আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
180 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ,
আমি বিবাহিত। আমাকে বাধ্য হয়েই একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হচ্ছে।আমার স্বামীও অন্য আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে।আমার স্বামীর নিজস্ব কোনো ইনকাম নেই বর্তমানে। আমি ছুটিতে এসে শশুড় বাড়িতে থাকি।আর মাঝেমাঝে বাবার বাড়িতে আসি।আমার বাবার ইনকাম হালাল না হওয়ায় আমার বাবার বাড়িতে আসতে ইচ্ছা হয়না।কিন্তু না আসলে আমার বাবা-মা কষ্ট পান।এই পরিস্থিতিতে, বাবার বাড়িতে এসে ২-৩ দিন থাকি।

১. এইভাবে বাবার বাড়িতে এসে থাকা কি আমার জন্য জায়েজ হবে যেহেতু বাবার ইনকাম হালাল না?  বাবার বাড়িতে এসে না থাকলেও ওনারা মন খারাপ করেন।আর শশুড় বাড়ির লোকজন খুব বেশি দ্বীনদার না হওয়ায়,বাবার বাড়িতে না আসলে নেগেটিভ ভাবে নেন বিষয়টা।

এই পরিস্থিতিতে আমার কী করা উচিত, দয়া করে জানাবেন প্লিজ।


২. তালাক বিষয়ে আরেকটি প্রশ্ন, আমার স্বামীর উপর একদিন রাগ করে বলি,আপনার এই বিষয়টি ঠিক না হলে আমি বাসায় গিয়ে সিদ্ধান্ত নিব। বাসায় গিয়ে সিদ্ধান্ত নিব বলতে তালাকের কথা বলেছিলাম।উনি বলেছিলেন আমার সিদ্ধান্তের জন্য উনি আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করছেন।এতে কি আমাদের বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো সমস্যা হবে?

৩. কেউ যদি ফেসবুকের রিলেশনশীপ স্ট্যাটাসে "ডিভোর্সড " লিখে কেউ যেন তাকে ডিস্টার্ব না করে এই নিয়তে,তাহলে কি তাদের বৈবাহিক সম্পর্কে সমস্যা হবে?


দয়া করে জানাবেন শায়েখ। জাযাকাল্লাহ খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বিয়ের পর স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব সম্পূর্ণ স্বামীর।তাই মেয়ে তার পিতার হারাম মাল থেকে কিছুই গ্রহণ করতে পারবেন। 
হ্যা,স্থান-কাল-পাত্র বেধে সময়ের  প্রয়োজনে ফুকাহায়ে কিরামগন সহজতার স্বার্থে আসল হুকুম থেকে সরে এসে তার বিপরীত সাময়িক হুকুম মাঝেমধ্যে প্রয়োগ করে থাকেন।একেই পরিভাষায় জরুরত বলে। জরুরত বা সময়ের চাহিদায় অনেক বিধিত সিদ্বান্তকে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক পরিবর্তন করে দেয়।
এরকম কিছু ফিকহী মূলনীতি 'উসূলে ফিকহ' এর কিতাবাদিতে সবিস্তারে বর্ণিত আছে,তন্মধ্যে কিছু মূলনীতি হল।
 যথাক্রমেঃ-
 ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
(প্রয়োজন অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে বৈধ করে দেয়)
এটা একাটা নীতিসিদ্ধ মৌলিক ফিকহী ক্বায়দা/ধারা যা কোরআন এবং হাদিসের থেকে চয়ন করা হয়েছে।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি এবং আপনার জরুরতমন্দ দের জন্য সাময়িক পিতার হারাম মাল থেকে গ্রহণ করতে পারবে।আপনার সামর্থ্য থাকলে আপনাকে অবশ্যই সেই খাবারের সমপরিমাণ টাকা সদকাহ করতে হবে।

(২)

"আপনার এই বিষয়টি ঠিক না হলে আমি বাসায় গিয়ে সিদ্ধান্ত নিব। বাসায় গিয়ে সিদ্ধান্ত নিব বলতে তালাকের কথা বলেছিলাম। উনি বলেছিলেন আমার সিদ্ধান্তের জন্য উনি আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করছেন।"

এজন্য তালাক হবে না।

৩. কেউ যদি ফেসবুকের রিলেশনশীপ স্ট্যাটাসে "ডিভোর্সড " লিখে কেউ যেন তাকে ডিস্টার্ব না করে এই নিয়তে,

এদ্বারা কোনো সমস্যা হবে না। তবে এভাবে মিথ্যা বলা জায়েয হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...