আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
160 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)
reopened by
আস্সালামু আলাইকুম, জনাব! আমি ফেসবুকে ইনকাম করতে চাই এক্ষেত্রে আমি যেটার সাথে যুক্ত হতে যাচ্ছি সেই কাজটা হচ্ছে প্রোডাক্ট সেল করা আর সেই প্রোডাক্টি হচ্ছে ছেলেদের বিভিন্ন যৌন সমস্যা সম্বন্ধে।। যেমনঃ- লিঙ্গের আগা চিকন থেকে মোটা করার জন্য ন্যাচরাল ওয়েল, বেশিক্ষণ সহবাস করার জন্য ন্যাচরাল ঔষধ ইত্যাদি ইত্যাদি প্রোডাক্টের নামঃ Love Forever. তো আমি কি এ প্রোডাক্টগুলো অনলাইনে সেল করতে পারবো! যাদের সাথে কাজ করবো ওরা বলতেছে এটা সম্পূর্ণ ন্যাচরাল এবং পার্শপ্রতিক্রিয়া মুক্ত।। এই কাজটা কি হালাল হবে??

1 Answer

0 votes
by (59,190 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,
https://ifatwa.info/21407/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
প্রত্যেক জিনিষের মূলতত্ব হল, হালাল। সুতরাং যতক্ষণ পর্যন্ত ঐ জিনিষে কোনো হারামের প্রমাণ না পাওয়া যাচ্ছে,ততক্ষণ পর্যন্ত উক্ত জিনিষ হালাল বলেই গৃহিত হবে।

বিশিষ্ট মুহাদ্দিস মুল্লা আলী কারী রাহ বলেন,

دَلَّ عَلَى أَنَّ الْأَصْلَ فِي الْأَشْيَاءِ الْإِبَاحَةُ كَقَوْلِهِ تَعَالَى: {هُوَ الَّذِي خَلَقَ لَكُمْ مَا فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا} [البقرة: ٢٩]

প্রত্যেক জিনিষের আসল বা মূল হল,হালাল।কেননা আল্লাহ তা'আলা সূরা বাকারার ২৯ নং আয়াতে বলেন,আল্লাহ তা'আলা তোমাদের ফায়দার জন্য জমিনের সবকিছুকে সৃষ্টি করেছেন।
(মিরকাতুল মাফাতিহ-১/২৭৯)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যতক্ষণ পর্যন্ত ঐ ক্যাপসুলে হারাম কোনো উপাদানের খোজ না মিলছে,ততক্ষণ পর্যন্ত ঐ জিনিষ খাওয়া বা ব্যবহার করা বৈধ।

হাদীস শরীফে আছে,
নু'মান ইবনে বশির রাযি থেকে বর্ণিত

 ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺤَﻠَﺎﻝَ ﺑَﻴِّﻦٌ ، ﻭَﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺤَﺮَﺍﻡَ ﺑَﻴِّﻦٌ، ﻭَﺑَﻴْﻨَﻬُﻤَﺎ ﻣُﺸْﺘَﺒِﻬَﺎﺕٌ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻬُﻦَّ ﻛَﺜِﻴﺮٌ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ، ﻓَﻤَﻦِ ﺍﺗَّﻘَﻰ ﺍﻟﺸُّﺒُﻬَﺎﺕِ ﺍﺳْﺘَﺒْﺮَﺃَ ﻟِﺪِﻳﻨِﻪِ ، ﻭَﻋِﺮْﺿِﻪِ ، ﻭَﻣَﻦْ ﻭَﻗَﻊَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺸُّﺒُﻬَﺎﺕِ ﻭَﻗَﻊَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺤَﺮَﺍﻡِ ، ﻛَﺎﻟﺮَّﺍﻋِﻲ ﻳَﺮْﻋَﻰ ﺣَﻮْﻝَ ﺍﻟْﺤِﻤَﻰ ، ﻳُﻮﺷِﻚُ ﺃَﻥْ ﻳَﺮْﺗَﻊَ ﻓِﻴﻪِ ، ﺃَﻟَﺎ ﻭَﺇِﻥَّ ﻟِﻜُﻞِّ ﻣَﻠِﻚٍ ﺣِﻤًﻰ ، ﺃَﻟَﺎ ﻭَﺇِﻥَّ ﺣِﻤَﻰ ﺍﻟﻠﻪِ ﻣَﺤَﺎﺭِﻣُﻪُ

