ইমদাদুল হুজুরের কাছে জানার ছিল

Question

আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।২ টি প্রশ্ন

১।আপনি বলেছিলেন  তালাকের  মজলিস হওয়ার জন্য স্বামী স্ত্রীর একই জায়গায় অবস্হান করতে হয়। তহ ধরেন স্ত্রী দূরে থাকে মা বাবা বউ উটাকে না আনতে বলতেছে এতটুকুতে ফিরে আসতে বলতেছে।যা হওয়ার হইছে এমনটা বলে।এতটুকুতে স্টপ হয়ে যাইতে বলতেছে।কিন্তুু তালাক দিয়ে দিতে বলে নি ধরেন।মানে তালাকের নাম ও ধরে নি ধরেন ছেলেটার মা বাবা।এমন ভাবে বুঝাচ্ছে ধরেন ছেলেটাকে বিয়ে করে নি প্রেম করেছে জাস্ট ভুলে যেতে চলে আসতে।ছেলেটা ধরেন চায়,বউয়ের সাথে সংসার করতে।কিন্তু কি করবে বুঝতে পারতেছিল না টেনশনে আর ডিপ্রেশনে ছিল ধরেন।কথাগুলো হওয়ার পরে তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলেও ধরেন না না করত সে মানে দিবে না স্ত্রীকে এমনটা ভাবত।দিলেও পরে ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিবে সেটা ভাবত।ছেলেটটা যদি বলে আমি থাকতে পারব ওকে ছাড়া মানে পারবে বললে অথবা ছেলে ওটা নিয়ত ছাড়া  অন্য কেনায়া শব্দ বললে মা বাবার কথা ওইগুলোর পর তাহলে কি তালাক হবে?

২।আপনি বলেছিলেন হুজুর মেসেজে স্ত্রী তালাক চাওয়ার উত্তরে কেনায়া শব্দ বললে তালাক হয় যে অন্য কথার উত্তরে নিয়ত ছাড়া কেনায়া শব্দ বললে হয় না।তহ মেসেজে যদি স্ত্রী তালাক চায় এরপর ধরেন স্বামী কিছু বলে নি অথবা ধরেন বলেছে দিব মানে পরে আর কি।এর পর পর স্ত্রী যদি বলে মা বাবার পছন্দমত করতাম অনেক ভাল হত বিয়ে।এমনিতে রাগ করে বলতেছে আর কি।এরপর স্বামী এই কথাটার উত্তরে যদি নিয়ত ছাড়া বলে মা বাবা বেশি আপন হয়ে গেছে নাকি এখন? যাও মা বাবার পছন্দমত কর গা।এই কথাটা তালাক চাওয়ার উত্তরে বলে নি ধরেন।তাহলে কি তালাক হয়?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
তালাকের ওয়াসওয়াসাকে পরিহার করুন। কিভাবে পরিহার করবেন,সেটা হল, যখনই মনে এরকম ওয়াসওয়াসা আসবে, সাথে সাথেই মনকে বলবেন, আমি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রোগী, তাই আমার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুমে শীতিলতা রয়েছে।আমি অন্য দশজনের মত নই। কেননা ওয়াসওয়াসা রোগি কাউকে হত্যা করলেও শরীয়তের দৃষ্টিতে কেসাস আসেনা।ওয়াসওয়াসার রোগী সারাদিন কুফরি বাক্য উচ্ছারণ করলেও সে কাফির হয়না।বরং তার ঈমান বহাল থাকে।

যদি ওয়াসওয়াসা থেকে আপনি বের না হন,তাহলে আপনার ভবিষ্যত আপনি নিজেই নষ্ট করবেন।ওয়াসওয়াসা থেকে বের হওয়ার একমাত্র মাধ্যম হল, এই চিন্তাকে পরিহার করে ভিন্ন চিন্তা গ্রহণ করা,লোকদের সাথে হাশিখুশিতে থাকা।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মুযাকারায়ে তালাকের জন্য একত্র উপস্থিত হওয়া শর্ত নয়।পূর্বের মতামত থেকে আমি ফিরে এসেছি। কেননা আমার নিকট এখন এ সম্পর্কে যথেষ্ট শক্তিশালী দলীল রয়েছে।
আর হ্যা, আপনাকে বলবো, যেহেতু আপনি ওয়াসওয়াসা বা ওডিসি আক্রান্ত।তাই আপনার কোনো তালাকই গ্রহণযোগ্য নয়।বা আপনার নিকট যতকিছু তালাক মনে হবে, এর কোনোটাই তালাক হিসেবে গণ্য হবে না। আপনি ইতিপূর্বে অনেকবার ফোনে কথা বলেছেন।এই বিষয়েও ফোনে কথা বলবেন। সংক্ষেপে এতটুকু বলছি যে, প্রশ্নর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে বলছি, প্রশ্নের এই বিবরণ অনুযায়ী কোনো তালাক হবে না।

Comments

শায়খ মেসেজে বা ফোনে  স্ত্রী তালাক চায়লে এর উত্তরে স্বামী কেনায়া শব্দ না বলে অন্য আরেকটা কথার উত্তরে কেনায়া শব্দ নিয়ত ছাড়া বললে তালাক হয় না বলেছিলেন।এমনকি স্ত্রী স্বামীকে দিবে বললেও স্বামী এরপর কেনায়া শব্দ বললে তালাক হয় না বলেছিলেন মানে নিয়ত ছাড়া বললে আর কি।।এটা তহ ঠিক তাই না? মানে এই মত তহ এখনো গ্রহন করেন?