আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (38 points)
১)আল্লাহর নাম আলিফ দিয়ে শুরু হয়

এজন্য আলিফ কে বেশি সম্মান করার কোন দরকার আছে??

২)কুরআন পরার সময় আল্লাহর নাম আসলে কি সেই নাম বেশি সম্মানের সাথে পরতে হবে??

নাকি অন্য শব্দের মত করেই পরে যাব?

৩)একজন তার স্ত্রী কে সবচেয়ে বেশি ভালো বাসে।

আল্লাহর চেয়েও বেশি।

এখন সে আল্লাহ কে বেশি ভালোবাসতে চায়।যাতে শিরক না হয়।
এখন যদি সে স্ত্রীকে তালাক না দেয়,আগের মতই ভালোবাসে কিন্তু আল্লাহ কে আরও বেশি ভালোবাসার চেষ্টা করে তবে কি সে মুশরিক হিসেবে গন্য হবে???

৪)ধরুন পরিক্ষায় দেখাদেখি করে লিখলাম।
জানতাম যে কবিরা গুনাহ, তাও পাশ করার জন্য দেখাদেখি করলাম



এখন তাওবা করতে চাচ্ছি

আর কোন দিন করব না এমন প্রতিজ্ঞা করেছি।।
ক্ষমা চেয়েছি

কিন্তু দেখাদেখি করে পরিক্ষা দেওয়ার পর ভালো ফলাফল দেখে আক্ষেপ বা আফসোস আসছে না মনে।
এখন যদি আমি আফসোস করি, ইস যদি আগেই ভালো করে পরাশুনা করতাম,তবে ভালো ফলাফল করতে নকল করতে হত না।

এই আফসোস কি অনুতাপ হিসেবে গন্য হবে??
তাওবা কবুল এর শর্ত কি পুরন হয়েছে??

৫)সেদিন বাংলাদেশের খেলা দেখতে দেখতে এমন একটা অবস্থা হয় যে, আসরের আর ১০ মিনিট বাকি।

আর খেলার শেষ ২ ওভার বাকি।

তখন আমি নামাজ কাজা করে খেলা দেখি।

যখনই এমন অবস্থা হয়, আমি তখনই নামায কাযা করে খেলা দেখি

ভবিষ্যতেও যদি এমন করার ইচ্ছা রাখি তবে কি কুফরি হবে??

৬)আমি সাধারণত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আগে কাজ করি
তারপর ক্রমান্বয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
ইসলামের ক্ষেত্রেও যদি এমন করি মানে আগে আল্লাহর ব্যাপারে আকিদা ক্লিয়ার করি,তারপর ক্রমান্বয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আকিদা ঠিক করি তবে কি শিরক বা কুফরি হবে??

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


(০১)
এ জন্য আলিফ হরফকে বেশি সম্মান করার কোন দরকার নেই।

(০২)
বেশি সম্মানের সাথে পড়া আবশ্যক নয়।
তবে বেশি সম্মানের সাথে কেউ পড়তে চাইলে সমস্যা নেই।

(০৩)
https://ifatwa.info/16411/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
সুরা বাকারার ১৬৫ নং আয়াতে যাকে ইবাদত করা হয় (উদাহরণ স্বরুপ মূর্তি) উদ্দেশ্য।
কোনো প্রেমিক প্রেমিকা এখানে উদ্দেশ্য নয়।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

وَ مِنَ النَّاسِ مَنۡ یَّتَّخِذُ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ اَنۡدَادًا یُّحِبُّوۡنَہُمۡ کَحُبِّ اللّٰہِ ؕ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَشَدُّ حُبًّا لِّلّٰہِ ؕوَ لَوۡ یَرَی الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡۤا اِذۡ یَرَوۡنَ الۡعَذَابَ ۙ اَنَّ الۡقُوَّۃَ لِلّٰہِ جَمِیۡعًا ۙ وَّ اَنَّ اللّٰہَ شَدِیۡدُ الۡعَذَابِ ﴿۱۶۵﴾

আর মানুষের মধ্যে এমনও আছে যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যকে আল্লাহর সমকক্ষরূপে গ্রহণ করে, তারা তাদেরকে ভালবাসে আল্লাহ্র ভালবাসার মতই পক্ষান্তরে যারা ঈমান এনেছে তারা আল্লাহকে সর্বাধিক ভালবাসে । আর যারা যুলুম করেছে যদি তারা আযাব দেখতে পেত, (তবে তারা নিশ্চিত হত যে,) সমস্ত শক্তি আল্লাহরই। আর নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি দানে কঠোর।

অর্থাৎ কাফেররা আল্লাহকে যেমন ভালবাসে তাদের (মিথ্যা) মা’বুদদেরও তেমন ভালবাসে। এ থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, আল্লাহ তা'আলার ভালবাসা কাফেরদের মনেও ছিল, কিন্তু তা ছিল শির্কযুক্ত। একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর জন্য নয়।
,
★সুতরাং বুঝা গেলো যে অবৈধ প্রেম হারাম হলেও তাহা শিরক নয়। 
,
তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মত হলোঃ   
হারাম-প্রেম অনেক সময় বান্দাহকে শিরকের নিকটবর্তী করে দেয়। কারণ অনেক সময় তারা একে অপরকে এতটাই ভালবাসা শুরু করে দেয় যে প্রকার ভালবাসা পাওয়ার দাবীদার একমাত্র আল্লাহ। 
,
সুতরাং এটি যেহেতু বান্দাহকে শিরকের নিকটবর্তী করে দেয়,তাই যেকোনো ভাবেই হোক,দ্রুত এর থেকে হেফাজত থাকতে হবে। 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এখন যদি সে স্ত্রীকে তালাক না দেয়,আগের মতই ভালোবাসে কিন্তু আল্লাহ কে আরও বেশি ভালোবাসার চেষ্টা করে, তবে সে মুশরিক হিসেবে গন্য হবেনা।
এতে কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৪)
এই আফসোস অনুতাপ হিসেবে গন্য হবেনা।
এক্ষেত্রে তাওবা কবুল এর শর্ত পুরন হয়নি।

তওবা করার সময় এই গুনাহের প্রতি আল্লাহর কাছে লজ্জিত অনুতপ্ত স্বরে মাফ চাইতে হবে।

(০৫)
এতে কুফরি হবেনা।
তবে মারাত্মক গুনাহ হবে।

খেলা দেখার অভ্যাস দ্রুত ত্যাগ করতে হবে।
আল্লাহ তায়ালা আপনার সহায় হোন।

(০৬)
এতে শিরক বা কুফরি হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...