জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান মতে এক্ষেত্রে শরীরে/কাপড়ে নাপাকি লাগলে যদি উক্ত নাপাকির পরিমান এক দিরহাম পরিমাণ হয়, তাহলে উক্ত কাপড়সহ নামায পড়া জায়েজ নয়। কিন্তু যদি এক দিরহাম থেকে কম হয়, তাহলে উক্ত কাপড়সহ নামায পড়া জায়েজ আছে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عن أبي هريرة رضي الله عنه عن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال : تعاد الصلاة من قدر الدرهم من الدم (سنن الدر قطنى، كتاب الصلاة، باب قدر النجاسة التي تبطل الصلاة، رقم الحديث-1)
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-এক দিরহাম পরিণাম রক্তের দরুন নামাযকে পুনরায় আদায় কর। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৩৮৯৬, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-১০৭৮৩, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাকী, হাদীস নং-১৩২৩, আল জামেউল কাবীর, হাদীস নং-২৩৮}
আরো জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার জন্য সব চেয়ে সহজ হবে প্রস্রাব ও পায়খানা শেষে পানি খরচ করার আগেই কমডের সাদা অংশ ও পেশাব লাগা পুরো এলাকার উপর আস্তে-ধীরে পানি প্রবাহিত করে পুরো এলাকা ধুয়ে নিবেন।
এরপর আপনি নিজ শরীরে নাপাকি লেগে থাকা স্থান কিছুটা ঝুকে আস্তে-ধীরে ধুয়ে নিবেন।
এক্ষেত্রে নাপাকির ছিটা আসলেও সেটি সমস্যা হবেনা।
কেননা সেটি এক দিরহাম চেয়ে নিতান্তই কম হবে।
আর পায়খানা করার পর শরীর পাক করার সময় ছিটা আসা পানিতে পায়খানার চিন্হ না দেখা গেলে কোনো সমস্যাই নেই।
এটিকে নাপাক বলা হবেনা।
(০২)
এটিকে নাপাক হিসেবে সন্দেহ না করে পাক হিসেবেই ধরবেন।
হ্যাঁ যদি সেই ভেজা অংশ হতে নাপাকির গন্ধ বা কোনো চিন্হ পাওয়া যায়,সেক্ষেত্রে সেটিকে নাপাক ধরবেন।
সেক্ষেত্রে এক দিরহাম চেয়ে কম লাগলে সেই গেঞ্জি পরিহিত অবস্থায় নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।
আর এক দিরহাম সমপরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি লাগলে নামাজ হবেনা।
(০৩)
এতে কোনো সমস্যা হবেনা।
কোনো গুনাহ হবেনা।