আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
813 views
in সালাত(Prayer) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমি বুঝাতে চেয়েছিলাম- ১ ণং প্রশ্নে- ফজরের ওয়াক্ত শুরুর মিনিটে বিতির ওয়াক্ত পড়া শেষ হয়েছিলো। অর্থাৎ মাঝে যে ৩ /৪ মিনিট হাতে রেখে সুবহে সাদিক শেষ ধরা হয়, সেটাও অতিক্রম করে এপসে দেখানো ফজরের ওয়াক্ত শুরুর মিনিটে নামাজ শেষ হয়েছিলো। এই বিতির কি কাযা হিসেবে আদায় হয়ে যাবে? নাকি পুনরায় কাযার নিয়তে বিতিরটা আবার আদায় করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
শরয়ী কোনো উযরে নামায কাযা হয়ে যাওয়া।যেমন, ভূলে বা সঠিক সময়ে নামায পড়ার আখাঙ্কা থাকার পরও ঘুমের কারণে নামায কাযা হয়ে যাওয়া।এমতাবস্থায় সর্বসম্মতিক্রমে ঐ ব্যক্তির উপর স্বরণ হওয়া মাত্রই কাযা পড়া ওয়াজিব।
এর প্রমাণ হল নিম্নোক্ত হাদীস- ফজরের নামাযের সময়ে রাসূলুল্লাহ সাঃ সহ সাহাবায়ে কেরাম রাযি এর ঘুমের কিচ্ছা সম্ভলিত বর্ণনা। যখন সাহাবায়ে কেরাম ঘুম থেকে উঠার পর পরস্পর কানে কানে বলেছিলেন-
ٍ" ﻣَﺎ ﻛَﻔَّﺎﺭَﺓُ ﻣَﺎ ﺻَﻨَﻌْﻨَﺎ ﺑِﺘَﻔْﺮِﻳﻄِﻨَﺎ ﻓِﻲ ﺻَﻼﺗِﻨَﺎ " ﻓﻘَﺎﻝَ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ : " ﺃَﻣَﺎ ﺇِﻧَّﻪُ ﻟَﻴْﺲَ ﻓِﻲ ﺍﻟﻨَّﻮْﻡِ ﺗَﻔْﺮِﻳﻂٌ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟﺘَّﻔْﺮِﻳﻂُ ﻋَﻠَﻰ ﻣَﻦْ ﻟَﻢْ ﻳُﺼَﻞِّ ﺍﻟﺼَّﻼﺓَ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﺠِﻲﺀَ ﻭَﻗْﺖُ ﺍﻟﺼَّﻼﺓِ ﺍﻷُﺧْﺮَﻯ ﻓَﻤَﻦْ ﻓَﻌَﻞَ ﺫَﻟِﻚَ ﻓَﻠْﻴُﺼَﻠِّﻬَﺎ ﺣِﻴﻦَ ﻳَﻨْﺘَﺒِﻪُ ﻟَﻬَﺎ ."
আমরা আমাদের নামায সম্পর্কে যে সীমালঙ্ঘন করেছি,সম্ভবত সেটা কোনো কাফফারা হবে না।তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, ঘুমের মধ্যে কোনো সীমালঙ্ঘন নেই।সীমালঙ্ঘন তো হল সেই ব্যক্তির ব্যাপারে যে নামায পড়ল না অথচ আরেকটি নামাযের ওয়াক্ত তার সামনে চলে আসল।সুতরাং যে ব্যক্তি নামাযের সময়ে ঘুমিয়ে থাকবে, যখনই সে জাগ্রত হবে তখনই যেন সে নামাযকে পড়ে নেয়।(সহীহ মুসলিম-৬৮১)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-  968

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বিতির আদায় হয়ে গেছে।আর কাযা পড়ার কোনো প্রয়োজন নাই।কেননা যদিও ফজরের ওয়াক্ত শুরু হয়ে গেছে, তবে আপনার যিম্মায় যদি বিতির নামায থাকে,তাহলে আপনার প্রতি শরীয়তের হুকুম হল,আপনি প্রথমে বিতিরকে কাযা পড়বেন,তারপর ফজরের সুন্নতকে পড়বেন।যেহেতু আপনি ফজরের পূর্বেই বিতির পড়া শুরু করে দিয়েছিলেন,তারপর বিতির শেষ করতে না করতে ফজর শুরু হয়ে গেছে,তাই আপনার বিতিরের নামায আদায় হয়ে গিয়েছে।দ্বিতয়বার আবার আপনাকে বিতির পড়তে হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...