জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী স্বামীর অনুমতি ব্যাতিত স্ত্রীর জন্য নফল রোযা রাখা, নফল নামাজ পড়া,কুরআন তেলাওয়াত করা নিষেধ।
(নাজমুল ফাতওয়া ৫/৩০৭)
হাদীস শরীফে আছে,
إذا دعا الرجل زوجته لحاجته فالتأته، وإن كانت على التنور
স্বামী যখন নিজ প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডাকবে তখন সে যেন তাতে সাড়া দেয়, যদিও সে চুলায় (রান্নার কাজে) থাকে (জামে তিরমিযী, হাদীস : ১১৬০; সুনানে নাসাঈ, হাদীস : ৮৯৭১)।
عَنْ مُعَاذٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ كُنْتُ آمِرًا أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لِأَحَدٍ لَأَمَرْتُ النِّسَاءَ أَنْ يَسْجُدْنَ لِأَزْوَاجِهِنَّ»
হযরত মুয়াজ রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যদি আমি যদি কোন ব্যক্তিকে অন্য কাউকে সেজদা করার আদেশ দিতাম, তাহলে আমি স্ত্রীদের আদেশ দিতাম তাদের স্বামীকে সেজদা দিতে। [কিন্তু সেজদা আল্লাহ ছাড়া কাউকে দেয়া জায়েজ নয়, তাই এ আদেশ দেয়া হয়নি’।
হাদীসটি যেসব কিতাবে বর্ণিত
মুসন্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৮৭৮৫,
সুনানে দারেমী, হাদীস নং-১৫০৪,
সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৪০,
মুসনাদুল হারেস, হাদীস নং-৪৯৮,
মাশকিলুল্ আসার, হাদীস নং-১৪৮৭,
মুজামে কাবীর, হাদীস নং-৪৮৬,
মুসতাদরাক আলাস সাহিহাইন, হাদীস নং-২৭৬৩,
সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৪৭০৫।
আরো জানুনঃ
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
বিবাহিতা মহিলার জন্য স্বামীর হকই বেশি।
তবে কোনো শরীয়ত বহির্ভূত কাজের আদেশ মানা যাবেনা।
এক্ষেত্রে মা বাবার যে হক তার উপর আবশ্যকীয়,তাহা যথাসাধ্য আদায় করতে হবে।
মেয়েদের তাদের বাবা মাকে দেখা শোনার ব্যাপারে শরীয় সীমারেখা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
স্ত্রীর উপর তার নিজ বাবা মা এর থেকে স্বামীর বাবা মা এর অধিকার সবচেয়ে বেশি বা নিজ বাবা মা এর থেকে স্বামীর বাবা মা কেই বেশি আপন ও ভালোবাসতে হবে, এই কথাটা সঠিক নয়।