বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
শরয়ী কোনো উযরে নামায কাযা হয়ে যাওয়া।যেমন, ভূলে বা সঠিক সময়ে নামায পড়ার আখাঙ্কা থাকার পরও ঘুমের কারণে নামায কাযা হয়ে যাওয়া।এমতাবস্থায় সর্বসম্মতিক্রমে ঐ ব্যক্তির উপর স্বরণ হওয়া মাত্রই কাযা পড়া ওয়াজিব।
এর প্রমাণ হল নিম্নোক্ত হাদীস- ফজরের নামাযের সময়ে রাসূলুল্লাহ সাঃ সহ সাহাবায়ে কেরাম রাযি এর ঘুমের কিচ্ছা সম্ভলিত বর্ণনা। যখন সাহাবায়ে কেরাম ঘুম থেকে উঠার পর পরস্পর কানে কানে বলেছিলেন-
ٍ" ﻣَﺎ ﻛَﻔَّﺎﺭَﺓُ ﻣَﺎ ﺻَﻨَﻌْﻨَﺎ ﺑِﺘَﻔْﺮِﻳﻄِﻨَﺎ ﻓِﻲ ﺻَﻼﺗِﻨَﺎ " ﻓﻘَﺎﻝَ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ : " ﺃَﻣَﺎ ﺇِﻧَّﻪُ ﻟَﻴْﺲَ ﻓِﻲ ﺍﻟﻨَّﻮْﻡِ ﺗَﻔْﺮِﻳﻂٌ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟﺘَّﻔْﺮِﻳﻂُ ﻋَﻠَﻰ ﻣَﻦْ ﻟَﻢْ ﻳُﺼَﻞِّ ﺍﻟﺼَّﻼﺓَ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﺠِﻲﺀَ ﻭَﻗْﺖُ ﺍﻟﺼَّﻼﺓِ ﺍﻷُﺧْﺮَﻯ ﻓَﻤَﻦْ ﻓَﻌَﻞَ ﺫَﻟِﻚَ ﻓَﻠْﻴُﺼَﻠِّﻬَﺎ ﺣِﻴﻦَ ﻳَﻨْﺘَﺒِﻪُ ﻟَﻬَﺎ ."
আমরা আমাদের নামায সম্পর্কে যে সীমালঙ্ঘন করেছি,সম্ভবত সেটা কোনো কাফফারা হবে না।তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, ঘুমের মধ্যে কোনো সীমালঙ্ঘন নেই।সীমালঙ্ঘন তো হল সেই ব্যক্তির ব্যাপারে যে নামায পড়ল না অথচ আরেকটি নামাযের ওয়াক্ত তার সামনে চলে আসল।সুতরাং যে ব্যক্তি নামাযের সময়ে ঘুমিয়ে থাকবে, যখনই সে জাগ্রত হবে তখনই যেন সে নামাযকে পড়ে নেয়।(সহীহ মুসলিম-৬৮১)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
968
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বিতির আদায় হয়ে গেছে।আর কাযা পড়ার কোনো প্রয়োজন নাই।কেননা যদিও ফজরের ওয়াক্ত শুরু হয়ে গেছে, তবে আপনার যিম্মায় যদি বিতির নামায থাকে,তাহলে আপনার প্রতি শরীয়তের হুকুম হল,আপনি প্রথমে বিতিরকে কাযা পড়বেন,তারপর ফজরের সুন্নতকে পড়বেন।যেহেতু আপনি ফজরের পূর্বেই বিতির পড়া শুরু করে দিয়েছিলেন,তারপর বিতির শেষ করতে না করতে ফজর শুরু হয়ে গেছে,তাই আপনার বিতিরের নামায আদায় হয়ে গিয়েছে।দ্বিতয়বার আবার আপনাকে বিতির পড়তে হবে না।