ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বিয়ের পর স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব সম্পূর্ণ স্বামীর।তাই মেয়ে তার পিতার হারাম মাল থেকে কিছুই গ্রহণ করতে পারবেন।
হ্যা,স্থান-কাল-পাত্র বেধে সময়ের প্রয়োজনে ফুকাহায়ে কিরামগন সহজতার স্বার্থে আসল হুকুম থেকে সরে এসে তার বিপরীত সাময়িক হুকুম মাঝেমধ্যে প্রয়োগ করে থাকেন।একেই পরিভাষায় জরুরত বলে। জরুরত বা সময়ের চাহিদায় অনেক বিধিত সিদ্বান্তকে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক পরিবর্তন করে দেয়।
এরকম কিছু ফিকহী মূলনীতি 'উসূলে ফিকহ' এর কিতাবাদিতে সবিস্তারে বর্ণিত আছে,তন্মধ্যে কিছু মূলনীতি হল।
যথাক্রমেঃ-
ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
(প্রয়োজন অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে বৈধ করে দেয়)
এটা একাটা নীতিসিদ্ধ মৌলিক ফিকহী ক্বায়দা/ধারা যা কোরআন এবং হাদিসের থেকে চয়ন করা হয়েছে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি এবং আপনার জরুরতমন্দ দের জন্য সাময়িক পিতার হারাম মাল থেকে গ্রহণ করতে পারবে।আপনার সামর্থ্য থাকলে আপনাকে অবশ্যই সেই খাবারের সমপরিমাণ টাকা সদকাহ করতে হবে।
(২)
"আপনার এই বিষয়টি ঠিক না হলে আমি বাসায় গিয়ে সিদ্ধান্ত নিব। বাসায় গিয়ে সিদ্ধান্ত নিব বলতে তালাকের কথা বলেছিলাম। উনি বলেছিলেন আমার সিদ্ধান্তের জন্য উনি আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করছেন।"
এজন্য তালাক হবে না।
৩. কেউ যদি ফেসবুকের রিলেশনশীপ স্ট্যাটাসে "ডিভোর্সড " লিখে কেউ যেন তাকে ডিস্টার্ব না করে এই নিয়তে,
এদ্বারা কোনো সমস্যা হবে না। তবে এভাবে মিথ্যা বলা জায়েয হবে না।