আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
276 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (45 points)
আসসালামু আলাইকুম,
কিছুদিন ধরে ramfit নামক একটি দ্বীনি প্রতিষ্ঠান, খুব কমন একটা ক্যাপসুল ওষুধ কে হারাম বলে দাবি করছে।
তাদের যুক্তি অনুযায়ী, যেই জেলাটিন ব্যবহার করা হয় ওষুধে, সেগুলি প্রাণীজ উৎস থেকে আসে। আর যেহেতু আমরা জানি না প্রাণিজ উৎস হারাম অথবা হালাল, কোনটা, তাই এক্ষেত্রে নাকি মোটা দাগে হারাম হবে আমাদের জন্য এটা ব্যবহার করা।
অর্থাৎ যেহেতু নিশ্চিতভাবে হালাল জানা যায়নি, তাই ধরে নিতে হবে এটা নাকি হারাম। যদি হালাল প্রানির ও হয় তবু নাকি হারাম হবে যেহেতু আমরা জানিনা জবাই হালালভাবে হয়েছে কিনা। তারা এক্ষেত্রে বলছে, " কুরবানী করা হয় এমন পশুর ক্ষেত্রে, সবকিছুই নাকি হারাম যদি না সুস্পষ্টভাবে হালাল প্রমাণিত হয়। " এটা নাকি ফিকহের মূলনীতি। যদিও তারা কোন সুনির্দিষ্ট রেফারেন্স দেন নি কোথাও। তারা উসুলের কথা বলছে।

সেই যুক্তিতে তাহলে তো, বাজার থেকে আমরা যে গোশত কিনি, অথবা রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাই, সেই মাংসগুলো জবেহ করার সময় তো আমরা ছিলাম না, সুস্পষ্টভাবে জানিও না হালাল ভাবে জবাই হয়েছে কিনা। তারপর আবার যেই cheese গুলো ইউজ হয় আমাদের দেশের রেস্টুরেন্ট গুলিতে, বেশিরভাগই বাইরের দেশ থেকে আনা, চিজ বানাতে রেনেট নামক একটা জিনিস লাগে যেটা হারাম-হালাল উভয় পশুর নাড়িভুড়ি থেকে আহরণ করা যায়। সেগুলিও হারাম কি হালাল সেটাও তো আমরা সুস্পষ্টভাবে জানতে পারি না।
এখন এক্ষেত্রে আমাদের তাহলে কি করা উচিত? ওই ওষুধ টা হারাম হয়ে থাকলে , অন্যান্য ক্যাপসুল ওষুধ হারাম হচ্ছে, যেটা খুব কঠিন হয়ে যায় আমাদের জন্য তাহলে, আর রেস্টুরেন্টে খাবার ক্ষেত্রেও একই জিনিস এপ্লাই হওয়ার মত।


দয়া করে বিস্তারিত জানাবেন। তাদের দাবি কি সঠিক , আর হলে, এক্ষেত্রে আমরা কি করতে পারি?

1 Answer

0 votes
by (713,640 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তাদের যুক্তি সঠিক নয়। বরং প্রত্যেক জিনিষের মূলতত্ব হল, হালাল। সুতরাং যতক্ষণ পর্যন্ত ঐ জিনিষে কোনো হারামের প্রমাণ না পাওয়া যাচ্ছে,ততক্ষণ পর্যন্ত উক্ত জিনিষ হালাল বলেই গৃহিত হবে।

বিশিষ্ট মুহাদ্দিস মুল্লা আলী কারী রাহ বলেন,
دَلَّ عَلَى أَنَّ الْأَصْلَ فِي الْأَشْيَاءِ الْإِبَاحَةُ كَقَوْلِهِ تَعَالَى: {هُوَ الَّذِي خَلَقَ لَكُمْ مَا فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا} [البقرة: ٢٩]
প্রত্যেক জিনিষের আসল বা মূল হল,হালাল।কেননা আল্লাহ তা'আলা সূরা বাকারার ২৯ নং আয়াতে বলেন,আল্লাহ তা'আলা তোমাদের ফায়দার জন্য জমিনের সবকিছুকে সৃষ্টি করেছেন।
(মিরকাতুল মাফাতিহ-১/২৭৯)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যতক্ষণ পর্যন্ত ঐ ক্যাপসুলে হারাম কোনো উপাদানের খোজ না মিলছে,ততক্ষণ পর্যন্ত ঐ জিনিষ খাওয়া বা ব্যবহার করা বৈধ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (713,640 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...