আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
131 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (72 points)
আসসালামু আ'লাইকুম
হুজুর কেনায়া বাক্য সম্পর্কে জানার পর থেকে খুবই দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছি
স্বামীকে জিগ্যেস করলে সে সবসময় বলে তার কখনো কোন নিয়ত ছিল না
কিন্তু আমি বিভিন্ন সময় বিচ্ছেদ বা ছেড়ে দেয়ার কথা বলতাম তার প্রতিউত্তরে সে কি বলেছিল আমার মনে নেই তাকে জিগ্যেস করলে সে বলে সে কখনো আমাকে নিয়ত নিয়ে কোন প্রতিউত্তর দেয়নি
কিন্তু হুজুর আমি বিচ্ছেদ বা ছেড়ে দেয়ার কথা যখন বলতাম তখন দুইজনের কথাকে তালাকের মজলিস হিসেবে গণ্য করা হবে। স্বামী নিয়ত ছাড়া কেনায়া বাক্য বললেও **** পতিত হবে(এমনটা পড়ে জেনেছি)
কিন্তু হুজুর কোন কথায় স্পষ্ট মনে নেই শুধু মনে আছে তাকে আমি এমন কথা বলতাম

হুজুর এমতাবস্থায় আমাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে?

দয়া করে উত্তর দিয়ে সাহায্য করবেন

1 Answer

0 votes
by (576,150 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ

‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ১০২৫৪]
,
তালাকের পর স্বামী তালাকের কথা অস্বীকার করলে, আদালতে স্বামীর কথাই গ্রহণযোগ্য হবে। সে হিসেবে বিয়ে বহাল থাকবে।
তালাকের ফায়সালা দেয়া হবেনা।

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি স্বামীর কথাই মেনে নিন।
এক্ষেত্রে তালাক হবেনা।
আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্কে সমস্যা নেই। 

আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে।
স্বামীকে এ ধরনের আর প্রশ্ন না করার পরামর্শ রইলো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...