নিশ্চয়ই হালাল স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট, আর এ উভয়ের মাঝে রয়েছে সন্দেহজনক বিষয়, অনেক লোকই সেগুলো জানে না। যে ব্যক্তি এসব সন্দেহজনক বিষয় থেকে দূরে থাকে সে তার দ্বীন ও মর্যাদাকে নিরাপদে রাখে, আর যে লোক সন্দেহজনক বিষয়ে পতিত হবে সে হারামের মধ্যে লিপ্ত হয়ে পড়বে। যেমন কোন রাখাল সংরক্ষিত চারণভূমির পাশে পশু চরায়, আশংকা রয়েছে সে পশু তার ভেতরে গিয়ে ঘাস খাবে। সাবধান! প্রত্যেক রাজারই সংরক্ষিত এলাকা থাকে, সাবধান আল্লাহর সংরক্ষিত এলাকা হলো তার হারামকৃত বিষয়গুলো। জেনে, রেখো, দেহের মধ্যে এক টুকরা গোশত আছে। যখন তা সুস্থ থাকে তখন সমস্ত দেহই সুস্থ থাকে। আর যখন তা নষ্ট হয়ে যায় তখন সমস্ত দেহই নষ্ট হয়ে যায়। স্মরণ রেখো, তা হলো 'কালব' হৃদয়।(সহীহ মুসলিম-১৫৯৯)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
যদি নিশ্চিত ভাবে ঐ ঔষধে হারামের মিশ্রণ আছে বলে প্রমানিত হয়,তাহলে তাহা সেবন করা যাবেনা।
আর যদি নিশ্চিত ভাবে সেখানে হারামের মিশ্রণ আছে বলে প্রমানিত না হয়,তাহলে নিছক সন্দেহের ভিত্তিতে সেই ঔষধ কে হারাম বলা হবেনা।

তবে আপনি কোনো হারামের প্রমান পেলে বা বিশ্বস্ত সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেটির ব্যাপারে হারাম মিশ্রণের আশংকা করলে সেই ঔষধ সতর্কতামূলক ত্যাগ করবেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ: أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ رَأَى حُلَّةً سِيَرَاءَ تُبَاعُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَوِ ابْتَعْتَهَا تَلْبَسُهَا لِلْوَفْدِ إِذَا أَتَوْكَ وَالجُمُعَةِ؟ قَالَ: «إِنَّمَا يَلْبَسُ هَذِهِ مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ» وَأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ بَعْدَ ذَلِكَ إِلَى عُمَرَ حُلَّةً سِيَرَاءَ حَرِيرٍ كَسَاهَا إِيَّاهُ، فَقَالَ عُمَرُ: كَسَوْتَنِيهَا، وَقَدْ سَمِعْتُكَ تَقُولُ فِيهَا مَا قُلْتَ؟ فَقَالَ: «إِنَّمَا بَعَثْتُ إِلَيْكَ لِتَبِيعَهَا، أَوْ تَكْسُوَهَا»

আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। উমর (রাঃ) একটি রেশমী হুল্লা বিক্রী হতে দেখে বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি যদি এটি খরীদ করে নিতেন, তা হলে যখন কোন প্রতিনিধি দল আপনার কাছে আসে তখন এবং জুমুআর দিনে পরিধান করতে পারতেন। তিনি বললেনঃ এটা সে ব্যক্তিই পরতে পারে যার আখিরাতে কোন অংশ নেই। পরবর্তী সময়ে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমর (রাঃ) এর নিকট ডোরাকাটা রেশমী হুল্লা পাঠান। তিনি কেবল তাকেই পরতে দেন। উমর (রাঃ) বললেন আপনি এখনি আমাকে পরতে দিয়েছেন, অথচ এ সম্পর্কে যা বলার তা আমি আপনাকে বলতে শুনেছি। তিনি বললেন আমি তোমার কাছে এজন্য পাঠিয়েছি যে তুমি এটি বিক্রি করে দিবে অথবা কাউকে পরতে দিবে। (সহীহ বুখারী-২/৮৬৮, হাদীস নং-৫৮৪১, ইফাবা-৫৪২৩)
প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই / বোন!
যদি ঐ সমস্ত ঔষধগুলি সাস্থের জন্য উপকারী হয় এবং বিভিন্ন যৌন রোগের চিকিৎসা স্বরূপ ব্যবহার করা হয় ও তাতে হারাম কোন বস্তুর সংমিশ্রণ না থাকে তাহলে সেগুলো সেল করা জায়েয আছে। অফলাইনে হোক বা অনলাইনে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (59,190 points)
সংশোধন করা হয়েছে 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...