আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
146 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (82 points)
edited by
১।কোন মুফতি সাহেব ধরেন হানাফি মাজহাবের।ওনি ধরেন একজনকে ফতোয়া দিল যা হয়ত হানাফি মাজহাবে যে ফতোয়া আছে তার বিপরীত। কিন্তুু হাদিসের বিপরীত নয় মানে ওনি যে ফতোয়াটা দিছে ধরেন সেটা নিয়ে সহিহ হাদিস আছে।আর শুনেছি যারা বড় আলেম তারা গবেষণা বা চিন্তা করে ফতোয়া দিতে পারে মাজহাবের বাইরে হলেও যদি কোরআান হাদিসের বাইরে বা বিপক্ষে না যায় আর কি। এতে ঐ ফতোয়াটা হানাফী মাজহাবের মানুষকে দিছে ধরেন। মুফতি সাহেব ও হানাফী মাজহাবের ধরেন।তহ এতে কি কোন সমস্যা হবে সেই অনুযায়ী আমল করলে?

২।কোন ফতোয়া একই মাজহাবের ২ আলেম ২ রকম মানে ভিন্ন দিলে যে কোন একটা মানলে কি সমস্যা হবে?ধরেন ২ আলেমই দলিলের ভিত্তিতে ফতোয়া দেয়।সাধারন মানুষ ধরেন জানে না কোনটা ঠিক কোনটা বেঠিক।তখন যে কোন একজনের ফতোয়া মানলে  সমস্যা হবে?আর যেই মানুষটা ফতোয়া জানতে আসছে সেও ধরেন একই মাজহাবের।

৩।ধরেন কেও ২ জন আলেমের কাছে সবসময় প্রশ্ন করে মাসআলা বা ফতোয়া জানার জন্য।২ জনই ধরেন একই মাজহাবের।একটা একদিন একজনকে করলে প্রশ্ন আরেকটা প্রশ্ন আরেকদিন আরেকজনকে করে।বা একটা মাসআলা বা ফতোয়া মানতে কস্ট হলে ২ জন থেকেই ফতোয়া নিয়ে যেটা সহজ  মনে হয় সেটা করে।কিন্তু ২ আলেমই একই মাজহাবের।তহ হয়ত ধরেন ২ আলেমই দলিলের ভিত্তিতে ফতোয়া,দেয়।সাধারন মানুষ তহ জানে না।তহ এভাবে করলে কি কোন সমস্যা হবে?আর যেই মানুষটা ফতোয়া জানতে আসছে সেও ধরেন একই মাজহাবের।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/47559/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ أُفْتِيَ بِفُتْيَا غَيْرَ ثَبَتٍ فَإِنَّمَا إِثْمُهُ عَلَى مَنْ أَفْتَاهُ " .

আবূ হুরায়রা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দলীল-প্রমাণ ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ব্যতীত কাউকে সিদ্ধান্ত (ফাতাওয়া) দেয়া হলে তার পাপের বোঝা ফাতাওয়া প্রদানকারীর উপর বর্তাবে।
(আবূ দাঊদ ৩৬৫৭, আহমাদ ৮০৬৭, ৮৫৫৮; দারিমী ১৫৯।  মিশকাত ২৪২।)

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم: مَنْ تَقَوَّلَ عَلَيَّ مَا لَمْ أَقُلْ، فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ وَمَنِ اسْتَشَارَهُ أَخُوهُ الْمُسْلِمُ، فَأَشَارَ عَلَيْهِ بِغَيْرِ رُشْدٍ فَقَدْ خَانَهُ وَمَنْ أُفْتِيَ فُتْيَا بِغَيْرِ ثَبْتٍ، فَإِثْمُهُ عَلَى مَنْ أَفْتَاهُ.

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি যা বলিনি তা যে ব্যক্তি আমার প্রতি আরোপ করবে সে যেন দোযখে তার স্থান করে নিলো। কোন ব্যক্তির নিকট তার কোন মুসলিম ভাই পরামর্শ চাইলো কিন্তু সে তাকে ভ্রান্ত পরামর্শ দিলো। সে তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলো। আর যে ব্যক্তি দলীল-প্রমাণ ছাড়াই ফতোয়া দিলো, তার এই ফতোয়াদানের পাপ তার উপরই বর্তাবে। 
(মুসলিম. আল আদাবুল মুফরাদ ২৫৮)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি কোন মুফতী সাহেব ফতোয়া নিয়েছেন,সেটি দেখতে হবে।
তিনি আপনার মাযহাবের না হলে এক্ষেত্রে ভূল আপনার।
কেননা আপনি অন্য মতালম্বী আলেম থেকে ফতোয়া নিয়েছেন।
যাহা মুকাল্লিদের জন্য কাম্য নয়।
,
আপনি যদি ২ জন মুফতীর মধ্যে দুই জনই নিজ মাযহাব অনুসারী, এমন ২ জন থেকেই ফতোয়া নেন,তাহলে দেখবেন  কার ফতোয়াতে দলিল রয়েছে,দলিল অনুযায়ী যিনি কথা বলবেন,তার কথা মানবেন।
,
যার ফতোয়াতে দলিল নেই,তার কথা আপনি মানবেননা।
,
যদি নিজ মাযহাবের স্কলার থেকেই ফতোয়া নেন,আর দলিল ভিত্তিক ফতোয়া নেয়ার পরেও ফতোয়া প্রদানে মুফতি সাহেবের  ভুল হলে সেই অনুযায়ী আপনি না জেনে আমল করলে প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার এক্ষেত্রে গুনাহ হবেনা।

গুনাহ সেই ফতোয়া প্রদানকারীরই হবে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
হানাফি মাযহাবের পক্ষে সেই বিষয়ে কোনো দলিল প্রমান না থাকলে বিজ্ঞ মুফতী সাহেবগন সর্বসম্মত হয়ে হাদীসের আলোকে উক্ত ফতোয়া প্রদান করলে সেটি মানা যাবে। 

(০২)
দলিলের আলোকে যার ফতোয়া দলিলের বিপরীত, সেটা মানা যাবেনা।

যেটা দলিলের পক্ষে,সেটি মানতে হবে।

(০৩)
এভাবে প্রশ্ন করা যাবে।
একই প্রশ্ন এখানে এভাবে একাধিক বার করার অনুমতি নেই। 
খটকা মনে হলে প্রয়োজনে অন্য মুফতী সাহেবদের ইনবক্সে মেসেজ দিয়ে বিষয়টি বুঝে নিতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...