আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
3,822 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (12 points)
reshown by
শেইখ বারবার বিরক্ত করার জন্য দুঃখিত।আমি আসলে একটা মানসিক রোগে আক্রান্ত যার নাম ocd বা শুচিবায়ু।এই রোগীদের একটা সমস্যা হয় যে সব জিনিষ নিয়ে অতিরিক্ত ভাবে আর সব জিনিষ পারফেক্ট করত চায়।আমি সম্প্রতি হুরমতে মুসহারাত এর মাসআলা সম্পর্কিত একটা ভিডিও ইউটিউবে দেখতে পাই।ওখানে যে মুফতি ছিল সে বলছিলেন যে কোনো পুরুষ স্বীকার করে যে সে তার শ্বাশুড়ীর সাথে যিনা/সঙ্গম করে সাথে সাথে তার বিয়ে ভেঙে যায়।সে যদি মজা করে এই কথা বলে যদি তা নাও করে তাহলেও নাকি তার বিবাহ ভাঙবে এমন কথা সেই মুফতি বলেন।

এরপর থেকে আমার মধ্যে এই রোগ অনেক বেড়ে গিয়েছে।আমি একজন মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে চাচ্ছিলাম।কিন্তু দেখা গেছে এই মাসআলা শোনার পর থেকেই আমি সারাদিন মনের মধ্যে বলতে " আমি তার মায়ের সাথে যিনা করি নাই"। বলতে বলতে দেখা যায় যে আমি আমার মনের মধ্যে ইচ্ছাকৃত ভাবে বলে ফেলেছি যে ," আমি তার মায়ের সাথে যিনা করেছি"।মাঝে মধ্যে এই বিষয়টা আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি মাঝে মধ্যে পারিনা ।আবার মাঝে মধ্যে এই কথাগুলোর অর্ধেক আমার মুখ থেকে দেখা যায় বের হয়ে যায় আবার অর্ধেক আমি মনে মনে বলি।আবার মাঝে মধ্যে দাঁত মাজার সময় বা খাওয়ার সময় যখন ঠোঁট নরে তখনও এইসব কথা আমি বলি।কিন্তু সেই অনুযায়ী ঠোঁট নোরে কিনা সেইটা আমি নিশ্চিত না।

আমার মধ্যে সব সময় একটা ভয় এবং অস্থিরতা কাজ করছে।

আমার মত মানসিক বিকারগ্রস্থ রোগীদের ক্ষেত্রে শরিয়তে এর হুকুম কি আর ওই কন্যার সাথে কি আমার বিবাহ জায়েজ?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
3471 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ করেছি যে, শরীয়তে মাহরাম নন মাহরাম তথা বিয়ে-শাদীর বৈধ-অবৈধ পার্সন সাধারণত এর ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয়েছে।হয়তো নসবের কারণে কাউকে বিয়ে করা হারাম নতুবা বৈবাহিক সম্পর্কের ইস্যুতে হারাম কিংবা দুধ সম্পর্কের কারণে হারাম ।কুরআনে কারীমে যে চৌদ্দ জনের নমুনা পেশ করা হয়েছে,এসব মূলত এই তিনটি সম্পর্কের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয়েছে।

বংশগত সম্পর্কের কারণে বিয়ে হারাম যেমন,পিতা তার মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে না,ইত্যাদি।
দুধ সম্পর্কের কারণে বিয়ে হারাম,যেমন দুধ সন্তান তার দুধ মাকে/বোনকে বিয়ে করতে পারবে না।বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে বিয়ে হারাম, যেমন,জামাই সে তার শাশুড়ী কে বিয়ে করতে পারবে না।

বৈবাহিক সম্পর্ক যাকে মুসাহারাত বলে,সেটা কিভাবে প্রতিষ্টিত হবে?আমরা জানি বৈধ বিয়ের মাধ্যমে সেটা প্রতিষ্টিত হয়ে থাকে।সুতরাং কোনো মানুষ তার পিতার স্ত্রীকে বিয়ে করতে পারবে না।এবং তার সন্তানের স্ত্রীকে বিয়ে করতে পারবে না।এমনকি সে তার স্ত্রীর মা বা মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে না।কারণ তাদের সাথে তার বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন হয়ে গেছে। যা বিয়েকে বাধা প্রদাণ করে।

ঠিকতেমনিভাবে যিনা-ব্যভিচার তথা অবৈধ সম্পর্কের কারণেও হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবে।ব্যভিচারী পরুষ মহিলা উভয়ের উর্ধতন-নিম্নতন উভয়দিকে এই হুরমতের বিস্তার ঘটবে।

যিনা ব্যভিচারের মাধ্যমে হুরমতে মুসাহারাহ সাব্যস্ত হওয়ার কিছু শর্ত রয়েছে,
★উক্ত নারীর সাথে সহবাসের কামভাব নিয়ে স্পর্শ করতে হবে।
★খালি গায়ে স্পর্শ হতে হবে বা এমন পাতলা কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ হতে হবে যে, কাপড় থাকার পরও শরীরের স্পন্দন অনুভূত হয়।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শুধুমাত্র চিন্তা,কল্পনা বা কথা বলার দ্বারা হুরমতে মুসাহারাহ সাব্যস্ত হবে না।বরং হুরমতে মুসাহারার জন্য সহবাস বা স্পর্শ কিংবা লজ্জাস্থানের ভিতরাংশকে দেখতে হবে।তাই আপনি অযথা চিন্তা করছেন।এরকম চিন্তাচেতনাকে মন থেকে ঝেড়ে ফেলুন।জাযাকুমুল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,260 points)
সংযোজন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...