আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
167 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
শাইখ, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ ওয়া বারকাতুহু।

 আমি আল্লহর রহমতে দ্বীনের হিদায়াত পেয়েছি। আমি খুব যুদ্ধ করে পরিপূর্ণ পর্দা করি বাসায়। আমার পরিবার আত্মীয় স্বজন প্রায় সকলেই আমাকে হেয়ো করে। আমার মাকে আমি প্রায় ২/৩ বছর যাবৎ খুব বুঝিয়ে সুঝিয়ে পর্দা করি, তিনি এতদিন আমাকে সাপোর্ট করেছেন। কিন্তু হুট করে তিনি এ ব্যাপারে আমার প্রতি খুব কঠোর হয়ে গেলেন। আমাকে বিয়ে দিতে চান, সেজন্য আমাকে কঠোর পর্দা ত্যাগ করতে প্রেসার দিচ্ছেন। তিনি অসুস্থ। আমাকে বিবাহ দিয়ে দায়মুক্ত, নিশ্চিন্ত হতে চান। তিনি আমার প্রতি যেরকম উত্তেজিত আচরণ করছেন, আমাকে নিয়ে ভয়ংকর  দুশ্চিন্তা করছেন, এতে উনার শরীরের উপর খুব প্রভাব পড়ছে। আমার মাকে খুব মহব্বত করি, মায়ের এমন হালত আমার মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। আমি কেদে কেদে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করেছি, আমাকে যেনো অন্তত নামাজী, হালাল ইনকামওয়ালা ছেলের হাতে দেয়, আমাকে যেনো দ্বীন মানতে দেন, পর্দা করতে দেন। এটা শুনেই তিনি খুব আক্রমণাত্মক বিহেভ করছেন, আমার ধৈর্যধারণ করা খুব কষ্টকর হয়ে পড়ছেন। কেদে কেদে খুব বুঝাইসি। বুঝতে চান না। তার কথা নিকাব ছাড়া পর্দা হয়, গুনাহ হয়না। দুনিয়ার অনেক মেয়ে নিকাব ছাড়াও পর্দা করে। আমি যেনো নিকাব ছেড়ে দেই। আত্মীয় নন মাহরামের সামনে যেন মুখ বেধে না থাকি। এই ঘরে থাকা আমার তাক্বওয়ার জন্য খুবই ক্ষতিকর হয়ে পড়ছে। আমি কেদে কেদে না পেরে বলেছি, আমাকে রমজান মাস পর্যন্ত যেনো সময় দেন, আল্লহ তায়ালাই উত্ত্ম ব্যবস্থা করে দিবেন আমার জন্য। মা বলেছে, অন্যথায় কি হবে?, আমি বলে ফেলেছি, এরপর আপনি যেমন দেন।!
▪️এমতাবস্থায় আমার কি করা উচিত?  পরিস্থিতি এমন নাজুক হয়ে পড়েছিল, আমার জন্য ট্যাকল দেওয়া কষ্টসাধ্য মনে হচ্ছিল। শাইখ, আমার এমনটা বলা কি উচিত হয়েছে?▪️আমাকে দ্রুত বিয়ের জন্য কিছু আমল দিলে খুব মুনাসিব হবে।

▪আমার পরিবারে এমন পরিস্থিতিতে আমি কিভাবে দ্বীনের উপর অটুট থাকতে পারি, কিভাবে তাক্বওয়া বৃদ্ধি করতে পারি, আমাকে কিছু নাসীহা দিয়েন মিন ফাদ্বলিক।

জাযাকাল্লহ খইর।

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


গুনাহের কাজে মাতা পিতার আদেশ মানা জায়েজ নেই।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি আপনার মায়ের 
নিকাব ছাড়া পর্দার আদেশ কোনোভাবেই মানবেননা।
তাহাজ্জুদ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়ার পাশাপাশি ধৈর্য ধারন করুন।

হাদীসে বর্ণিত রয়েছে।

ﻟَﺎ ﻃَﺎﻋَﺔَ ﻟِﻤَﺨْﻠُﻮﻕٍ ﻓِﻲ ﻣَﻌْﺼِﻴَﺔِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ

আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(মুসনাদে আহমদ-১০৯৮)

ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহঃ লিখেন,

ويلزم الإنسان طاعة والديه في غير المعصية وإن كانا فاسقين ، وهو ظاهر إطلاق أحمد ، وهذا فيما فيه منفعة لهما ولا ضرر ، فإن شق عليه ولم يضره : وجب ، وإلا فلا

গোনাহের কাজ ব্যতীত মুবাহ তথা বৈধ কাজে
মাতা পিতার আদেশকে মান্য করা ওয়াজিব।যদি তার ফাসিকও হয়।এটা তখন যখন তাতে মাতাপিতার ফায়দা থাকবে,এবং সন্তানের জন্য ক্ষতিকারক হবে না।যদি সন্তানের উপর কষ্টদায়ক হয় তবে ক্ষতিকারক না হয়, তাহলে তখন মাতাপিতার আদেশ মান্য করা ওয়াজিব নয়।(আল-ফাতাওয়াল কুবরা-৫/৩৮১)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★দ্বীনদার পাত্র যে আপনার পূর্ণ পর্দা মেনে নিবে,এমন পাত্রের পক্ষ থেকে বিবাহ আসা মাত্র রাজি হয়ে যাবেন।

★আপনার পরিবার আপনার জন্য দ্বীনদার পাত্রের খোজ দিতে না পারলে প্রয়োজনে আপনি নিজে শরীয়াহ নীতিমালা মেনে দ্বীনদার পাত্রের জন্য নিজেও চেষ্টা করতে পারেন।

দ্বীনদার পাত্রের খোজ পেতে  https://ahlia.org/ এখানে আপনার বায়োডাটা পাঠাতে পারেন।

সুযোগ থাকলে মাহরাম পুরুষ এর মাধ্যমে নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট গুলোতে বায়োডাটা পাঠিয়ে চেষ্টা করতে পারেন।

আল্লাহর কাছে দ্রুত বিবাহের দোয়া করার পাশাপাশি দ্রুত বিবাহের আমল করুন।

এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 

ইনশাআল্লাহ, আপনি কামিয়াব হবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...