শাইখ, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ ওয়া বারকাতুহু।
আমি আল্লহর রহমতে দ্বীনের হিদায়াত পেয়েছি। আমি খুব যুদ্ধ করে পরিপূর্ণ পর্দা করি বাসায়। আমার পরিবার আত্মীয় স্বজন প্রায় সকলেই আমাকে হেয়ো করে। আমার মাকে আমি প্রায় ২/৩ বছর যাবৎ খুব বুঝিয়ে সুঝিয়ে পর্দা করি, তিনি এতদিন আমাকে সাপোর্ট করেছেন। কিন্তু হুট করে তিনি এ ব্যাপারে আমার প্রতি খুব কঠোর হয়ে গেলেন। আমাকে বিয়ে দিতে চান, সেজন্য আমাকে কঠোর পর্দা ত্যাগ করতে প্রেসার দিচ্ছেন। তিনি অসুস্থ। আমাকে বিবাহ দিয়ে দায়মুক্ত, নিশ্চিন্ত হতে চান। তিনি আমার প্রতি যেরকম উত্তেজিত আচরণ করছেন, আমাকে নিয়ে ভয়ংকর দুশ্চিন্তা করছেন, এতে উনার শরীরের উপর খুব প্রভাব পড়ছে। আমার মাকে খুব মহব্বত করি, মায়ের এমন হালত আমার মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। আমি কেদে কেদে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করেছি, আমাকে যেনো অন্তত নামাজী, হালাল ইনকামওয়ালা ছেলের হাতে দেয়, আমাকে যেনো দ্বীন মানতে দেন, পর্দা করতে দেন। এটা শুনেই তিনি খুব আক্রমণাত্মক বিহেভ করছেন, আমার ধৈর্যধারণ করা খুব কষ্টকর হয়ে পড়ছেন। কেদে কেদে খুব বুঝাইসি। বুঝতে চান না। তার কথা নিকাব ছাড়া পর্দা হয়, গুনাহ হয়না। দুনিয়ার অনেক মেয়ে নিকাব ছাড়াও পর্দা করে। আমি যেনো নিকাব ছেড়ে দেই। আত্মীয় নন মাহরামের সামনে যেন মুখ বেধে না থাকি। এই ঘরে থাকা আমার তাক্বওয়ার জন্য খুবই ক্ষতিকর হয়ে পড়ছে। আমি কেদে কেদে না পেরে বলেছি, আমাকে রমজান মাস পর্যন্ত যেনো সময় দেন, আল্লহ তায়ালাই উত্ত্ম ব্যবস্থা করে দিবেন আমার জন্য। মা বলেছে, অন্যথায় কি হবে?, আমি বলে ফেলেছি, এরপর আপনি যেমন দেন।!
▪️এমতাবস্থায় আমার কি করা উচিত? পরিস্থিতি এমন নাজুক হয়ে পড়েছিল, আমার জন্য ট্যাকল দেওয়া কষ্টসাধ্য মনে হচ্ছিল। শাইখ, আমার এমনটা বলা কি উচিত হয়েছে?▪️আমাকে দ্রুত বিয়ের জন্য কিছু আমল দিলে খুব মুনাসিব হবে।
▪আমার পরিবারে এমন পরিস্থিতিতে আমি কিভাবে দ্বীনের উপর অটুট থাকতে পারি, কিভাবে তাক্বওয়া বৃদ্ধি করতে পারি, আমাকে কিছু নাসীহা দিয়েন মিন ফাদ্বলিক।
জাযাকাল্লহ খইর।