিকাংশকে সনদ হিসেবে উলামায়ে কেরাম যঈফ(দুর্বল) বলেছেন।
হযরত তামীম দারী রাযি থেকে বর্ণিত,
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ الخَلِيلِ بْنِ مُرَّةَ، ﻋَﻦِ ﺍﻟْﺄَﺯْﻫَﺮِ ﺑْﻦِ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠﻪِ ، ﻋَﻦْ ﺗَﻤِﻴﻢٍ ﺍﻟﺪَّﺍﺭِﻱِّ، ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﻣَﻦْ ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺷْﻬَﺪُ ﺃَﻥْ ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻟَﺎ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ ، ﺇِﻟَﻬًﺎ ﻭَﺍﺣِﺪًﺍ ﺃَﺣَﺪًﺍ ﺻَﻤَﺪًﺍ، ﻟَﻢْ ﻳَﺘَّﺨِﺬْ ﺻَﺎﺣِﺒَﺔً ﻭَﻟَﺎ ﻭَﻟَﺪًﺍ، ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﻜُﻦْ ﻟَﻪُ ﻛُﻔُﻮًﺍ ﺃَﺣَﺪٌ، ﻋَﺸْﺮَ ﻣَﺮَّﺍﺕٍ ﻛَﺘَﺐَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﻪُ ﺃَﺭْﺑَﻌِﻴﻦَ ﺃَﻟْﻒَ ﺃَﻟْﻒِ ﺣَﺴَﻨَﺔٍ ) ." ﻫَﺬَﺍ ﺣَﺪِﻳﺚٌ ﻏَﺮِﻳﺐٌ ، ﻻَ ﻧَﻌْﺮِﻓُﻪُ ﺇِﻻَّ ﻣِﻦْ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻟﻮَﺟْﻪِ ، ﻭَﺍﻟﺨَﻠِﻴﻞُ ﺑْﻦُ ﻣُﺮَّﺓَ ﻟَﻴْﺲَ ﺑِﺎﻟﻘَﻮِﻱِّ ﻋِﻨْﺪَ ﺃَﺻْﺤَﺎﺏِ ﺍﻟﺤَﺪِﻳﺚِ ،
ﻗَﺎﻝَ ﻣُﺤَﻤَّﺪُ ﺑْﻦُ ﺇِﺳْﻤَﺎﻋِﻴﻞَ : ﻫُﻮَ ﻣُﻨْﻜَﺮُ ﺍﻟﺤَﺪِﻳﺚِ ."
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, যে ব্যক্তি দশ বার নিম্নোক্ত দু'আ পড়বে, " আশহাদু আন-লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু,ইলাহান ওয়াহিদা,আহাদান,সামাদান,লাম ইয়াত্তাখিয সাহিবাতান ওয়ালা ওয়ালাদা,ওয়া লাম ইয়াকুন লাহু কুফুওয়ান আহাদা" অাল্লাহ তার জন্য চার কোটি নেকী লিখে রাখবেন।
ইমাম তিরমিযি রাহ বলেন, এটা সনদের দিক দিয়ে গারীব পর্যায়ের একটা হাদীস।তিনি বলেন, উপরোক্ত সনদ ব্যতীত অন্য কোনো সনদে এই হাদীস আমি পাইনি।এবং খলিল ইবনে মুররাহ মুহাদ্দিসগণের নিকট তত শক্তিশালী নয়।ইমাম বোখারী রাহ বলেন, খলিল ইবনে মুররাহ মুকারুল হাদীস রাবীদের অন্তর্ভুক্ত। (সুনানে তিরমিযি-৩৪৭৩,
মসনদে আহমদ-১৬৯৫২,তাবারানি-১২৭৮)
অন্য এক বর্ণনায় উপরোক্ত দু'আ পড়লে বিশ লাখ নেকির কথা বর্ণিত রয়েছে।(তারিখে ইবনে আসাকির-৩৮/২৯৯)
যঈফ হওয়ার জানতে ভিজিট করুন- 984


(২)
দৃষ্টি হেফাজত করা সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেছন,
قُلْ لِّلْمُؤْمِنِیْنَ یَغُضُّوْا مِنْ اَبْصَارِهِمْ وَ یَحْفَظُوْا فُرُوْجَهُم ذٰلِكَ اَزْكٰی لَهُمْ  اِنَّ الله خَبِیْرٌۢ بِمَا یَصْنَعُوْنَ .
মুমিন পুরুষদের বলে দিন, তারা যেন দৃষ্টি অবনত রাখে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। এটাই তাদের জন্য উৎকৃষ্ট পন্থা। তারা যা কিছু করে আল্লাহ সে সম্পর্কে পরিপূর্ণ অবগত।(সূরা নূর-৩০)

নারীদের ব্যাপারে বলেছেন,
وَ قُلْ لِّلْمُؤْمِنٰتِ یَغْضُضْنَ مِنْ اَبْصَارِهِنَّ وَ یَحْفَظْنَ فُرُوْجَهُنَّ وَ لَا یُبْدِیْنَ زِیْنَتَهُنَّ .
এবং মুমিন নারীদের বলে দিন, তারা যেন দৃষ্টি অবনত রাখে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করে এবং নিজেদের ভূষণ প্রকাশ না করে।(সূরা নূর-৩১)

তবে আপনার বর্ণিত এমন কোনো হাদীস বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...