আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
159 views
in পবিত্রতা (Purity) by (4 points)
প্রিয় শায়েখ,

আসসালামু  আলাইকুম। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমি একজন ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তি। ওয়াসওয়াসায় আমার জিবন অতিষ্ঠ। আমার কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আমাকে সাহায্যে করেন।
১/ আমি প্রস্রাব ও পায়খানা শেষে পানি খরচ করার সময় কমডের সাদা অংশ থেকে পানি ছিটে কাপড়ে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আসে। যতবার প্রস্রাব ও পায়খানা শেষে পানি খরচ করি ততবারই কমডের সাদা অংশ থেকে পানি ছিটে আসে। কিছুতেই এর থেকে বাচতে পারি নাহ। আমি অনেক সতর্কতার সাথে ও আস্তে আস্তে পানি খরচ করি,তবুও এমন হয়। এখন আমার করনীয় কি, বার বার তো শরীর ও কাপড়  ধৌত করা সম্ভব নয়।
২/ আজকে আমি আমার গেন্জি পড়ার সময় গেন্জির একটু অংশ ভিজা দেখতে পাই। কিন্তু এটা কি ভাবে ভেজলো তা আমি জানি নাহ। এখন এই গেন্জি পড়ে নামাজ হবে কি।
(মাঝে মাঝেই অনেক কপড়ে সামান্য সামান্য পানি দেখতে পাই,, বাট জানি না শুকনো কাপড়ে এই পানি কোথা থেকে আসে। এই সব নিয়ে সন্দেহে থাকি যে এই পানি কোথা থেকে এলো। আবার ভাবি এটা প্রস্রাব নাতো। সাথে সাথেই আবার ভাবি এখানে প্রস্রাব আসবে কোথা থেকে। এইসব নিয়ে পাগল হয়ে যাচ্ছি)
৩/ আমি সরাসরি কুরআন দেখে পড়লে দেরি হয় কিন্তু মোবাইলে পড়লে তাড়াতাড়ি পড়তে পারি। তাই সরাসরি কুরআন দেখে কম পড়ি বাট মোবাইলে বেশি পড়ি। এতে কি কোনো সমস্যা হবে বা গোনাহ হবে।

1 Answer

0 votes
by (559,410 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান মতে এক্ষেত্রে শরীরে/কাপড়ে নাপাকি লাগলে যদি উক্ত নাপাকির পরিমান এক দিরহাম পরিমাণ হয়, তাহলে উক্ত কাপড়সহ নামায পড়া জায়েজ নয়। কিন্তু যদি এক দিরহাম থেকে কম হয়, তাহলে উক্ত কাপড়সহ নামায পড়া জায়েজ আছে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عن أبي هريرة رضي الله عنه  عن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال : تعاد الصلاة من قدر الدرهم من الدم (سنن الدر قطنى، كتاب الصلاة، باب قدر النجاسة التي تبطل الصلاة، رقم الحديث-1)

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-এক দিরহাম পরিণাম রক্তের দরুন নামাযকে পুনরায় আদায় কর। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৩৮৯৬, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-১০৭৮৩, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাকী, হাদীস নং-১৩২৩, আল জামেউল কাবীর, হাদীস নং-২৩৮}

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার জন্য সব চেয়ে সহজ হবে প্রস্রাব ও পায়খানা শেষে পানি খরচ করার আগেই  কমডের সাদা অংশ ও পেশাব লাগা পুরো এলাকার উপর আস্তে-ধীরে পানি প্রবাহিত করে পুরো এলাকা ধুয়ে নিবেন।

এরপর আপনি নিজ শরীরে নাপাকি লেগে থাকা স্থান কিছুটা ঝুকে আস্তে-ধীরে ধুয়ে নিবেন।

এক্ষেত্রে নাপাকির ছিটা আসলেও সেটি সমস্যা হবেনা। 
কেননা সেটি এক দিরহাম চেয়ে নিতান্তই কম হবে।

আর পায়খানা করার পর শরীর পাক করার সময় ছিটা আসা পানিতে পায়খানার চিন্হ না দেখা গেলে কোনো সমস্যাই নেই।
এটিকে নাপাক বলা হবেনা।


(০২)
এটিকে নাপাক হিসেবে সন্দেহ না করে পাক হিসেবেই ধরবেন।

হ্যাঁ যদি সেই ভেজা অংশ হতে নাপাকির গন্ধ বা কোনো চিন্হ পাওয়া যায়,সেক্ষেত্রে সেটিকে নাপাক ধরবেন। 

সেক্ষেত্রে এক দিরহাম চেয়ে কম লাগলে সেই গেঞ্জি পরিহিত অবস্থায় নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা। 

আর এক দিরহাম সমপরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি লাগলে নামাজ হবেনা।

(০৩)
এতে কোনো সমস্যা হবেনা।
কোনো গুনাহ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 100 views
0 votes
1 answer 193 views
...